স্বাধীনতা বা ইতিহাস রচনার মাসেই জঙ্গীবাদও লোভ নির্মূল করা হউক

এই মাসেই বঙ্গবন্ধু তার কালজ্বয়ী স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলো এবং সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করেছিল এই বীরের জাতী। আমরা গর্বীত সেইসকল বীর সেনানীদের দ্বীপ্তময় জীবনের জন্য। সেদিন যারা বঙ্গবন্ধুর সেই ভাষন এবং স্বাধীনতার ঘোষণা এমনকি অর্জনের দিক নির্দেশনা শুনেছিল এবং সেইমতে কাজ করে আমাদেরকে দিয়ে গেল এই সোনালী সম্ভাবনাময় সোনার বাংলাদেশ। যা পৃথিবীর ইতিহাসে একমাত্র বাংলাদেশই স্বগৌরবে স্থান দখল করে আছে। ৭ই মার্চ জাতি দেখিয়েছিল তাঁর অগ্নিমুর্তী আর সেই অগ্নিমূর্তির জোয়ারে ভেসে বঙ্গবন্ধু তাঁর বিশ্বাস, আশা এবং ভবিষ্যৎত বাংলাদেশ স্বাধীন এবং এর স্বাধীনতা ঘোষনা করে গিয়েছিল ২৬মার্চ রাতে। এবং সেই রাতেই তিনি গ্রেফতার হয়েছিল পাকিস্তানী হায়েনাদের হাতে। বঙ্গবন্ধু শুধু স্বপ্নই দেখাননি বরং স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে গিয়েছেন। দেশ স্বাধীন হলো এবং মৃত্যুপথযাত্রী বঙ্গবন্ধু ফিরে এলো তার প্রীয় মাতৃভূমিতে। ফিরে এসেই দেশ গড়ার কাজে হাত দিয়ে সর্বান্তকরণে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন এবং এর বীজ বপন করেছিলেন। কিন্তু দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীদের থাবায় দেশীয় বিপথগামাী কতিপয় স্বার্থবাদী নরপশুর হাতে বাংলাদেশ এবং এর স্বাধীনতা অস্তমীত হয় ১৫ই আগষ্ট এর কালো রাত্রে।
সেই থেকেই অন্ধকারের কীটদ্বয় স্ব-দাপটে চষে বেরিয়েছেন এই সোনার বাংলার প্রতিটি বালুকনায় এবং গেঢ়েছেন তাদের অন্ধকার জগতের দৃঢ় আস্তানা। স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তির মেরুদন্ডে ঘা ধরে ক্ষয় হতে শুরু হলো এবং দেশ উল্টো পথে এগিয়ে গিয়ে আশা-আকাঙ্খা এবং স্বপ্নের দোলা প্রায় ধুলিসাৎ হওয়ার পথে। ঠিক সেই সময়েই বাংলার আকাশে উদিত হলো এক নক্ষত্র যার নাম শেখ হাসিনা। তিনি আসলেন এবং হাল ধরলেন দেশের উন্নয়নের সোনালী অধ্যায়ের। এই পথ ছিল ভঙ্গুর এবং কঠিন। ধীরে ধীরে নিজে প্রস্তুত হলেন এবং দেশবাসীকে প্রস্তুত করলেন আবার সেই বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে স্বপ্নের পুনরুজ্জ্বীবন ঘটানোর নেপথ্যে।
শেখ হাসিনার দৃড়তা এবং নেতৃত্বগুণ এমনকি সুপরিকল্পিত সুদুড়প্রসারী পরিকল্পনায় ধীরে ধীরে দেশ এগিয়ে এসেছে আজকের স্তরে। দেশে, জাতি এবং সমাজের এই উন্নয়ন বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথেই ঘটেছে। শুধু পদক্ষেপ এবং যুগোপযোগী বাস্তবায়নে দ্রুতলয়ে গন্তর্বে পৌঁছে যাচ্ছে। এই গন্তর্বে পৌঁছার ক্ষেত্রেও এখন সেই অন্ধকারের শক্তির মুর্তিমান বাধা। বিদেশী ষড়যন্ত্রের অন্তরালে দেশীয় দালাল চক্র এবং বিএনপি-জামাত জোটের বিভিন্ন অপকর্মের ফল উন্নয়নের অগ্রগতিকে আকঁড়ে ধরেছে আর বার বার বের হয়ে এসে গন্তব্যের দিকে ছুটতে সময়-শ্রম এবং অর্থের অপচয়ের পাশাপাশি সৃষ্টির সেরা জীব আশরাফুল মাকলুকাত এর জীবনাবসান ঘটছে। প্রতিনিয়তই ঘটে যাচ্ছে। তবে হরতাল, জালাও পোড়াও এই ছদ্ধাবরণে আর জানমালের ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। কারণ মেরুদন্ড দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন কিন্তু মুখ, চিন্তা এবং অন্ধকারের শক্তির সঙ্গে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র এখনও বন্ধ করা যায়নি। বরং নুতন মুড়কে বার বার আভির্ভাব ঘটছে।
এইতো জঙ্গি নেই ঘোষনার একদিন পরই অবিস্কৃত এবং ধৃত হলো নতুন সংস্করণে জঙ্গি আস্তানা এবং ঐ আস্তানায় অবস্থানরতদের জীবিত ও মৃত উদ্ধারই প্রমান করে যে মরন কামড় দেয়ার জন্য সুযোগ খুজেছে এবং তাদের ধারাবাহিক কার্যক্রম চালানোর জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আমাদের সবাইকে সজাগ থাকতে হবে সকল দিক থেকে। সরকার এবং এর বাহিনীগুলোই যে প্রতিরোধ করবে তা নয় বরং সকল নাগরিক মিলেই একসঙ্গে ঐ অন্ধকারের কীট এবং উন্নয়ন বিরোধী তথা বাংলাদেশ বিরোধীদের রুখে দাঁড়াতে হবে। সমুলে তাদের মুলোৎপাটন করতে হবে। দলীয় নেতা কর্মীদের দিকে না তাকিয়ে শুধু শেখ হাসিনা এবং উন্নয়ন এই দুইয়ের দিকে তাকিয়ে কাজ করতে হবে। নিজের উন্নয়নের কথা না ভেবে সামষ্টিক উন্নয়নের কথা ভেবে এগুতে হবে। এই মার্চেই আমাদের দিকনির্দেশনা দিয়েছিল বঙ্গবন্ধু অসম্ভবকে সম্ভবে পরিণত করার। এই মার্চ মাসেই ঘোষিত হয়েছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার। সুতরাং এই মার্চ মাসেই শপথ হউক বাংলাদেশ বিরোধী; উন্নয়ন বিরোধী এবং অন্ধকারের কীট, দালাল ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র প্রতিহতের।
বাংলাদেশী এবং বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে কিন্তু কোন বাঙ্গালীনির কপালে তিলক আটবে বা কলঙ্কের বোঝা চাপিয়ে দেয়া হবে তা হবে না। বিদেশের মাটিতে কোন বাংলাদেশীর মাথা নত হউক, ইজ্জতে আঘাত লাগুক তা দেখতে ও শুনতে চাই না। বরং দেখতে চাই স্ব স্ব ক্ষেত্রে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশীরা স্ব ভাবমূর্তীতে মুহ্যমান। কোথাও কোন সমস্যা দেখা বা শুনা গেলেই সরকার এবং বাংলাদেশীরা যার যার অবস্থান থেকে কার্যকরী সহয়োগীতায় এগিয়ে আসবেন। সমস্যার সম্মানজনক সমাধানে পৌঁছবেন এটাই এযুগের চাহিদা এবং আমাদের কামনা।
আন্তর্জাতিক চক্রান্তের কাছে আর যেন কোন অবস্থানেই আমাদের হারতে না হয়। দলীয় ক্ষমতা, রাষ্ট্রীয় নীতি এবং দেশীয় উন্নয়ন গতি সব ক্ষেত্রেই আমাদের এখন বিচক্ষনতার পরিচয় বহন করতে হবে। বর্তমান উন্নয়ন গতির ঐক্য সুদৃঢ় করতে হবে। ঐ ঐক্যই আমাদেরকে আগামীর পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে সকল চক্রান্ত অতিক্রম করে।  নির্বাচন নির্বাচন নিয়ে মুখে ফেনা তুললেও লাভ নেই নির্বাচন হবে নির্ধারিত সময়ে আর সেই সময় হচ্ছে আগামী ১৮ এর ডিসেম্বর। সবাই প্রস্তুতি নিন ঐ সময়ের নির্বাচনের জন্য। দল এবং নিজ অবস্থান পরিস্কার করুন আগামী দিনের উন্নয়ন গতির ধারাবাহিকা রক্ষার লড়াইয়ে নিজেকে সামিল করতে।
উচ্চ শিক্ষা আমাদের দেশের জন্য অতিব জরুরী এবং উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এই উচ্চ শিক্ষা যখনই ব্যবসায়ীদের ব্যবসার পণ্যে পরিণত হয়েছে তখনই ঘটেছে বিপত্তি। এই শিক্ষাকে মুনাফা অর্জনের লক্ষে বিভিন্নজন অনৈতিক এমনকি দেশ বিরোধী চক্রান্তে জড়িয়েছে। তাদের মূলমন্ত্র হচ্ছে দেশ রসাতলে যাক কিন্তু নিজের আখেরতো গোছানো হচ্ছে। ঐ অবস্থা থেকে বের হতে হলে সরকার এবং এর পাশাপাশি জনগণকে সচেতন এবং ভেবে চিন্তে পদক্ষেপ নিতে হবে। কোন সমস্য বা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনবার পেছনের মূলে গিয়ে যাচাই বাছাই এবং পর্যবেক্ষণ নিরীক্ষণ বাড়াতে হবে। খোদায়ী মূল্যবোধ এর প্রয়োগ বাড়াতে হবে। পরামর্শের জন্য জ্ঞান, গুণি এবং পরোপকারী মানুষের মুখাপেক্ষী হতে হবে। মোট কথা প্রয়োজনে তিনমাথার নিকট গিয়ে জীবনের স্বাধ আহলাদ পুরনের ব্যবস্থা করতে হবে।
চিকিৎসা পেশা একটি মহৎ পেশা আর এই পেশার অন্তরালেই চলছে সবচেয়ে নিকৃষ্ট কাজ। মানুষের জীবনের শেষ মুহুর্তে যখন সর্বদিক থেকে একটি মানুষ নিজেকে সমর্পন করে অর সেই সময়েই বিবেক বিবর্জিত কাজটি করে নর খাদক মানুষগুলো। এই উচ্চশিক্ষার কি মুল্য আছে? অশিক্ষিত মানুষজন অনেক ভাল। সরকারী টাকায় পড়ে এসে জনগণের উপর শাসন এবং জুলুম চালানোর অধিকার কে দিয়েছে? মৃতকে জীবিত বলে টাকা আদায়ের মহোৎসবে মেতেছে এই ব্যবসায়ী নরখাদক দল। সরকারের নিকট আবেদন চিকিৎসায় এবং শিক্ষায় যে ব্যবসা তা বন্ধ করতে হবে। সরকারের নজরদারি বাড়াতে হবে এবং জনগণকে তার অধিকার সম্পর্কে আরো সচেতন করার ব্যবস্থা করতে হবে। নতুবা আরো অনেক ন্যাক্কার জনক ঘটনার জন্ম হবে এবং মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব বিনষ্ট হবে।
এই আগষ্টেই আমাদের সকল অন্যায়, অনাচার, সমাজ বিরোধী, রাষ্ট্রী বিরোধী, উন্নয়ন বিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে এবং বঙ্গবন্ধুর শেখানো ও দেখানো পথে ভঙ্গুর পথে হেটে গিয়ে অসম্ভকে সম্ভবে পরিণত করতে হবে। শপন নিতে হবে জঙ্গিবাদ নির্মূলের এবং লোভ-লালসা নিমূলের; নূতন সোনালী ইতিহাস রচনার। দাঁড়াতে হবে সম্ভবনাময় উজ্জ্বল বাংলাদেশের তরে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.