মুফতি হান্নানের ফাঁসিতে যুক্তরাজ্যের সাবেক রাষ্ট্রদূত’র অনুভুতি

আন্তর্জাতিক ডেক্স॥ সাবেক ব্রিটিশ হাই কমিশনারের উপর গ্রেনেড হামলা চালিয়ে তিন জনকে হত্যার বিচারকে ঠিক বললেও সাজা হিসেবে মৃত্যুদন্ডের বিরোধিতা পুনর্ব্যক্ত করেছে যুক্তরাজ্য। ২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটে ব্রিটিশ হাই কমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর হামলার ওই ঘটনায় সব আইনি প্রক্রিয়া শেষে বুধবার রাতে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের নেতা মুফতি আব্দুল হান্নান ও তার দুই সহযোগীর মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার এক প্রশ্নের জবাবে ঢাকায় যুক্তরাজ্যের হাই কমিশন বলেছে, সিলেটে হযরত শাহজালালের মাজার মসজিদে হামলার ঘটনা ‘খুবই মর্মান্তিক’। “এটা ঠিক যে, সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হয়েছে। যেকোনো অবস্থায়, মৃত্যুদন্ডের সাজার বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্য তার দীর্ঘদিনের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করছে।” মুফতি হান্নান, দেলোয়ার হোসেন রিপন ও শরীফ শাহেদুল বিপুল ১৭ বছর আগে ব্রিটিশ হাই কমিশনার আনোয়ার চৌধুরীকে হত্যার উদ্দেশ্য নিয়ে জঙ্গিরা হযরত শাহজালালের মাজার প্রাঙ্গণে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল। আনোয়ার চৌধুরী প্রাণে বেঁচে গেলেও সেদিন দুই পুলিশ সদস্যসহ তিনজন নিহত হন।
ঘটনার দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী বাংলাদেশের শীর্ষ নেতা মুফতি হান্নান, শরীফ শাহেদুল বিপুল ও দেলোয়ার হোসেন রিপনকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়। এর আগে জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতাসহ যুদ্ধাপরাধীদের মৃত্যুদন্ড কার্যকরের সমালোচনা করে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের ফলাও করে সংবাদ প্রচার করা হলেও মুফতি হান্নানের ফঁসি কার্যকরের ঘটনায় বিবিসি ছাড়া আর কোথাও চোখে পড়েনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.