নির্মম ও বাকরুদ্ধ মানবতা: বাবা-মেয়ের আত্মহত্যা

নয়ন॥ হযরত আলীর কথা ভাবছি। আট বছরের মেয়ে আয়েশা আক্তারকে নিয়ে আত্মঘাতী হওয়া বাবা তিনি। মানুষ কখন, কোন পরিস্থিতিতে আত্মঘাতী হয়, সে কথাই ভাবছি। জীবন তো একটাই। এই এক জীবনের মূল্য মানুষের কাছে সবচেয়ে বেশি। তাই অমূল্য জীবনকে ঘিরে মানুষের যত স্বপ্ন, সংগ্রাম। বেঁচে থাকার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা। তাহলে মেয়েসহ হযরত আলী কেন আত্মঘাতী হলেন?
গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বাবা হয়ে পালিত মেয়ে আয়েশার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেননি হযরত আলী। উত্ত্যক্ত যে করেছে, তার বিচার চেয়েছেন। বিচার পাননি এবং নিজে নির্যাচিত এমনকি মেয়ের ইজ্জত রক্ষায় কার্যকরী ভুমিকা না রাখতে পেরে মহান ঐ মানুষটি এই ইতিহাসের স্বাক্ষীস্বরুপ ঘটনাটি ঘটিয়েছেন। আমাদের সকলের চোখে বৃদ্ধাঙ্গুলি দিয়ে দেখিয়েছেন কি আমরা করতে পারিনি এখনও বা আগামী দিনে কি করা উচিত। হয়ত এর বিচার হবে কিন্তু কি ফিরে আসবে এই দুইজনের মহামূল্যবান জীবন। হয়তো আসবে না কিন্তু প্রতিবাদী এই নিরব ভাষা কিন্তু থেকে যাবে ইতিহাসের পাতায় এবং এর আঙ্গি নরপশুর বিবেকও হয়ত একদিন জাগ্রত হবে। এর থেকে শিক্ষা নিয়ে পরিবার, সমাজ, দেশ এবং সর্বোপরি ন্যায় বিচার ও মানবতা জাগ্রত হউক, কার্যকরী পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে আসুক, ফলপ্রসুতার বাস্তবায়নে প্রতিটি স্তরের এর চর্চার বৃদ্ধি পাক এই কামনাই করি। তাদের বিয়োগান্তক জীবনের জন্য ক্ষমা চেয়ে বিশ্ববিধাতৃর সৃষ্টিকর্তার নিকট প্রর্থনা তুমি তাদেরকে হেফাজত করো আমাদেরকে তোমার ন্যায় রূপান্তরিত হতে সাহায্য কর।

Leave a Reply

Your email address will not be published.