যে কারণে সিজার করা হয়

ইসরাত জাহান লাকী॥ সুস্থ মা সুস্থ শিশু। মায়ের সুস্থতাই নির্ধারণ করবে সন্তানের সুস্থতা। আর সেজন্য দরকার মায়ের সার্বক্ষণিক যতœ। আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যত। বাংলাদেশ তথা এশিয়ার অন্যান্য দেশে সিজার এর মাধ্যমে সন্তান জন্মদানের ব্যাপার টা স্বাভাবিক। বিশেষ করে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সিজার এর মাধ্যমে সন্তান জন্মদানের ব্যাপারে সবাই সমর্থন প্রদান করে আসেন। কেননা এতে করে সিজার এর আগে সন্তান জন্মদানকারী মা হাসপাতালে কয়েকদিন পরিচর্যায় থাকেন।
অনেকে ভাবেন সিজার এর মাধ্যমে সন্তান জন্মদান হলে কোন সমস্যা থাকেনা। সন্তানের সুস্থতার বিষয়টি এখানে মুখ্য থাকে। কিন্তু সিজার এর পেছনে রয়েছে এক কঠিন বাস্তবতা। সদ্যজাত সন্তানের সুস্বাস্থ্যের নিশ্চয়তা কিংবা গর্ভধারিণী মায়ের শারীরিক পরিচর্যা নয় মূলত ৩টি কারণে সিজার করাতে মানুষজনকে বাধ্য করা হয়। এগুলো হল-
১. টাকার জন্য। ২. মেডিকেল ছাত্রছাত্রীদের ব্যবহারিক বা ইন্টার্নি করার জন্য। ৩. প্রাইভেট মেডিকেলে গাইনি ডাক্তাররা সিজার না করালে কর্তৃপক্ষ তাদের হাসপাতালে রাখেন না।
ইউরোপ ও আমেরিকায় সবচেয়ে কম সংখ্যক সিজার অপারেশনের ঘটনা ঘটে। প্রথমত তারা স্বাভাবিক ডেলিভারির সর্বাত্মক চেষ্টা করে। কেউ একেবারে মৃত্যুঝুঁকির দিকে না গেলে তারা সিজার অপারেশনে যায় না। ইতালিসহ ইউরোপের অনেক দেশে ইচ্ছাকৃত সিজার অপারেশনকে বেআইনি হিসেবে গণ্য করা হয়।
একটা নরমাল ডেলিভারির জন্য একজন ডাক্তারকে ২ থেকে ১৮ ঘণ্টা বা তারও বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়। এর বিনিময়ে সে পায় মাত্র ৮০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা। আর সিজার করলে ২৫-৩৫ মিনিটে পেয়ে যায় ৬ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা। বর্তমান সময়ে সময়ের থেকে এই টাকার গুরুত্ব বেশী।

Leave a Reply

Your email address will not be published.