খাবার নিয়ে ঝাঁকে ঝাঁকে বিমান ঢুকছে কাতারে, সৌদির প্রতিপক্ষ ইরান বলছে আরো যাচ্ছে

আন্তর্জাতিক ডেক্স॥ প্রতিবেশী দেশগুলোর কাছে থেকে নজিরবিহীন আঞ্চলিক অবরোধের মুখে-পড়া কাতারকে পাঁচটি বিমান বোঝাই করে বিপুল পরিমাণ খাদ্যসামগ্রী পাঠিয়েছে উপসাগরীয় দেশ ইরান। ইরানের অন্যতম প্রধান প্রতিপক্ষ সৌদি আরব-সহ ওই অঞ্চলের বেশ  য়েকটি দেশ গত সপ্তাহেই কাতারের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা ঘোষণা করেছে। খবর বিবিসির।
সৌদি আরব-সহ ওই দেশগুলোর অভিযোগ কাতার জঙ্গিবাদে মদত দিচ্ছে ও অর্থায়ন করছে – যদিও সেই অভিযোগ কাতার বরাবরই অস্বীকার করে আসছে। সৌদি আরব থেকেই এতদিন কাতারের মোট খাদ্যসামগ্রীর ৪০ শতাংশ আমদানি করা হত – কিন্তু গত সপ্তাহ থেকে কাতার-সৌদির সব স্থল সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ইরান এয়ারের একজন মুখপাত্র সংবাদ সংস্থা এএফপি-কে বলেছেন, ‘এ পর্যন্ত আমাদের মোট পাঁচটি প্লেন ফলমূল ও তরিতরকারি নিয়ে কাতারে পৌঁছেছে। শিগগিরই আরো একটা প্লেন রসদপত্র নিয়ে রওনা দেবে।’ তবে এই সব খাদ্যসামগ্রী ত্রাণ হিসেবে পাঠানো  হয়েছে, না কি এটা কোনো বাণিজ্যিক লেনদেনের অংশ- তা এখনো পরিষ্কার নয়। তাসনিম সংবাদ সংস্থাকে উদ্ধৃত করে এএফপি আরও জানিয়েছে, ৩৫০ টন খাবারদাবার নিয়ে তিনটি জাহাজ নৌপথে শিগগিরি কাতারের উদ্দেশে রওনা দেবে। কাতার এয়ারওয়েজের বিমানগুলোর জন্য ইরান নিজেদের আকাশসীমাও উন্মুক্ত করে দিয়েছে। সৌদি আরব, বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত এর আগে কাতারি বিমানগুলোর জন্য নিজেদের আকাশ বন্ধ করে দেয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন যেহেতু ওই অঞ্চলে প্রভাব বিস্তারের জন্য শিয়া-নেতৃত্বাধীন ইরান ও সুন্নি-নেতৃত্বাধীন সৌদির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে – তাই ওই পটভূমিতে ইরানের সঙ্গে কাতারের ঘনিষ্ঠতাই বর্তমান সংঘাতের একটা বড় কারণ। ফলে এখন কাতারে ইরানের এই খাদ্যসামগ্রী পাঠানো সংঘাতকে আরও জটিল করে তুলবে বলেই তারা ধারণা করছেন। ওই অঞ্চলের আর একটি দেশ কুয়েত এই সঙ্কটে মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করছে- গত সপ্তাহে তারা তাদের আমিরকেও সৌদি আরবে পাঠিয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published.