বাংলাদেশ শিপ রিসাইক্লিং আইন-২০১৭ অনুমোদিতঃ শাস্তির বিধান কঠিনতর

টিআইএন॥ মন্ত্রিসভায় বাংলাদেশ শিপ রিসাইক্লিং আইন-২০১৭ খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে এই শিল্পের বিকাশের লক্ষ্যে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত সাপ্তাহিক বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, প্রস্তাবিত আইনের ৪ ধারার আওতায় শিপ রিসাইক্লিং শিল্পের জন্য চট্টগ্রামে একটি অঞ্চল নির্ধারণ করা হবে এবং এখানেই ইয়ার্ড নির্মাণ করতে হবে। এছাড়া এ শিল্পকে আন্তর্জাতিক ও প্রচলিত আইন মেনে চলতে হবে।
এই শিল্পের তদারকির জন্য একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতত্বে ১১ সদস্যের একটি নতুন বোর্ড গঠন করা হবে। এই বোর্ডে অতিরিক্ত সচিব চেয়ারম্যান এবং অন্যান্য সদস্যগণ হবেন- শিল্প, বন ও পরিবেশ, শ্রম ও কর্মসংস্থান, বিদ্যুৎ, জ্বালানি এবং খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়গুলো থেকে একজন করে প্রতিনিধি, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, শীপ রিসাইক্লিং ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশনের সভাপতি ও এই এসোসিয়েশন থেকে সরকার কর্তৃক মনোনীত ২ জন এবং বোর্ডের মহাপরিচালক।
এই বোর্ড রিসাইক্লিং শিল্পের কর্মকান্ড তদারকি করবে। বছরে ৩ বার বোর্ডের সভা বসবে। সচিব বলেন, কেউ অনুমতি ছাড়া বা নির্ধারিত জোনের বাইরে ইয়ার্ড স্থাপন করলে তার সর্বোচ্চ ২ বছর জেল বা ১০ লাখ থেকে ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দন্ড হতে পারে। এনওসি ছাড়া জাহাজ আমদানির ক্ষেত্রেও অনুরূপ শাস্তির বিধান রয়েছে। এছাড়া তীরে বা ডাঙ্গায় জাহাজ আনলে ও এনওসি ছাড়া রিসাইক্লিং করলেও একই জেল ও জরিমানার বিধান রয়েছে। তিনি বলেন, ভুয়া সনদ দিয়ে সুযোগ-সুবিধা নিলে সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫ বছর জেল ও ৫ লাখ থেকে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.