কসবা আখাউড়ার নির্বাচনী হালচাল

কসবা-আখাউড়া মিলে হলো ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৪ নির্বাচনী এলাকা। এই নির্বাচনী এলাকার ফলাফলের একটি মাহাত্ম রয়েছে। এই আসনে যেই দল পাস করে সেই দলই ক্ষমতাসীন হয় এবং রাষ্ট্র পরিচালনা করে। এই ধারাবাহিকতা চলে আসছে সেই বাংলাদেশ শুরু থেকেই এমনকি সাবেক পাকিস্তান লগ্নেও এই রেওয়াজ ছিল। আজও সেই রেওয়াজের কোন ব্যতিক্রম ঘটেনি। আসা যাক ৯০ এর দশকের নির্বাচনে যখন  বাংলাদেশের অওয়ামী লীগের কান্ডারী বাংলার দু:খী মানুষের আশার ও ভরসার আশ্রয়স্থল দেশ রতœ বিশ্বের মর্যাদাসীন বিশ্বনেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর মনোনীত আমাদের অহংকার মরহুম এ্ডভোকেট সিরাজাল হক বাচ্চু মিয়া সাহেব নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করে হেরেছিলেন প্রাথমিক পেরুতে না পারা বিএনপির প্রার্থী মিয়া আবদুল্লাহ ওয়াজেদ আবদু মিয়ার কাছে। যিনি টাকা দিয়ে ভোটের কামাই সম্পন্ন করেছিলেন। কিন্তু সেই সময় মানুষ টাকার কাছে বিক্রি হয়ে একটি ভুল করেছিল আব্দু মিয়া এবং তার দলকে ক্ষমতায় এনে। যে ভুলের খেসারত ঘুচিয়েছে বর্তমান সরকার।
আজ পর্যন্ত যে কয়টি নির্বাচন হয়েছে সেই সবকটি নির্বাচনের দৃষ্টি এবং ফলই সরকার গঠনে সহায়ক ভুমিকা রেখেছে এই ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৪ আসনটি। এবারও আবার আমরা নির্বাচনের দ্বারপ্রান্তে। এবারের এই নির্বাচনে শুধু যে আওয়ামীলীগই প্রার্থী বা নেতা নির্বাচন করতে তা কিন্তু নয়; বরং দল মত নির্বিশেষে একজন মহান নেতা এবং সৎ ও যোগ্য কর্ণধার নির্বাচন করে এই কসবা এবং আখাউড়ার বাকি উন্নয়ন গতি তরান্বিত করে লক্ষ্যে পৌঁছার কাজটুকু করবেন। এই এবারের সেই কান্ডারী কে হবে সেই কথা বলার আর বাকী নেই। কারন স্বয়ং আমাদের অবিভাবক এবং কসবা ও আখাউড়ার বর্তমান উন্নয়নের ¯্রষ্টা জনাব আনিছুল হক এমপি। তবে নিন্দুক এবং লোভী ও ক্ষমতার অবৈধ আকাঙ্খায় বিভোর লোকজন এখন ব্যস্ত হয়ে পড়েছে কিভাবে ঐ সৎ এবং যোগ্য এমনকি সার্বিক দিক দিয়ে ইতিহাসের সাক্ষ হয়ে থাকা ঐ নিরহংকার এবং নির্লোভ মানুষটিকে পিছনে ঠেলে দেয়ার অভিলঅষে। যারা এহেন কর্মকান্ডে লিপ্ত তাদের উদ্দেশ্যেই বলছি; অতীতেও সফল হন নি এবং বর্তমানেও হবেন না কারন আপনাদের উদ্দেশ্য সৎ নয় এবং নিজেরাও স্বচ্ছ নন। দুর্নীতি এবং অপরাধ আপনাদেরকে আষ্টেপৃষ্টে বেধে রেখেছে। কোনটি ভাল আর কোনটি মন্দ তা বোঝার বোধ শক্তি আপনারা হারিয়ে ফেলেছেন তাই এখন নিলজ্জ এবং বেহায়ার মতই কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। আমি সবাইকেই বলছি এবং নিলর্জ্জ ও বেহায়া না হওয়ার কারণে আপনাদের নাম এবং আমলনামায় লিখা অবৈধ কর্মকান্ডগুলো তুলে ধরিনি। তবে প্রয়োজন হলে সময় ও তারিখ দিয়ে সবকিছু নামসহকারে তুলে ধরব যাতে আপনারা ভাল মানুষের আবরণে আর ঐসকল খারাপ কাজে নিজেদেরকে জড়াতে না পারেন অথবা জড়ালেও এলাকার মানুষ আপনাদেরকে অন্তত ঘৃণাটুকু করতে শিখবে ও করবে।
জনাব শাহ আলম সাহেব, আপনিতো এমপি ছিলেন; তখন কি কি করেছেন তার কি কোন অনুশোচনা নেই। আর কত নীচে নামবেন। যা অর্জন করেছিলেন তার সবটুকুই শেষ করেছেন এবং দলকে এমন এক পর্যায়ে নিয়েছিলেন যেখানে কোন মানুষ আওয়ামী লীগ পরিচয় দেয়ার কোন সুযোগ ছিল না। সকল সৎ এবং নির্লোভ মানুষগুলোকে আপনি দুরো সরিয়ে দিয়ে এমনকি ঘরকুনো বানিয়ে লোভী, দুঃচরিত্র মানুষগুলোকে নিয়ে সকল অবৈধকাজ আপনি করেছেন। অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন এবং বানিয়েছেন। যার স্বচ্ছ তালিকা আমাদের হাতে রয়েছে। অব্যশ্য এখন অনেকেই আপনার সঙ্গে নেই; তারা সম্মুখে বর্তমান এমপি মহোদয়ের সঙ্গে এবং অন্তরে হয়ত আপনার সঙ্গে গোপন আতাতে মেতে আছে। জনাব শাহ আলম সাহেব (সাবেক এমপি) আপনি চেষ্টা করছেন আবার এই আসন থেকে নির্বাচন করার এবং বিভিন্ন লোক দিয়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিরুপ এবং মিথ্যা তথ্য দিয়ে লিখা লিখাচ্ছেন এবং পুরাতন ও নির্ভরযোগ্য ব্যক্তিদেরকে ফোন দিয়ে বিভ্রান্ত করতে চেষ্টা করছেন। কেউ আবার প্রধানমন্ত্রীর কাছেও লিখেছেন। আবার কাউকে কাউকে দাওয়াত করেছেন আপনার অফিসে যাওয়ার। এই খায়েশ আর পূর্ণ করতে পারবেন না। যাদেরকে দিয়ে আবোল তাবোল লিখাচ্ছেন, তাদের সম্পর্কে গোয়েন্দা এবং জনগণ সবাই জানেন এবং আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঐ হাস্যকর লিখায় শুধু হাসেনই না বরং গোয়েন্দা দিয়ে ঐ লোকগুলোর যাবতীয় তথ্য নিয়ে উপযুক্ত সময়ে আইনি ব্যবস্থা কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছেন। যাতে করে আর মিথ্যা মাথাচাড়া দিয়ে না উপতে পারে। এহেন পরিস্থিতিতে আমি বলতে চাই গোপন আতাত ও ষড়যন্ত্র না করে দলীয় ঐক্যে শরীক হউন এবং কসবা ও আখাউড়ার উন্নয়ন কর্মকান্ডে নিজের ভুমিকা রাখুন যাতে আগামী প্রজন্ম আপনাকে ভাল উদ্দেশ্যে স্মরণে রাখতে পারে।
কসবা-আখাউড়ায় নির্বাচনে মাননীয় আইন মন্ত্রীকে পুনরায় ভোট করার জন্য এলাকাবাসীর প্রয়োজনেই দরকার। কারণ ঐ লোকটির কোন প্রয়োজন নেই নির্বাচন করার কারন তিনি তাঁর ব্যক্তিগত কোন লোভ-লালসা বা আকাঙ্খার প্রয়োজনে সেবা করতে আসেননি। এসেছেন সর্বস্ব বিলিয়ে দিয়ে পারিবারিক ঐতিহ্য রক্ষা এবং ইতিহাসের সাক্ষি হয়ে থাকতে। আগামী সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন এবং বিজয় নিশ্চিত এইজন্য যে, তাঁর ব্যক্তিগত ইমেজ, সততা, আন্তরিকতা এবং উন্নয়ন পরিকল্পনা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আস্তা ও বিশ্বস্ততার মূল্যায়ন। তিনি যে কাজ করেছেন এই কাজের মূল্যায়ন যদি হয় তাহলে দল মত নির্বিশেষে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় আবারও পুনঃনির্বাচিত হবেন। আর যদি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা হয় তাহলে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবেন। তবে যদি দলীয় বেঈমানী এবং স্বজনপ্রীতি ও মিরজাফরী কান্ড ঘটে তাহলেও তিনি নির্বাচিত হবেন সাধারণ এবং অন্যদলের ভোট পেয়ে। এই হিসেবের বাইরে আর কোন হিসাব দাঁড় করানো একটি বোকার স্বর্গে বসবাস করারই শামিল হবে।
আমি ওনার সমর্থক বা পক্ষের লোক হয়ে বলছি না বরং ওনার সাথে আমার কোন ব্যক্তিগত সম্পর্ক ও সেইরকম কোন পরিচয়ও নেই। শুধু এলাকা জরিপ ও কর্মকান্ডের হিসেবে নিকেশ কষে এই বাস্তব সত্য কথাটি লিখছি। সামনের দিনে এই সত্যের বাস্তব রূপ দেখার প্রত্যাশায় এলাকাবাসীর সাথে আমরাও।

Leave a Reply

Your email address will not be published.