নিরাপত্তা বলয়ে সমগ্রদেশ

এই রমজান মাসে শয়তান ছিল বন্দিদশায়। শয়তান যদিও কোন শয়তানী কাজ বা ফন্দি করতে পারেনি কিন্তু মনুষ্যরূপী শয়তানদ্বয় ঠিকই তাদের ফন্দি-ফিকির ও শয়তানী চালিয়েছেন বিভিন্ন কৌশলে দাপটের সঙ্গে। তারপরও বলব বাংলাদেশ এবং এর বাসিন্দারা রয়েছে নিরাপদেই। পাহাড়ধ্বস ও সড়কসহ বিভিন্ন দূর্ঘটনা ছাড়া কোন সমস্যাই মোকাবেলা করতে হয়নি। আমাদের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তথা সরকারের কড়া দৃষ্টি এবং আন্তরিকতাই এই নিশ্চয়তা দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে আমাদের।
সামনে ঈদ আর এই আসরেই বিভিন্ন বেপরোয়া কান্ড ঘটে। বিগত দিনের ঈদ থেকে এবারের ঈদ যেন হয় আরো সুন্দর এবং শান্তির; সেই লক্ষ্যে সরকার আন্তরিক এবং সকল বাহিনীগুলোকেও সজাগ থেকে দায়িত্ব পালনের নিমিত্ত্বে নিয়োজিত করেছেন। এবারই প্রথম দেখা গেল মন্ত্রী বা উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ কথার ফুলঝুড়ি থেকে কাজে বেশী আন্তরিক। আর এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে আমাদের বাংলাদেশ এবং এর অধিবাসীরা অচিরেই সেই সোনার হরিণ এর দেখা পাবে। স্বীকৃতি পাবে বিশ্বের উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশের। কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে পৃথিবীর সকল মানুষের কল্যাণের নিমিত্তে।
আসন্ন ঈদ উপলক্ষে গ্রামে সেই সিকড়ের কাছে ফেরা মানুষগুলোকে রক্ষার লক্ষ্যে সরকারের পদক্ষেপ এবং এর বাস্তবায়নকে সাধুবাদ জানাই। রাস্তায় যে যানজট এখনও মানুষকে কষ্ট দেয় সেই লক্ষ্যে কিছু তড়িৎ পদক্ষেপ নেয়া জরুরী। সময় নষ্ট এমনকি গাড়ির তেল, গ্যাস অপচয়সহ দীর্ঘক্ষণ গাড়িতে বসে থেকে যে অসস্থির সৃষ্টি হয় তা অন্যন্ত বেদনাবহ। বিশেষ করে কিছু রাস্তার বেহাল দশা- যার বর্ণনা করা মুশকিল। প্রাইভেট নামক কার চালানো সম্ভব হয়ে উঠে না। যদি কেউ রিক্স নিয়ে চালায় তা হয় গাড়ির বিরাট ক্ষতির কারণ। আবার যুক্ত হয়েছে অতি উঁচু মাত্রার স্পিড বেকার বা স্পিডবাম। যার জন্য প্রাইভেট কার এর বিপদ আরো ঘনীভুত হয়। আদৌ কি এই ধরণের উঁচু স্পিড বেকার দরকার ডিজিটার যুগে? ভাবার জন্য দৃষ্ট আকর্ষণ করছি এবং নতুন কোন প্রযুক্তি নির্ভর বা সাদা মাটা উদ্ভাবনীর ব্যবহার আশু জরুরী। এই বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি এই জন্য যে, সরকার যে আন্তরিকতা ও সদিচ্ছার পরিচয় দিয়েছে তা আরো কার্যকর হওয়ারই লক্ষ্যে। যান-মাল ও গাড়ী নামক সম্পদেরও রক্ষার দায় প্রকারান্তরে সরকারের উপরই বর্তায়। আর গাড়ির কল্যাণে রাজস্য আয়তো আর কম হয় না। গাড়ীর টেক্সতো দেয়ার মুল কারণই হল রাস্তা মসৃণ এবং উপযোগীর জন্য। আমার বিশ্বাস এইদিকে সরকারের দৃষ্টি গোচরিভূত হবে অচিরেই।
নৌ, রেল এবং আকাশপথও মসৃণ রাখার কল্যাণে আগামী ঈদ হউক শুধু আনন্দের এবং আনন্দের। এই ঈদের মাধ্যমেই তৈরী হউক আমাদের আগামী সভ্যতার সু-উচ্চ ভিত্তি। রচিত হউক মানবতার বিজয় এবং ঐক্যের এক নতুন দিগন্ত। দৃশ্যায়ীত হউক সম্প্রীতির এক উজ্জল দৃষ্টান্তনির্ভর ইতিহাস। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা ফিরে পাক তাঁর হারানো ঐতিহ্য এবং নতুন পারাস্পরিক ইতিবাচক বন্ধনের এক চেতনা ও এর বাস্তবায়ন।
ঢাকা থেকে পঞ্চগর এবং টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রত্যন্ত সকল অঞ্চলের মানুষের ঈদের পথচলা হউক মসৃণ এবং নির্মল আনন্দে ভরপুর। প্রত্যেকটি মানুষ তার প্রিয়জনদের কাছে গিয়ে ফিরে পাক জিবনের প্রশান্তি এবং শুষে নিক অমলিন নির্যাস ও সুধামাটির পোড়া গন্ধ। যা আমাদেরকে আগামী দিনে এগিয়ে যাওয়ার শক্তি যোগাবে।  আমার বিশ্বাস এবং সৃষ্টিকর্তার আশির্বাদ ও আমাদের সরকারের একান্ত ইচ্ছা এই ঈদের আনন্দ পরিপূর্ণতাই পরিপূর্ণ হউক সকলের তরে। আগামীর কল্যানের নিতিত্তে জাতি প্রস্তুত হউক ঈদের আনন্দ এবং রজমানের রহমত, বরকত ও মাগফিরাতের উদ্ভেলিত চেতনায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published.