স্যার ফজলে হাসান আবেদের ৮১তম জন্মবার্ষিকীতে উষ্ণ অভিনন্দন জানাই। ৮১ বছর পূর্ণ হলো। অন্তরের অন্তস্থল থেকে শুভ জন্মদিনের শুভেচ্ছা

হানিফ॥ ৮১ বছর পেরিয়ে আজও সন্ধ্যা থেকে ভোর রাত পর্যন্ত উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের আসর উপভোগ করতে ভালোবাসেন। তার ভালো লাগে রবীন্দ্রনাথের গান, কবিতা ও শেকসপিয়রের সনেট; তাকে আহত করে নারী-পুরুষ বৈষম্য, সাম্প্রদায়িকতা, বাল্যবিয়ে, নারী নির্যাতন, অপশাসন ও গণতন্ত্রহীনতা। বিনয়ী, মিতভাষী, অসাম্প্রদায়িক চেতনাসম্পন্ন, শিল্প-সাহিত্যানুরাগী এবং কঠোর সংগ্রামের মধ্য দিয়ে দরিদ্রের দিশারি হয়ে ওঠা স্যার ফজলে হাসান আবেদের ৮১তম জন্মবার্ষিকীতে আবারও উষ্ণ অভিনন্দন জানাই। সাহেব থেকে সেবক স্যার আবেদের খুব ছোট একটা জায়গা শাল্লা দিয়ে যাত্রা শুরু। আর এখন সারাবিশ্বে জয়গান নীড় ছোট ক্ষতি নেই, আকাশ তো বড়।
নিজের কাছে ফজলে হাসান আবেদ – নিজের সম্পর্কে ফজলে হাসান আবেদ বলেন, ‘মানুষ হয়ত মনে করে, আমি একজন সফল মানুষ। আমি নিজের কাজে খুশি কিন্তু আত্মতৃপ্ত নই। এটা ভাবতে ভাল লাগে যে, আমি মানুষের জন্য কাজ করছি। যাদের কথা কেউ ভাবে না আমি তাদের কথা ভাবছি। তাদের জন্য কিছু করতে পেরেছি। বাংলাদেশে বাস করে কারও পক্ষে আত্মতৃপ্ত হওয়া সম্ভব নয়। মানুষের দুঃখ, কষ্ট, দারিদ্র্য দেখে আত্মতৃপ্ত হওয়া যায় না। মানুষ যে কত অসহায় হতে পারে আমি কাজ করতে গিয়ে তা দেখেছি। মাঝে মাঝে মনে হয়, এই মানুষগুলোর জন্য খুব বেশি কিছু করতে পারলাম কই? তারপরও আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের দারিদ্র্য বিমোচনের ক্ষেত্রে আমরা সামান্য হলেও অবদান রাখতে পেরেছি। আমরা দরিদ্র মানুষের জন্য অনেক কাজ করেছি, এখনও করছি। তবে এও বলি, এখনও অনেক মানুষ দরিদ্র রয়ে গেছে, তাদের জন্য আমরা এখনও কিছুই করতে পারিনি।’
স্যার ফজলে হাসান আবেদ, কেসিএমজি (জন্ম:২৭ এপ্রিল, ১৯৩৬) একজন বাংলাদেশী সমাজকর্মী এবং বিশ্বের বৃহত্তম বেসরকারী সংগঠন ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান। সামাজিক উন্নয়নে তাঁর অসামান্য ভূমিকার জন্য তিনি র্যা মন ম্যাগসেসে পুরস্কার, জাতিসংঘ উন্নয়ন সংস্থার মাহবুবুল হক পুরস্কার এবং গেটস ফাউন্ডেশনের বিশ্ব স্বাস্থ্য পুরস্কার লাভ করেছেন। দারিদ্র বিমোচন এবং দরিদ্রের ক্ষমতায়নে বিশেষ ভূমিকার স্বীকৃতিস্বরূপ ব্রিটিশ সরকার তাঁকে নাইটহুডে [১] ভূষিত করে।
জন্ম ও প্রাথমিক জীবন – ফজলে হাসান আবেদ ১৯৩৬ সালের ২৭ এপ্রিল হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচংয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন একজন ধনাঢ্য ভূস্বামী। তাঁর মায়ের নাম সৈয়দা সুফিয়া খাতুন। তাঁর পূর্বপুরুষরা ছিলেন ঐ অঞ্চলের অনেক বড় জমিদার। ফজলে হাসান আবেদের পরিবারের সবাই ছিলেন শিক্ষিত। দাদারা ছিলেন চার ভাই। তাঁরা সকলেই কলকাতা গিয়ে পড়াশোনা করেছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিষয়ে ও পরে ব্রিটেনের গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। পরবর্তীতে তিনি শেল অয়েল কোম্পানীতে অর্থনৈতিক কর্মকর্তা হিসাবে যোগ দেন।
শিক্ষাজীবন- ফজলে হাসান আবেদের শিক্ষাজীবন শুরু হয় হবিগঞ্জে। হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণী থেকে ষষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। পরবর্তীতে দেশভাগের ঠিক আগে তাঁর বাবা পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হয়ে হবিগঞ্জ থেকে গ্রামের বাড়ি বানিয়াচংয়ে চলে আসেন। পরবর্তীতে তিনি চাচার চাকুরীস্থলে ভর্তি হন কুমিল্লা জেলা স্কুলে। সপ্তম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সেখানেই লেখাপড়া করেন। এরপর চাচা জেলা জজ হিসেবে পাবনায় বদলি হওয়ায় তিনিও চাচার সাথে পাবনায় চলে যান এবং পাবনা জেলা স্কুলে ভর্তি হোন। সেখান থেকেই ১৯৫২ সালে ম্যাট্রিক পাশ করেন। ১৯৫৪ সালে এইচএসসি পাস করেন ঢাকা কলেজ থেকে। সেবছরই তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিজিক্স বিভাগে অনার্সে ভর্তি হন। ১৯৫৬ সালের অক্টোবর মাসে তিনি স্কটল্যান্ডে গিয়ে গ্লাসগো ইউনিভার্সিটিতে নেভাল আর্কিটেকচারে ভর্তি হন। নেভাল আর্কিটেকচারের কোর্স ছিল চার বছরের। দুবছর লেখাপড়া করে কোর্স অসমাপ্ত রেখে ১৯৫৬ সালে গ্লাসগো ইউনিভার্সিটি ছেড়ে লন্ডন চলে যান এবং সেখানে ভর্তি হন অ্যাকাউন্টিংয়ে। এখানে কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টিংয়ের উপর চার বছরের প্রফেশনাল কোর্স পাশ করেন ১৯৬২ সালে। এ ছাড়া তিনি ১৯৯৪ সালে কানাডার কুইনস ইউনিভার্সিটি থেকে ‘ডক্টর অব ল’ এবং ২০০৩ সালে যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার ইউনিভার্সিটি থেকে ‘ডক্টর অব এডুকেশন’ ডিগ্রি লাভ করেন।
কর্মজীবন- চার্টার্ড অ্যাকাউন্টিংয়ে পড়াকালীন সময়ে ১৯৫৮ সালে ফজলে হাসান আবেদের মায়ে মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে তিনি লন্ডনে চাকরিতে যোগদান করেন। কিছুদিন চাকরি করার পর চলে যান কানাডা। সেখানেও একটি চাকরিতে যোগ দেন। পরে চলে যান আমেরিকা। ১৯৬৮ সালে তিনি দেশে ফিরে আসেন। দেশে এসে তিনি শেল অয়েল কোম্পানির হেড অব ফাইন্যান্স পদে যোগদান করেন। এখানে চাকরির সময় সত্তরের প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় হয়। ফজলে হাসান আবেদ উপদ্রুত এলাকা মনপুরায় গিয়ে ত্রাণকাজ পরিচালনা করেন। এর চারমাস পর শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধ শেষ হলে তিনি আর চাকরিতে ফিরে যাননি।
জীবন থেকে শিক্ষাগ্রহণ করে এগিয়ে গেছেন ফজলে হাসান আবেদ
রৌমারিতে কাজ করতে গিয়ে ব্র্যাক অনেক কিছু শিখেছিল। তাঁদের অভিজ্ঞতাও হয়েছিল অনেক। ফজলে হাসান আবেদের পর্যবেক্ষণে উঠে এল : দুর্ভিক্ষের সময় পুরুষেরা বাড়ি ছেড়ে চলে যায়, কিন্তু মহিলারা চলে যেতে পারে না। মহিলারা সন্তানদের নিয়ে বেঁচে থাকার সংগ্রাম করে যায়। তিনি গভীরভাবে উপলব্ধি করলেন, বাংলাদেশের সামাজিক জীবনধারায় মহিলাদের অবদান খুব গুরুত্বপূর্ণ। পরিবারের যে কোন বিপর্যয়ে মহিলারা শেষ পর্যন্ত লড়াই করে বিপদ থেকে মুক্ত হওয়ার চেষ্টা করে। তিনি বলেন, ‘আমরা দেখতাম, যে মহিলারা বাচ্চাদের নিয়ে পুষ্টিকেন্দ্রে এসেছে, তারা নিজেরাই অপুষ্টির শিকার। তাদেরকে দেখতাম বাচ্চাদের মুখে খাবার তুলে দিচ্ছে। বাচ্চার খাবার থেকে কোনো মহিলা নিজে একটু খেয়েছে এমন দৃশ্য কোনোদিন দেখিনি। পুরো ব্যাপারটি আমার মধ্যে এক আলোড়ন এনে দেয়। আমি ভাবতে থাকি, কোনো একটি কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের এই মহিলাদের যদি সহযোগিতা করা যায়, তাহলে তারা অনেক কিছু করতে পারবে। তারাই পারবে বাংলাদেশকে উন্নতির পথে নিয়ে যেতে। সে যোগ্যতা তাদের আছে। তবে তাদের সুযোগ করে দিতে হবে। …এরকম ভাবনার পেছনে আরও কিছু বিষয় আমার মধ্যে কাজ করেছিল। চার-পাঁচ বছরের একটা মেয়েশিশু তার ছোটবোন বা ভাইকে দেখাশুনা করে, কিন্তু একটা ছেলেশিশু এটা করে না। আসলে ছোটবেলা থেকেই মেয়েরা তুলনামূলকভাবে অনেক দায়িত্বশীল। মেয়েশিশুরা রান্নার কাজে মাকে সহযোগিতা করে, গরু-ছাগল দেখাশুনা করে।
ছয়-সাত বছর বয়স হলে লাকড়ি কুড়োতে যায়। ক্ষেত থেকে শাক তুলে আনে। দরিদ্র পরিবারের সন্তান হলে চোদ্দ-পনের বছর বয়সে সেই মেয়েটির বিয়ে হয়ে যাবে। বিয়েও হবে আরেক দরিদ্র পরিবারে। অল্পদিনের মধ্যেই সে দু-তিনটি সন্তানের মা হবে। স্বামীর রোজগারে সংসার চলবে না। পাড়া-প্রতিবেশীদের কাছ থেকে চেয়েচিন্তে বা কাজ করে তাকেই বাচ্চাদের খাবার জোগাড় করতে হবে। বাড়িতে আত্মীয়স্বজন এলে তাদেরও আপ্যায়নের ব্যবস্থা করতে হবে। এটাই হল আমাদের সামাজিক চিত্র, কঠোর জীবনবাস্তবতা। আমি দেখেছি, নিম্নবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত এমনকি মধ্যবিত্ত পরিবারেও অভাব-অনটন মোকাবেলা করে মহিলারা। …আমি গভীরভাবে একটা বিষয় ভেবেছি, মহিলারা যদি তাদের পারিবারিক তথা সাংসারিক জীবনে এ ধরনের জটিল সমস্যার সমাধান করতে পারে, তাহলে তাঁরা উন্নয়নকাজও করতে পারবে সমান দক্ষতায়। এজন্যই ব্র্যাকের সব কর্মক্ষেত্রে আমরা মহিলাদের অগ্রাধিকার দিয়েছি।’
কিন্তু ফজলে হাসান আবেদ একসময় রৌমারিতে কাজ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছিলেন। ত্রাণসামগ্রী বিতরণে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের দুর্নীতির প্রতিবাদ করেও যখন কোনো ফল হল না, তখন তারা রৌমারি থেকে ব্র্যাকের কার্যক্রম গুটিয়ে নিয়ে চলে আসেন। এরপর ব্র্যাক কাজ শুরু করে মানিকগঞ্জে। মানিকগঞ্জে হল ব্র্যাকের তৃতীয় প্রজেক্ট।
ব্র্যাক প্রতিষ্ঠা-১৯৭০ সালে ফজলে হাসান আবেদ বাংলাদেশের ভয়াবহ ঘূর্ণীঝড়ে আক্রান্ত দুঃস্থ মানুষের সাহায্যে ত্রাণ কর্মকান্ডে জড়িত হন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালের ১৭ জানুয়ারি তিনি দেশে ফিরে আসেন। ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ব্র্যাকের জন্ম। যুদ্ধের পর সিলেটেরশাল্লায় ধ্বংসস্তূপের মধ্যে বসবাসরত লোকজনকে দেখতে গেলেন। সেখানে গিয়ে সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি শাল্লায় কাজ করবেন। এভাবেই স্বাধীন বাংলাদেশের দরিদ্র, অসহায়, সবহারানো মানুষের ত্রাণ ও পুনর্বাসনকল্পে শুরু করলেন ‘ইধহমষধফবংয জবযধনরষরঃধঃরড়হ অংংরংঃধহপব ঈড়সসরঃঃবব’ সংক্ষেপে যা ‘ইজঅঈ’ নামে পরিচিত। ১৯৭৩ সালে সাময়িক ত্রাণকার্যক্রমের গন্ডি পেরিয়ে ব্র্যাক যখন উন্নয়ন সংস্থা হিসেবে কাজ শুরু করে, তখন ‘ইজঅঈ’-এই শব্দসংক্ষেপটির যে ব্যাখ্যা গ্রহণ করা হয়, সেটি হল ‘ইধহমষধফবংয জঁৎধষ অফাধহপবসবহঃ ঈড়সসরঃঃবব’। বর্তমানে ব্যাখ্যামূলক কোনো শব্দসমষ্টির অপেক্ষা না রেখে এই সংস্থা শুধুই ‘ইজঅঈ’ নামে পরিচিত। কবি বেগম সুফিয়া কামাল, অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক, কাজী ফজলুর রহমান, আকবর কবীর, ভিকারুল ইসলাম চৌধুরী, এস আর হোসেন এবং ফজলে হাসান আবেদ, এই সাতজনকে নিয়ে ১৯৭২ সালে ব্র্যাকের গভর্নিং বোর্ড গঠিত হল। বোর্ড ফজলে হাসান আবেদকে প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব অর্পণ করে। কবি বেগম সুফিয়া কামাল হলেন ব্র্যাকের প্রথম চেয়ারম্যান। ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে ফজলে হাসান আবেদ ব্র্যাকের চেয়ারপারসন পদে অধিষ্ঠিত রয়েছেন।
ব্র্যাকের অন্যান্য কার্যক্রম
উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম
স্বাস্থ্য কার্যক্রম
কারুশিল্পীদের পণ্য বিপণন কেন্দ্র ‘আড়ং’
অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসূচি (সিএফপিআর-টিইউআর)
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি
ব্র্যাক ব্যাংক
ব্র্যাক এন্টারপ্রাইজ
ব্র্যাক নেট
স্কিল ডেভলপমেন্ট প্রোগ্রাম
আরবান ডেভলপমেন্ট প্রোগ্রাম
পুরস্কার
র্যা মন ম্যাগসেসে পুরস্কার, সামাজিক নেতৃত্বের জন্য , ১৯৮০।
ইউনেস্কো নোমা পুরস্কার (১৯৮৫)
এ্যালান শন ফেইনস্টেইন ওয়ার্ল্ড হাঙ্গার পুরস্কার (১৯৯০)
ইউনিসেফ মরিস পেট পুরস্কার (১৯৯২)
সুইডেনের ওলফ পাম পুরস্কার (২০০১)। “দারিদ্র বিমোচন ও দরিদ্র মহিলাদের ক্ষমতায়নের জন্য।”
শোয়াব ফাউন্ডেশন “সামাজিক উদ্যোক্তা” পুরস্কার (২০০২)
গ্লেইটসম্যান ফাউন্ডেশন পুরস্কার (২০০৩)
জাতীয় আইসিএবি (২০০৪)
জাতিসংঘ উন্নয়ন সংস্থার মাহবুব-উল-হক পুরস্কার (২০০৪), সামাজিক উন্নয়নে অসামান্য ভূমিকার জন্য।
গেটস ফাউন্ডেশনের বিশ্ব স্বাস্থ্য পুরস্কার (২০০৪)
হেনরি আর. ক্রাভিস পুরস্কার (২০০৭)
প্রথম ক্লিনটন গ্লোবাল সিটিজেন পুরস্কার (২০০৭)
পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন আজীবন সম্মাননা পুরস্কার (২০০৭)
ডেভিড রকফেলার পুরস্কার (২০০৮)
দারিদ্র বিমোচনে বিশেষ ভূমিকার জন্য ব্রিটেন কর্তৃক ২০০৯ খ্রিস্টাব্দে “নাইটহুডে” ভূষিত।
এন্ট্রাপ্রেনিওর ফর দ্য ওয়ার্ল্ড পুরস্কার (২০০৯)
ওয়াইজ পুরস্কার (২০১১)
সেন্ট্রাল ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি ওপেন সোসাইটি পুরস্কার (২০১৩)
লিও তলস্তয় আন্তর্জাতিক স্বর্ণপদক (২০১৪)
বিশ্ব খাদ্য পুরস্কার (২০১৫)

Leave a Reply

Your email address will not be published.