টিআইএন॥ রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের কফিনে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। পুস্পস্তবক অর্পণের পর তাঁরা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের প্রতি গভীর শ্রদ্ধার স্মারক হিসেবে সেখানে কিছুক্ষণ নিরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় মরহুমের মরদেহ আনা হলে প্রথমে রাষ্ট্রপতি এবং পরে প্রধানমন্ত্রী এই শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী এই অভিজ্ঞ পার্লামেন্টারিয়ানের কফিনে আবার পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, দলের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী সহ সংগঠনের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়া, জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম রওশন এরশাদ, জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, চীফ হুইপ এএসএম ফিরোজ, অন্যান্য হুইপগণ, ১৪ দলীয় জোট নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষে মরহুমের কফিনে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ দলের পক্ষ থেকে মরহুমের কফিনে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মরহুমের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁদের সান্তনা দেন। পরে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আসম ফিরোজ এ সময় মরহুমের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের বৃত্তান্ত তুলে ধরেন এবং সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত’র ছেলে সৌমেন সেনগুপ্ত এ সময় সংক্ষিপ্ত আলোচনায় অংশ নেন।
এর আগে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে সর্বসাধারণের দর্শন শেষে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত’র মরদেহ আনা হলে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তাঁকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
এ সময় মন্ত্রীবর্গ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাগণ, হুইপ সংসদ সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।