বাহুবলে প্রথম পালিত হলো ‘বঙ্গবন্ধু’র জন্মদিন এবং ‘গণহত্যা দিবস’ পালনে ব্যাপক প্রস্তুতি

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি॥ গত মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০১৭: স্বাধীনতার ৪৬ বছরে এসে এমপি কেয়া চৌধুরী’র নেতৃত্বে জেলার বাহুবলের মাটিতে পালন করা হলো ‘বঙ্গবন্ধু’র জন্মদিন।  উপজেলার মিরপুর আলিফ সোবহান চৌধুরী কলেজে দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানে ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন। আলোচনা সভা। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কলেজ গভার্নিং বডি’র সভাপতি এমপি কেয়া চৌধুরী। এ অনুষ্ঠানে আলিফ সোবহান কলেজ, মিরপুর এলাকার নানা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। অংশ নেয় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, সন্তান কমান্ড, আওয়ামীলী পরিবারের তৃণমূল নেতাকর্মী।
‘বঙ্গবন্ধু’র জন্মদিন পালনের ধারাবাহিকতায় এই প্রথম ২৫ মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’ পালনেরও প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। এছাড়া ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা’ দিবসও কলেজটিতে প্রথমবারেরমত পালন করা হয়েছে। এর পূর্বে এ উপজেলায় এসব জাতীয় অনুষ্ঠান এভাবে আনুষ্ঠানিকতায় পালন হয়নি। সবই হচ্ছে এমপি কেয়া চৌধুরী’র দায়িত্বশীল ভূমিকায়।
সূত্র জানায়, জননেত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক এমপি নির্বাচিত হলে ২০১৫ সালে   এমপি কেয়া চৌধুরীকে আলিফ সোবহান চৌধুরী কলেজ  গভার্নিং বডি’র সভাপতি করা হয়। তিনি দায়িত্ব নিয়েই জাতীয় দিবসগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে পালনের উদ্যোগ নেন। সে সময়ে কলেজ ক্যাম্পাসে ছিল না, ‘শহীদ মিনার’ ও ‘বঙ্গবন্ধু’র প্রতিকৃতি।
এসব নির্মাণে জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে এমপি কেয়া চৌধুরী বরাদ্দ নিয়ে আসেন। বরাদ্দক্রমে ২০১৬ সালে কলেজ প্রাঙ্গণে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি’ ও ভাষা শহীদদের স্বরণে একটি বড় ‘শহীদ মিনার’ নির্মাণ হয়।
এ ব্যাপারে মিরপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সাইফুদ্দিন লিয়াকত বলেন, ১৯৯৩ সালে নির্মিত এ কলেজ। এরপর থেকে এভাবে এ কলেজে জাতীয় দিবস পালন করা হয়নি। কিন্তু এমপি কেয়া চৌধুরী দায়িত্ব পাওয়ার পর, হতে একে একে জাতীয় সবকটি দিবস ব্যাপকভাবে পালন হচ্ছে।
কলেজ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান জানান, এমপি কেয়া চৌধুরী পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্বে আসার পর,  কলেজের আমূল পরিবর্তন হয়েছে। তিনি অনার্স কোর্স নিয়ে এসেছেন। কলেজকে জাতীয়করণ করে দিয়েছেন। বরাদ্দ এনে কলেজ প্রাঙ্গণে ‘শহীদ মিনার’ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘প্রতিকৃতি’ তৈরী করে দেন। এখন থেকে ব্যাপকভাবে জাতীয় দিবসগুলো পালন হচ্ছে। এতে এমপি কেয়া চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ওসি, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, সাংবাদিক, আওয়ামী পরিবারের নেতাকর্মীসহ তৃণমূলের লোকজন অংশগ্রহণ করছেন। তিনি জানান, এমপি কেয়া চৌধুরী’র নেতৃত্বে ‘গণহত্যা’ দিবসকে সামনে রেখে ব্যাপকভাবে প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
এমপি কেয়া চৌধুরী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু’র জন্ম না হলে, বাংলাদেশ হতো না। তাই এ কলেজে বরাদ্দ দিয়ে ‘প্রতিকৃতি’ নির্মাণ করেছি।  বাহুবলের মাটিতে এই প্রথম জাতির পিতা’র ‘জন্মদিন’ পালন করতে পেরেছি।  শহীদ মিনার ছিল না। বরাদ্দ দিয়ে ‘শহীদ মিনার’ নির্মাণ করেছি। ‘গণহত্যা’ দিবসও পালন করব। কলেজের শিক্ষারমান এগিয়ে নিতে কাজ করছি। জাতীয়করণ এনে দিয়েছি। সবই জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র অবদান। এসব করছি নতুন প্রজন্মকে সঠিক পথে নিয়ে যাওয়ার জন্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published.