অবশেষে ২ বাচ্চার মা ইউপি সদস্যকে স্ত্রীর মর্যাদা দিলো ২৩ বছরের তরুণ

ধামরাই প্রতিনিধি॥ ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য নাজমিন সুলতানা প্রিয়সী। দুই সন্তানের মা। প্রেমিকের জন্য স্বামীকে তালাক দিয়েছেন। তিনদিন প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করেছেন তিনি। দাবি, প্রেমিকের স্ত্রীর স্বীকৃতি পাওয়া। অবশেষে ২৩ বছরের তরুণের স্ত্রীর মর্যাদা পেলেন ৩০ বছরের এই নারী।
ঢাকার ধামরাইয়ের সুয়াপুর ইউনিয়নের ঘটনা। প্রিয়সী সুয়াপুর ইউনিয়নের সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্য। প্রেমিক ব্যবসায়ী আব্দুল আলিম পলাশ। বয়স তেইশ। তিনি একই ইউনিয়নের শিয়ালকুল গ্রামের সুরুজ মিয়ার ছেলে। স্বামী সন্তান রেখে প্রেমের টানে প্রেমিকের বাড়িতে গত তিনদিন অনশন করেছেন এই নারী। বিয়ের স্বীকৃতি না পাওয়া পর্যন্ত তিনি ওই বাড়িতেই অবস্থান করবেন বলে জানিয়েছিলেন। অবশেষে প্রেমিক পলাশ তাকে মেনে নিয়েছেন।
জানা গেছে, আব্দুল আলিম পলাশের সঙ্গে এক বছর আগে থেকে প্রেম করে আসছিলেন নাজমিন সুলতানা প্রিয়সী। ওইসময় প্রেমিকের কথায় স্বামী-সন্তান রেখে তার সঙ্গে প্রিয়সীর অভিসার শুরু। পরে পলাশ তাকে তার স্বামী পিন্টু মিয়ার কাছ থেকে সরিয়ে ধামরাই সদরে বাসা ভাড়া করে দেন। সেই বাসায় নিয়মিত আসা যাওয়া করতেন পলাশ। তাদের মধ্যে দৈহিক সর্ম্পক তৈরি হয় বলে জানান অনশন করা নারী সদস্য। তিনি জানান, পলাশ তাকে বিয়ের কথা স্বীকার করেছেন। আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে ঘরে তুলে নেওয়া হবে বলে আশ্বাস পেয়েছেন। এজন্য গণমাধ্যমের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন প্রিয়সী। তিনি বলেন, ‘পলাশ আমাকে গত ২০ এপ্রিল ধামরাই পৌর এলাকার কাজী অফিসে গিয়ে ১০ লাখ টাকা কাবিন করে বিয়ে করেছে। আমি তার কথায় গত তিন মাস আগে আগের স্বামী পিন্টুকে তালাক দিয়েছি।’ আব্দুল আলিম পলাশের চাচা চান মিয়া বলেন, ‘আমার ভাতিজা বিয়ে করে থাকলে প্রিয়সীকে পলাশের স্ত্রী হিসেবে মেনে নেয়া হবে। এতে আমাদের কোন আপত্তি নেই।’

Leave a Reply

Your email address will not be published.