নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির আশু পরিবর্তন এবং ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির ব্যবহার

আমাদের দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি এবং সমাজ নীতি ও পরিবার সকল ক্ষেত্রেই সর্বাধিক ব্যবহারিত হয় নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি আলোকে। যা কাম্য নয় বা হওয়ার কথা নয় সেই বিষয়টিও আমরা প্রথমে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখে ব্যবহার, আচরণ এবং কাজে প্রকাশ করি। এই নেতিবাচক মহা ব্যধি থেকে বের হওয়া জরুরী কিন্তু কিভাবে এবং কখন শেষ হবে আমাদের মনের কোণে জমে থাকা কুসংস্কারাচ্ছন্ন নেতিবাচক মনোভাব।
হ্যা যাদি পরিবারই বলিনা কেন?… সেখানেও এটা হবে না, সে পারবে না, এটা করা যাবে না এই সকল নানাহ উৎপাত। সমাজ ব্যবস্থায়ও এই উৎপাতের প্রকোপ কম নয়? যদি বলি রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায়ও এই উৎপাতে জর্জরিত এমনকি কর্মক্ষেত্রও এর ছোবল থেকে মুক্ত নয়। এবার আসুন রাজনৈতিক অঙ্গনে এর প্রভাববলয় বেশী এবং বর্তমান রাজনীতির নীতির অংশটুকুকে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে এই অন্ধকারাছন্ন নেতিবাচাক মনোভাবের দৃষ্টিভঙ্গি।
সকল ক্ষেত্রেই বা সকল ব্যবস্থায়ই কোন কিছু শুরুর পূর্বেই এর পরিসমাপ্তি বা মৃত্যু ঘটিয়ে ফেলা হয় নেতিবাচক মনোভাব এবং দৃষ্টিভঙ্গির বহিঃপ্রকাশের মাধ্যমে। তারপরও যে দু’একটি ঐ করালঘ্রাসী মৃত্যু থেকে চড়াই উৎড়াই পার হয়ে সাফল্যের শেষ সীমায় পৌঁছে তারও বয়সের বা সময়ের দীর্ঘসূত্রীতা ঘটে। যার সুফল পাওয়া বা ঘরে তোলা বিলম্বিত হয়। এই অন্ধকারাচ্ছন্ন মরন ব্যধির হাত থেকে এখন সময় আমাদের জাতিকে, সমাজকে, পরিবারকে, রাষ্ট্রকে ও তাঁর কাঠামোকে রক্ষা করতে হবে। আর এর জন্য প্রয়োজন জনসচেতনতা এবং ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির সভৈব ব্যবহার।
সমাজে, পরিবারে, কর্মক্ষেত্রে ও রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় এমনকি ধর্মীয় আবরণেও এর পক্ষে বিপক্ষে অনেক যুক্তি এবং শিক্ষা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু এর ফলাফল ঘরে তোলা সম্ভব হচ্ছে না কারণ ঐ শিক্ষা এবং শিক্ষক ও সমাজ কাঠামোতেই গলদ রয়েছে। চর্চার রয়েছে যথেষ্ট ঘাটতি। বিশেষ করে ঐ সকল মুল্যবোধ সম্বলিত শিক্ষা দিতে গেল এর উৎসের দিকে যেতে হবে এবং ঐ সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত মুল্যবোধ এবং এর অভিপ্রায় নিজ জীবনে প্রয়োগ করে যে ফল পাওয়া যায় সেই আলোকে শিক্ষা দেওয়া এমনকি আদেশ নয় ঐ শিক্ষাটি বাস্তবমুখী এবং কাজের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হয় যার মাধ্যমে হয়ত একদিন এই জাতি ঐ অভিষাপ থেকে মুক্তি পাবে।
বলাবাহুল্য যে, আমাদের দেশের অরাজনৈতিক ব্যবসায়ী ব্যক্তির জীবনের জ্যোতির ছোয়ায় বাংলাদেশ পিছিয়ে গেছে অন্তত ২০ বছর। এদেশের গরীব মানুষজন শুভঙ্খরের ফাকির বলিতে পরিবার ভেঙ্গেছে এবং মানবেতর জীবনের অধিনভুক্ত হয়েছে। এইসকল সফল অপরাধবোধ তার জীবনে এখনো কোন প্রভাব বা অনুশোচনার ছাপ ফেলতে পারেনি। সেই অধম ব্যক্তিটি আমাদের বাংলার আভাগী সন্তান ড. ইউনুছ। তিনি বাংলাদেশ এবং এদেশের সম্পদ বিলিয়ে দিয়েছেন নরওয়ে থেকে শুরু করে ক্ষমতাধর রাষ্ট্র আমেরীকা এবং ক্ষমতাধর ব্যক্তিনী হিলারী ফাউন্ডেশনকে। সবকিছুর পিছনেই তার একটি লক্ষ ছিল। একটি লক্ষ অর্জিত হয়েছে নোবেল পাওয়ার মধ্যদিয়ে কিন্তু আরেকটির মুখ তিনি দেখতে পারেননি। যার মনোবেদনা নিয়ে তিনি নিরুপায় ও বিপদগ্রস্ত হয়ে হিলারীর পরাজয়ের পর বাংলাদেশে এসে গুলশানে বাসা বেধেছেন নতুন কোন ষড়যন্ত্রের আশায়। ওনার হস্তক্ষেপে পদ্মাসেতু বাধাগ্রস্ত হয়েছিল কিন্তু একেবারে স্তব্ধ হয়ে যায়নি। বরং বাঙ্গালী পারে এই কথাটির যথার্থ প্রমান করে দেখিয়েছে আমাদের সরকার। শেষ ফলে তিনি গ্রামীনের আশা ছেরে এখন আবার চেষ্টা তদবির চালাচ্ছেন রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র ঘিরে। ওনার নোংরামীর ফসল বাংলাদেশী আপামার জনগণ দেখেছে এবং আগামী দিনে কঠিন শাস্তির মধ্যেদিয়ে নতুন এক যুগের সুচনা হবে নবেল বিজয়ের লক্ষ্যে। আশা করি দেশবাসী অচিরেই এইশাস্তির ব্যবস্তা করবে।
নেতিবাচক মনোভাবের ঘোরে বসেই আমাদের রাজনীতির কলকাঠি নাড়ছেন সাবেক রাষ্ট্র পরিচালনায় অংশগ্রহণকারী বিএনপি। তাদের যে রোগ এখন কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে সেখানে সবচেয়ে বেশী কাজ করছে নেতিবাচক মনোভাব ও দৃষ্টিভঙ্গির বহিঃপ্রকাশ। এই সেদিনও রাষ্ট্রপতির প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিল কিন্তু যখনই রাষ্ট্রপতি একটি সফল উদ্যোগের ফল প্রকাশ করলেন এমনকি ঐ কমিটির লোকজন তাদের কাজও শুরু করতে পারেনি ঠিক সেই সময়েই গলা ফাটিয়ে খালি মাঠে গোল দেয়ার মত বুলি আওড়াচ্ছেন। আসলে বিএনপি এখন মৃত বানরের লেজ নাড়ার অবস্থায়ও নেই। এই বিএনপির উচিত ধৈয্য ধারণ করে শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করা নতুবা যে অবশিষ্টাংশটুকু আছে সেটিও হারাবে। আন্দাজ এবং নেতিবাচক চিন্তা ও এর বহিঃপ্রকাশ থেকে বের হয়ে আসতে হবে। নতুবা কোন লাভ হবে না বরং কান ধরে উসবস করার মত হবে। এখনও সময় আছে গঠনমূলক সমালোচনা এবং ইতিবাচক মনোভাবে প্রয়োগ ও ব্যবহার বাড়ানোর। বিএনপিকে একমাত্র মৃতবস্থা থেকে তুলে আনতে পারে ঐ ইতিবাচক মনোভাব এবং এর বহিঃপ্রকাশের মাধ্যমে। যারে দেখতে নারি তার চলন বাকা এই মনোভাব ও চর্চার বাইরে এসে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে কাজ করে কথা বলে আগামীর পথে এগিয়ে যেতে হবে। যার কোন বিকল্প নেই।
মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর প্রতি আস্থা রেখেই বলছি আমরা আপনার পদক্ষেপ এবং দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা বাস্তাবায়নের পক্ষে ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। এদেশের জনগণ এখন আপনাকে চায় আগামী দিনের স্বপ্নের সোনার বাংলা যেন ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে পৃথিবীর বুকে উচ্ছ আয়ের দেশ হিসেবে স্বীকৃতি নিয়ে পথ চলতে পারে সেই ব্যবস্থার স্থায়ীত্বের জন্য। আমরা বিশ্বাস করি আপনি সেই লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন এবং যেখানেই সমস্যা সেখানেই আমাদের সহায়তা ও পরামর্শ আপনার পাথেয় হয়ে থাকবে। আমরা আপনাকে ছায়ার মত পাহাড়া ও সুরক্ষা দেব আগামীর জন্য এবং পাশে এগিয়ে নিয়ে যাব সকল উন্নয়ন পরিকল্পনা। সকল প্রতিবদ্ধকতার সম্মুখীন হব সত্যের বার্তা নিয়ে প্রশান্তির পরশ বুলিয়ে। এগিয়ে যান সকল প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে। বিচার হউক লিটন হত্যার, নিরাপত্তা নিশ্চিত হউক সংসদ সদস্যদের। পাশাপাসি সাধারণ জনগণকেও নিরাপত্তা নিশ্চিতের তালিকায় রেখে কার্যক্রম হাতে নিন।
লিখাপড়া ও খেলাধুল করে স্বশিক্ষীত হতে যে পরামর্শ দিয়ে তা বাস্তবায়নে আপনার দৃষ্টি সজাগ রেখে এগিয়ে নিন আমাদেরকে। শিক্ষার বিকল্প নেই। শিক্ষাই পারে আমাদেরকে বদলে দিতে। জনবান্দব পুলিশ প্রশাসন একটি জনআকাঙ্খা। এই আকাঙ্খা বাস্তবায়নের জন্য প্রশাসন প্রশাসনিক ব্যবস্থার প্রতি দৃষ্টিনিবন্ধন করুন। যাতে আগামী জনগণও এই সুফল ভোগ করে আপনার এবং আপনার সরকারকে স্মরণীয় ও পুজনীয় করে রাখে যুগ-যুগান্তরের মারপ্যাচে।
আমরা দেখতে চাই এখনও যে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হয়নি তা যে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির দৃষ্টিতে আগামীল পথ চলার পাথেয় হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published.