বীর শ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের সমাধীতে এসে আবেগাপ্লুত সাবেক সেনা প্রধান

ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ ৭১ এর রনাঙ্গনের ২নং সেক্টরের সাব-সেক্টর কমান্ডার ও সাবেক সেনা প্রধান লেঃ জেঃ (অবঃ) হারুর অর রশিদ বীর প্রতীক গত রবিবার বিকেলে আখাউড়া উপজেলার দরুইন গ্রামে বীর শ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের সমাধী দেখতে আসেন। মোগড়া ইউনিয়ন বাসী এবং মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের পক্ষ থেকে  পরিষদের চেয়ারম্যান মো.মনির হোসেন ফুলেল শুভেচ্ছায় অতিথিকে বরণ করেন। এ সময় সেখানে উপস্থিত  ছিলেন চেয়ারম্যান মো.মনির হোসেনের বাবা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদ, স্বাধীন বাংলা ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো.আবদুল কাইয়ুুম, কসবা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার মো.শহীদুল্লাহ, আখাউড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার মো.শহীদুল ইসলাম, বিজয়নগর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার মো.তারা মিয়া সহ রনাঙ্গনের সহযোদ্ধা এলাকার মুক্তিযোদ্ধাগন । সবাইকে পেয়ে তিনি যুদ্ধকালীন সময়ের স্মৃতীচারণ করতে গিয়ে আবেগআপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি  বীর শ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের সমাধীতে গিয়ে দুঃখ করে বলেন জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তানের সমাধী এত অবহেলিত কেন। দেশের ৭ জন বীর শ্রেষ্ঠদের একজন মোস্তফা কামাল । বাকি সকলের সমাধী এখন দর্শনীয় স্থানে পরিনত। সেগুলোতে রেষ্টহাউজ ও লাইব্রেরী আছে । অবহেলিত সমাধীটির অবস্থা দেখে তিনি উপস্থিত স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো.মনির হোসেনকে বলেন, এই সমাধিটিকে দর্শনীয় স্থানে পরিনত করুন। এটা আমাদের দায়িত্ব। উপজেলা ও জেলা প্রশাসন  সহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষককে জানাতে বলেন। এ ব্যাপারে তিনি সর্বাত্মক সহায়তা করবেন বলে জানান। তিনি তাঁর নাম ফলকের বিষয়ে বলেন, গেজেট সহ সকল প্রকার তথ্যাদিতে তাঁর নাম লেখা আছে মো.মোস্তফা।  মোস্তফা কামাল কোথাও লেখা নেই। উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধাদের বলেন নামের ভুল সংশোধন হওয়া দরকার । একজন বীর শ্রেষ্ঠ’র নাম ভূল লিখা ঠিক নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published.