বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বনাম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ

তাজুল ইসলাম নয়ন॥ সরকারের উন্নয়ন এবং গ্রহণযোগ্যতা দেশে – বিদেশে যতই সমাদৃত হচ্ছে এবং মানুষের মনে শেখ হাসিনা আল্লাহর নিয়ামত হিসেবে ভরসা এবং আশায় জাগতিক আশ্রয়স্থল হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। দলের এবং সরকারের পরিপক্কতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিš এতসব অর্জনের বিশালতার মাঝে কেন নেতায় নেতায় দ্বন্ধ এবং কর্মীতে কর্মীতে দ্বন্ধ; শুধু তাই নয় সমর্থক এবং সমর্থকে দন্ধের পরিধি দীর্ঘায়ীত হচ্ছে। যা অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় শুভত নয়ই বরং অশুভ লক্ষনেরই ইঙ্গিতবাহি।
নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে ততই হানা-হানি ও বিবেধ এর মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। এই লক্ষ্যনে এখনই পানি ঢালা উচিত। দলীয় পরিচয়ে মানুষ ভিড়ে এবং রাজনীতি করে বিভিন্ন লক্ষ্য নিয়ে। যেমন, কেউ রাজনীতি করে টাকার জন্য, কেউ করে ক্ষমতার ও টাকা দুটোর জন্য, কেউ করে চাকরীর জন্য, কেউ করে ব্যবসায়ী উদ্দেশ্য হাছিলের জন্য, কেউবা স্থানীয় রাজনীতি ও সমাজে প্রভাব বিস্তার এবং ছোট-খাট ফায়দা লোটার জন্য, কেউ করে নিজের খেয়ে অন্যের উপকারের জন্য আবার কেউবা করে দেশের এবং জনগণের কল্যানের জন্য। তবে শেষের দুই ধরনের মনোভাবাপন্ন মানুষ এখন খুঁজে পাওয়া কষ্টকর। তবে কতিপয় নেতা এবং কর্মীর সমন্বয়ে এখনও রাজনীতি তার নীতিকে আঁকড়ে ধরে আছে।
আমাদের দেশের রাজনীতিতে এখন দেখা যাচ্ছে নিজের মাংস নিজেই খেয়ে শেষ হওয়ার পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। এই ভিবিষীকাময় চিত্র বৃহৎ আকারে দৃশ্যায়ত হওয়ার আগেই উপযুক্ত ঔষধ দিয়ে ক্ষত সাড়ানো প্রয়োজন। কোন কোন স্থানে আবার বিএনপি আওয়ামী লীগ মিলে মিশে রাজনীতির মাঠ ধাবিয়ে বেড়াচ্ছে এবং কর্মী ও সমর্থকদের দলিত-মথিত করে দলের বারোটা বাজাচ্ছে। ইদানিং আবার মামলা-মোকদ্দমা হচ্ছে তাও আবার দলের নেতা ও কর্মীদেরই বিরুদ্ধে। এই মামলা আবার হচ্ছে তথ্য প্রযুক্তি আইনে। আসলে যতই দিন যাচ্ছে ততই এলোমেলো মনে হচ্ছে আমাদের মেরুদন্ডের অংশগুলোকে। কবে আবার মেরুদন্ড একত্রিত হয়ে দেশ ও জনগণের কল্যানের তরে নিয়োজিত হবে তাই এখন দেখার ও ভাবার বিষয়।
ব্যক্তিগত আক্রোশে গায়ে মানে না আপনি মোড়ল ভাবাপন্ন মানুষগুলি যেমন দিশেহারা তেমনি নের্তৃস্থানীয় মানুষগুলিও এই রমজান মাসে ধৈয্য ও সহ্যশক্তি হারিয়ে মামলা মোকদ্দমায় লিপ্ত হতে দিশেহারা। এখন আমাদের দরকর ধৈয্যশক্তি বাড়ানোর উপায় খোঁজা এবং উভয় পক্ষকেই শান্ত করার জন্য চেতনানাশক ঔষধ সেবনসহ নানাবিদ দলীয় এবং সামাজিক কাউন্সিলিং এর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত করা। নতুবা আগামী দিনের যে আশা নিয়ে দেশবাসি তাকিয়ে আছে সেই আশায় গুরেবালী ছাড়া আর কিছুই থাকবে না।
যেখানেই দলীয় নেতা, কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে সমস্যা সেখানেই দলীয় ন্যায়পাল এর ভুমিকায় অবতীর্ণ হয়ে কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে কাউকে কাউকে এগিয়ে যেতে হবে এবং সমস্যার দ্রুত সমাধান করে দলীয় কাজে জোড়ালোভাবে নিয়োজিত করতে হবে। যারা যারা দন্ধে লিপ্ত হয়েছে তাদেরকেই আবার কাধে কাধ মিলিয়ে পুনরায় বন্ধু, ভাই, পিতা, চাচা, দাদাতুল্য সম্পর্কের বেড়াজাল দিয়ে কাজ করতে হবে। কাউকে বিতাড়িত নয় বরং বুকে জড়িয়ে মমতা ও নি:শর্ত ভালবাসার বন্ধনে এগিয়ে যেতে হবে। সুতরাং কাজ শুরুর সময় কিন্তু এখনই; সময় অতিক্রান্ত হলে কিন্তু জাতির সবনাশ হবে। শুধু যে, দলের এবং দলীয় প্রার্থীর অথবা সরকার ক্ষতিগ্রস্ত হবে তা কিন্তু নয়। এর প্রভাব পড়বে সমগ্র জাতির উপর।
দলীয় এমপি মহোদয়দেরকে বলছি আপনারা কি এখনও চিনতে পারছেন না পরিস্কার বিবেক ও স্বচ্ছতা নির্ভর নিরহংকার নির্লোভ মানুষদেরকে। যদি এখনো চিনতে না পারেন তাহলে দুভার্গ আমার আর সমস্ত ভাল কাজের প্রশংসা আপনার। তারপরও বলব এখনও সময় আছে ক্লিন এবং নিলোর্ভ মানুষগুলোকে একত্রিত করে উভয়ের সমন্বয়ে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি এবং উন্নয়ন প্রচারনা কমিটি করুন। উভয় কমিটির কাজ তদারকির জন্য একদল নিবেদিতপ্রাণ নিজের সবকিছু উজার করে দেয়া লোক বাছাই করে সমন্বয় ও তদারকিতে নিয়োজিত করুন। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহের জন্য নিরপেক্ষ নিউজ সংগ্রাহক এবং সেই নিউজের নির্ভরযোগ্যতা যাচাই কমিটি নির্বাচন করে কাজে ঝাপিয়ে পড়–ন। হয়ত আগামীতে আরো দ্রুত সফলতা ঘরে তুলতো এগিয়ে আসব। জয় হোক সকল মানবতার এবং নৈরাজ্য ও হানা-হানি এমনকি ভিবেদের অবসান ঘটুক এই কামনায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published.