ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা(ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ গত শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারী ) রাতে কসবা উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামে পুর্ব শত্রুতার জের ধরে গ্রাম্য কবিরাজ ফরিদ মিয়া (৫০)কে গলা কেটে হত্যা করেছে দুবৃর্ত্তরা। এ ব্যাপারে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কসবা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গতকাল শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) সকালে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাক ওরফে হুরন মিয়ার পুত্র ৩ কন্যা সন্তানের জনক মো.ফরিদ মিয়া দীর্ঘদিন যাবত কবিরাজি পেশায় কাজ করে আসছে। তার স্ত্রী বিউটি বেগম বাবার বাড়িতে যাওয়ার সুযোগে পুর্ব শত্রুতার জেরে গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টায় রোগী সেজে চিকিৎসা নেয়ার জন্য কবিরাজ ফরিদ মিয়াকে ডাক দেয়। ঘরে থাকা ফরিদ মিয়ার স্কুলে পড়–য়া দুই নাতনী রোগীকে বলে তার নানা ঘরে নেই, পাশ্ববর্তী আবদুল মজিদের বিয়ে বাড়িতে আছে। তখন রোগী সেজে আসা ব্যক্তি তার মোবাইল ফোনে ডেকে ফরিদ কবিরাজকে ঘরে নিয়ে আসে। এসময় রোগী সেজে আসা ব্যক্তি সাথে করে বিস্কুট, আপেল ও এক বোতল প্যারাসুট নারিকেল তেল নিয়ে এসে ফরিদ মিয়ার ঘরে রাতযাপন করে। পরিকল্পিত ভাবে ফরিদ মিয়াকে হত্যা করে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় নিহতের ভাতিজা মো.মানিক মিয়া দুবৃর্ত্তদের দেখতে পায়। ওই সময় মানিক মিয়া বাড়ির পাশে ধানি জমিতে সেচ দিচ্ছিলেন। এদিকে ভোর বেলা কাজের লোক এসে দরজা খোলা দেখে ঘরে প্রবেশ করে ফরিদ মিয়াকে গলা কাটা ও পা বাধা অবস্থায় দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করে। খরব পেয়ে থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেছে।
নিহত ফরিদ কবিরাজের স্ত্রী বিউটি বেগম সাংবাদিকদের জানান; পুর্ব পরিকল্পিত ভাবে আমার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে। আমি এ ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি প্রদানের দাবী করছি।
অফিসার ইনচার্জ কসবা থানা মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, রোগী সেজে মোবাইল ফোন করে ফরিদ কবিরাজকে বিয়ের আসর থেকে ডেকে নিয়ে আসার মোবাইল ট্র্যাকিং এর মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীকে খুজে বের করা হচ্ছে।