দেশপ্রেম, শান্তি ও স্থিতিশীলতা

দেশপ্রেম, শান্তি ও স্থিতিশীলতা আনয়নই একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত। সেই লক্ষ্যে সহযোগীতা করা প্রত্যেক নাগরিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য। সরকার, প্রশাসন এবং রাজনৈতিক দলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যও একই। তাই যখন যে রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় আসে এবং ক্ষমতার পালাবদলেও একই লক্ষ্যে পদক্ষেপ নেয়া উচিত। সমালোচনা, মতভেদ এবং কর্মপরিকল্পনা আলাদা হলেও দেশ পরিচালনা এবং দেশ মার্তৃকার তরে কাজ করতে প্রথমে দেশ তারপর অন্যকিছু এবং পার্থিব সম্পর্কের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে হবে। এইতো সদ্যশেষ হওয়া আমেরীকার প্রেসিডেন্ট পরিবর্তন বা ক্ষমতার পালাবদল কত সুন্দর করে বিশাল আয়োজনের মধ্যদিয়ে বিশ্ববাসীকে এই সুন্দর এবং শান্তির এমনকি আশার আলো জাগিয়ে আগামীর পথে এগিয়ে যেতে পথ দেখিয়েছে। গত চার মাস আগে যে মানুষটি বিভিন্ন বিতর্ক সৃষ্টি করে জন্ম দিয়ে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করে বিজয়ী হয়েছিলেন। আজ সেই অরাজনৈতিক মানুষটি চোখ ধাধানো এক দৃষ্টিনন্দন আনন্দ¯্রােতমিশ্রিত দৃষ্টান্তের মাধ্যমে ক্ষমতা গ্রহণ করেছেন। এমনিক ২০মিনিটের অনীন্দ সুন্দর ও সাবলিল ভঙ্গিতে করনীয় কাজ এবং দেশপ্রেম, ঐক্য, সমতা, সম্বৃদ্ধির কথা বলেছেন। গুরুত্ব দিয়েছেন আর কথা নয় বরং এখন এই মুখর্ত্ব থেকে কাজে নেমে পরার ঘোষণা দিয়েছেন। ঐক্যবদ্ধভাবে জাতিকে নিয়ে কাজ করার অঙ্গিকার করেছেন। ক্ষমতা গ্রহণ করে তিনি এই ক্ষমতা তুলে দিয়েছেন আমেরিকার প্রতিটি নাগরিকের কাধে। হোক সে মেয়ে বা ছেলে অথবা পুরুষ বা মহিলা মোটকথা প্রতিটি আমেরিকান এর উপর। যে শপথ নিয়ে বলেছেন যা কিছু করি সবার আগে দেশ, যা কিছুই করব দেশের সম্মান বৃদ্ধি করব। আমেরীকাকে নীচু কবর না বরং উঁচু করব। সকলের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখব কিন্তু সবার আগে আমেরিকাকে স্থান দিব। এককথায় চমৎকার অনবদ্ধ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন অনিন্দ সুন্দর আগামীর জন্য।
পাশাপাশি বলতে হয় বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার কথাও। তিনিও তো কম সমালোচনা এবং তিরস্কার করেননি ট্রাম্পকে। নির্বাচন পূর্ব সকল সমালোচনা ও তিরস্কার ভুলে গিয়ে দুজনেই গত চারমাস আগামীর জন্য চিন্তা করেছেন দিকনির্দেশনা এবং পরামর্শ রেখেগেছেন বর্তমানের আগামীর জন্য। বিদায় ক্ষণে দেখিয়েছেন কত সুন্দর মিলবন্দন ঐ দুই সাবেক এবং বর্তমানের মাঝে। একেই বলে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান এবং দেশপ্রেম ও স্থিতিশীলতার বাস্তবরূপ চিত্র। দীর্ঘ আট বছর এক জায়গায় কাজ এবং বসবাস করার পর হাসিমুখে বিদায় নেয়া এবং দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়ার যে দৃষ্টান্ত স্থাপিত হলো তা আগামী বিশ্বকে আরেক ধাপ এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে। বাংলাদেশেও একবার হয়েছিল এই সৌহাদ্যপূর্ণ ক্ষমতার পালাবদল বা দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়ার রীতি। সেইতো করে দেখিয়েছিল বঙ্গবন্ধু তনয়া বর্তমান প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই সুন্দর ইতিহাসকে পরবর্তী সরকার ম্লান করে নতুন কলঙ্কের ইতিহাস সৃষ্টি করেছিল। যার ফলশ্রুতিতে আবার তত্¦াবধায়ক + সেনাশাসিত সরকার মিলে বাঙ্গালীর মতে তেতো অভিজ্ঞতা দিয়ে শান্তিপূর্ণ ক্ষমতার পালবদল করেছিল। এমনকি জীবন ও মান বাঁচিয়ে প্রাণে রক্ষা পেয়েছিল বললেও ভুল হবে না।
তবে সেই থেকে দেশ চলছে দেশপ্রেম এর উজ্জ্বল দৃষ্টান্তের গতি নিরন্তর ভঙ্গুর পথ পাড়ি দিয়ে সুন্দর আগামীর উচ্চাসন লাভের নিমিত্ত্বে। সেই লক্ষের কাছাকাছি আমরা পৌঁছতে পেরেছি। হয়ত অচিরেই জাতি প্রত্যক্ষ করবে এবং বিশ্ববাসী স্বীকৃতি দেবে। চরম চড়াই উৎরাই পাড়ি দিয়ে এখন দেশপ্রেমের জোয়ারে ভেসে জাতি শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। মধ্যম আয়ের স্বীকৃতির দ্বারপ্রান্তে এসে উচ্চ আয়ের লক্ষ্যে পৌঁছতে দ্রুত লয়ে এগিয়ে যাচ্ছে শেখ হাসিনার নৌকা। বিশ্ব শান্তির লক্ষ্যে এইতো প্রথম পর্বের এস্তেমায় সরকার দেখিয়েছে, আন্তরিকতা, নিয়মানুবর্তিতা, শৃঙ্খলা এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও স্থিতিশীল পর্যায়ে থেকে বৃহৎ কাজ নিখুতভাবে করা যায়। প্রথম পর্বের সফল ইস্তেমাই প্রমান করে দেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর দক্ষতা, দেশপ্রেম, আন্তরিকতা এবং দুরদর্শী পরিকল্পনা। সফল এস্তেমাই প্রমান করে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং সুশৃঙ্খল অবস্থা। কঠোর নিরাপত্তা মাধ্যমে প্রথম পর্বের আখেরী মোনাজাত শেষে দ্বিতীয় পর্বে শুরুতে গর্ব করে বলার সুযোগ হয় যে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়েছে এবং আরো অনেক দুর এগিয়ে যাবে এই শেখ হাসিনার হাত ধরেই। সন্ত্রসাী, রাজাকার, আল বদর, আল শামসসহ জঙ্গীমাতা আগুন সন্ত্রাসীর সৃষ্ট সকল সন্ত্রাসী এখন কোনঠাসা যার জন্য বিশৃঙ্খল অবস্তা সৃষ্টি করতে সক্ষমতা হারিয়েছে। যদিও সেই সন্ত্রাসী চক্র এখনও থেমে নেই নতুন কোন ষড়যন্ত্রের বীজ বুনছে গুলশান বনানীর আলীশান বাড়িতে বসে। তবে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি যে সফল এবং পরিপূর্ণ সফলতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তা অবস্থাদৃষ্টেই প্রমান বহন করে।
শেখ হাসিনার সরকারের দুরদর্শীতা এবং জনগণের জসসম্পৃক্ততাই জাতিকে চুড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছতে সহায়তা করছে এবং দুষ্ট চক্রের চক্রান্ত নস্যাৎ হচ্ছে। দুষ্টরাতো তাদের দুষ্টবুদ্দির শলাকলা পরিপূর্ণ করতেই ব্যস্ত কিন্ত সরকার সেই দুষ্টতা নির্মূল করতে সদা প্রস্তুত এবং জাগ্রত। দুষ্টদের জীবন মরণ সন্ধিক্ষণে আবার কিছু জ্ঞানপাপির মুখরোচক আলাপচারিতায় খায়েশী ভাব প্রকাশ হয়েছে আগামী দিনের সংলাপ। জাতিকে বিপর্যয়ের মধ্যে ফেলে যারা ক্ষমতায় বসার পায়তারা করে এবং জাতির ক্রান্তিকালে যারা একহতে পারে না সেই দুষ্টচক্রের সঙ্গেতো কোন সংলাপ হতে পারে না। কারণ তারা কে? কি তাদের পরিচয়? তারাতো এই উন্নত এবং উন্নয়ন ট্রেনে চড়তে চায় না। তাই ঐ জ্ঞানপাপীদের কথা আমলে না নিয়ে বরং জ্ঞানপাপীদেরকেও ঐ দুষ্টচক্রের সহযোগী ভেবে আগামীদিনের কাজ পরিচালনা করতে হবে। তাদের কাউকে ছাড় দিলে চলবে না। এমনকি ঐ দুষ্ট চক্রকে উন্নয়ন মহাসড়কে উঠানো যাবে না। ঘরকোনো কোনা ব্যাঙ্গের ন্যায় ঘরে রেখেই উন্নয়ন কাজ সমাপ্ত করতে হবে। ঐ দুষ্ট চক্রের কোন অধিকার নেই এই দেশে নির্বাচন করার। সুতরাং চক্রান্তকারীদের নির্বাচনী অধিকার খর্ব করুন। নুতন আইনের মাধ্যমে এদেরকে এই দেশে বসবাসের অধিকার রহিত করা হউক। বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার এবং যুদ্ধাপরাধিদের বিচারের ন্যায় তাদের রাজনৈতিক এবং নাগরিক অধিকার বাতিল করে জঙ্গি এবং সন্ত্রাসী রাষ্ট্রে তাদেরকে ফেরত পাঠানো হউক। এই দেশ শান্তিপ্রীয় মানুষের এবং শান্তিপ্রীয় মানুষজন এই দেশে বসবাস করবে। দালাল, চাটুকার, জ্ঞানপাপী, সন্ত্রাসী, ধর্মীয় উগ্রবাদীদের, জঙ্গিদের এমনকি মুক্তিযোদ্ধ এবং বাংলাদেশ বিরোধীদের এই দেশে স্থান নেই। এইদেশ থেকে তাদেরকে বিতারন করতে হবেই নতুবা দেশপ্রেম, শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিনষ্ট হবে।
আগামী দিনের বাংলাদেশ বিনির্মানে প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করুন এবং দেশ মাতৃকার কল্যান সর্বপ্রথমে দেশকে গুরুত্ব দিন, দেশের সম্মান বৃদ্ধি করুন। অতিতের মতো দেশের বারোটা না বাজিয়ে শেখ হাসিনার পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়ন রূপরেখায় অংশগ্রহণ করুন। এগিয়ে নিয়ে যান দেশের অর্থনীতি, মর্যাদা এবং উন্নয়ন গতি। আগামী ২০৪১ পর্যন্ত এই সরকারকে কাজ করতে দিন যাতে আমরাও উন্নত বিশ্বের উন্নত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করতে পারি। ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল ভোগ করতে পারি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.