সেই তরুণকে চাকরি দিলেন তারানা হালিম

আবদুল আখের॥ ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমের কাছে ফেসবুক পেইজে চাকরি চেয়ে আবেদন করেছিলেন মসিউল আজম রাজিব নামে এক তরুণ। কাজও হয়েছে তাতে। পাংশা সরকারি কলেজ থেকে মাস্টার্স পাস করা ওই  তরুণের জন্য চাকরির ব্যবস্থা করে দিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী। তারানা হালিম তার এপিএস জয়দেব নন্দীর সাহায্যে ডাক বিভাগে পোস্টাল অপারেটর পদে চাকরির ব্যবস্থা করেছেন রাজিবের।
রাজিব এর বাড়ি রাজবাড়ীতে। তার দু’টি পা অচল। স্বাভাবিক মানুষের মতো হাটতে পারে না। চাকরি পেয়ে প্রতিমন্ত্রী ও তার এপিএসের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে নিজের ফেসবুকে পাতায় পোস্টও করেছেন রাজিব। স্ট্যাটাসের সাথে প্রতিমন্ত্রীর সাথে তোলা তার ছবি ও নিয়োগপত্রের ছবিও দিয়েছেন। রাজিব কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তার ফেসবুকে লিখেন, তার মা, ভাই ও তার জীবনের সবচেয়ে বড় ইচ্ছা পূরণ হয়েছে। তারানা হালিম ও তার এপিএস এর প্রতি সারাজীবন কৃতজ্ঞ থাকবেন উল্লেখ করে তাদের ধন্যবাদ জানান।
রাজিবের করা পোস্ট কপি করে নিজের ফেসবুক পাতায় দিয়েছেন তারানা হালিম নিজে। তারানা হালিম তার ফেসবুক পেইজে লিখেছেন, আমার ফেসবুক পেজে শারীরিক প্রতিবন্ধী এক ভাই চাকরি চেয়েছিলেন। ছেলেটির দু’টি পা অচল। দারিদ্র্যের কারণে হুইল চেয়ার কেনা হয়নি কোনো দিন। পথ চলতে হয় হামাগুড়ি দিয়ে। তাই বলে শারীরিক প্রতিবন্ধকতা তাকে দমাতে পারেনি। অদম্য ইচ্ছাশক্তির ওপর ভর করে স্কুল-কলেজের গন্ডি পেরিয়ে মাস্টার্স পাস করেছেন। ছেলেটির বাবা নাই, তার পরিবার চালানোরও কেউ নাই। পদ্মার গর্ভে বিলীন হয়েছে তার বাড়ি। তার চাকরিটা দিতে পেরেছি। এই একটি চাকরি তাকে জীবনে বেঁচে থাকার নতুন অর্থ এনে দেবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
তারানা আরো লিখেছেন, নতুন স্বপ্ন দেখার মনোবল দেবে। তার এই ছোট্ট ইচ্ছে পূরণ করতে পেরে আমার খুব ভালো লাগছে। সেই সাথে মনের মাঝে কষ্টের কাঁটাও খচখচ করছে- যাদের জন্য বলার কেউ নাই, তাদের সবার জন্য যদি কিছু করতে পারতাম! সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন; যাদের বলার কেউ নেই, তাদের জন্য কিছু করার তৌফিক যেন আল্লাহ আমাকে দেন। আমীন…. ইনশাআল্লাহ…..

Leave a Reply

Your email address will not be published.