রাজনীতিবিদদের বাপ-দাদার কি বিদেশে জমিদারি ছিল : প্রিন্স মুসা

টিআইএন॥ ‘বাংলাদেশের একজন নাগরিক দেশ থেকে বছরে মাত্র পাঁচ হাজার ডলার নিতে পারেন। এক শ্রেণির দুর্নীতিবাজ আমলা ও তথাকথিত রাজনীতিবিদরা অবৈধ হুন্ডির মাধ্যমে দুস্কৃতিকারী ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিদেশে টাকার পাহাড় গড়ে তুলেছে। তারা কোথায় পেলো লাখ লাখ ডলার। কোথায় পেলো বিদেশি গাড়ি, ব্যাংক ব্যালেন্সের কোটি কোটি টাকা। তাদের বাপ দাদার কি বিদেশে জমিদারি ছিল?’ গত রোববার রাজধানীর কাকরাইলের আইডিবি ভবনে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের দেয়া চার পৃষ্টার লিখিত বক্তব্যে এ প্রশ্ন তোলেন প্রিন্স মুসা বিন শমসের। অসুস্থতার কারণে তিনি মুখে তেমন কিছু না বললেও লিখিত বক্তব্যে নানা প্রসঙ্গ তুলে ধরেছেন।
প্রিন্স মুসা বলেন, গত ৯ মাস ধরে শারীরিক ও মানসিক বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে বাকশক্তি লোপ পেতে চলেছে। সে কারণে সরকার, কোন ধর্ম বা সম্প্রদায়ের কোনো ক্ষতি না হলেও তাকে বার বার হয়রানি, অপমান ও অপদস্থ করা হচ্ছে। তিনি কোনো ব্যাংকের ঋণ খেলাপি নন। কারও প্রতিপক্ষ বা রাজনীতিবিদ নন। স্বাধীনতা উত্তর যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে তিনি বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ও সহায়তায় জনশক্তির রফতানির খাত সৃষ্টি করেছেন।
রাষ্ট্রের সমস্যা কোনটি বেশি ভয়ংকর জঙ্গি নাকি দুর্নীতিগ্রস্ত বর্তমান এ প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে মেধাশূন্য, অযোগ্য ও অপদার্থ প্রচুর অর্থের বিনিময়ে মেধাবীদের শূন্যস্থান পূরণ করেছে। ১০-১২ লাখ টাকা ঘুষ ছাড়া সরকারি চাকরি এখন দুঃস্বপ্ন। গত কয়েক বছর ধরে অদৃশ্য শক্তির স্বেচ্ছাচারিতাও কূটনৈতিক বিপর্যয়ের কারণে দেশের জনশক্তি রফতানির খাত স্থবির ও হুমকির মুখে। চিকিৎসার নামে হাজার হাজার কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা অবৈধভাবে পাচার হচ্ছে।
তিনি বলেন, শহরের অলিগলি রাস্তা গাড়িতে ভরে গেছে। কোথা থেকে আসে এতো গাড়ি। অভিজ্ঞ মহলের মতে শতকরা ৬৫ ভাগ গাড়ি অবৈধ। এ সব গাড়ি মালিকদের বৈধ ও দৃশ্যমান কোনো উপার্জন নেই। মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলো দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করে দিচ্ছে। লিখিত বক্তব্যে আরও বলেন, উন্নয়নের নামে গণতন্ত্র বিসর্জন দেয়া যাবে না। গণমুখী প্রশাসন সৃষ্টি করে অদক্ষতা ও দুর্নীতি চিরতরে বন্ধ করতে হবে। টাকা পাচারকারিরা দেশ ও জাতির সবচেয়ে জঘন্যতম শত্রু। দেশের সবচেয়ে বড় শত্রু জঙ্গিবাদ নয়, দুর্নীতি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.