দেশের ভাবমূর্তি বিরোধী কোন কিছু না করতে প্রবাসীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বান

আন্তর্জাতিক ডেক্স॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্যের বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয় এমন কিছু না করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এক সময় বাংলাদেশ ভিক্ষুকের দেশ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অন্যান্যের খারাপ নামে পরিচিত ছিল। আমরা এসব পরিস্থিতি মোকাবেলা করে উন্নয়নে রোল মডেলে পরিণত করেছি। কাজেই আপনারা এমন কিছু করবেন না যাতে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়।’ সুইডেন যাওয়ার পথে লন্ডনে যাত্রাবিরতির পর বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ লন্ডনে স্ট্রোক পার্কে তাঁর সাথে সাক্ষাত করতে গেলে তিনি লন্ডনে তাদের উদ্দেশ্যে ভাষণকালে এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের উন্নয়ন অনেক বিদেশী নেতৃবৃন্দের কাছে যাদুর মতো। কিন্তু এটা আমাদের জন্য যাদু নয়, দেশের জনগণের সেবার আন্তরিকতা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির জনকের কন্যা হিসেবে এমনকি আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হিসেবে সোনার বাংলা গড়ে তোলার পদক্ষেপ নেয়া তাঁর সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা। তিনি বলেন, দেশ বিদেশের প্রতিটি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর দায়িত্ব দেশের উন্নয়ন, দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে বাস্তব রূপ দেয়ার জন্য আত্মনিবেদিত হয়ে কাজ করা।
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তাঁর সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৬ সালে দারিদ্র্য সীমার হার ছিল ৫০ শতাংশ। এখন তা কমিয়ে ২২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। গতবছর বাংলাদেশে অর্থনীতি প্রবৃদ্ধি ছিল ৭.২ শতাংশ। যা ছিল বাংলাদেশের জন্য ছিল খুবই অসাধারণ সাফল্য। তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের পরিণত হবে। প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে ভারী বর্ষণের ফলে সৃষ্ট ধারাবাহিক ভূমি ধসে জীবন ও সম্পদহানি এবং লন্ডনে ভয়াবহ আগুনে গভীর মর্মাহত ও দুঃখ প্রকাশ করেন।
শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্যে অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়ন কাপ ক্রিকেট ট্রফিতে সেমিফাইলে উন্নীত হওয়ায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সকল সদস্য ও অন্যান্যদের ধন্যবাদ জানান। প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাজ্যে পার্লামেন্ট নির্বাচনে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত তিন কন্যাকে নির্বাচনে জয়ী হতে সর্বাত্মক সহযোগিতা দেয়ায় যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ কমিউনিটি জনগণকে ধন্যবাদ জানান। এর আগে নবনির্বাচিত লেবার পার্টি কমন্স সভার সদস্য টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিক ও রুশনারা আলী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার হোটেল কক্ষে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। প্রধানমন্ত্রী তাদের সঙ্গে পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.