জনগণের নেত্রী শেখ হাসিনা

নয়ন॥ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাঁর উপলব্দি এবং গবেষনার ফল প্রকাশের লক্ষ্যে এই বক্তব্যটি জাতির সামনে তুলে ধরেন। তিনি জানেন এবং খোজ রাখেন। তাই এই অসাধারন উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান। জননেত্রী শেখ হাসিনা শুধু প্রধানমন্ত্রীই নন, বরং তিনি দেশের একটি পরিবার এর কর্র্তৃ। তিনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কান্ডারী। তাই তিনি হাজারো নির্যাতিত কর্মীর মনের কথাই বলেছেন তার গভেষণামূলক বক্তব্যে। বর্তমান এমপি, মন্ত্রীরা আজ মাঠের কর্মীদেরকে চিনেন না এমনকি বিমাতাশুলব আচরণে বিদ্ধ করেন। প্রকৃত আওয়ামী লীগারদের কথায় কান না দিয়ে বরং অযোগ্য সুসময়ের বন্ধুদের জালে আবদ্ধ থেকে কাজ করেন।
তাই তিনি ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত যারা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলো, এরাই সঠিক আওয়ামী লীগার। সামনের নির্বাচনে এই মানুষগুলোকে মাঠের কর্মী হিসাবে নামানোর চেষ্টা করুন। ভালো মানুষ হিসাবে, সৎ আওয়ামী লীগার হিসাবে সমাজে একমাত্র এদেরই গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত নির্যাতনের স্বীকার ওরাই, এক এগারো এর মোকাবিলা করেছিল মূলত ঐ মানুষ গুলোই। অথচ জরিপ করলে দেখা যায় ঐ আওয়ামী লীগারদের ৯৫%ই, আমাদের সরকারের দুই টার্মেই দলীয়ভাবে চরম অবহেলিত।
এহেন অবস্থার অবসান আশু প্রয়োজন এবং সেই মোতাবেক কার্যক্রম সম্পন্ন করুন। ঘরের ছেলেদের ঘরে ফিরিয়ে আনুন এবং অভিমানীদের সক্রিয় করে যোগ্য মূল্যায়ন করুন এবং আগামী দিনের রাজনীতিতে তাদের অবদান ও ভুমিকা দৃশ্যমান রাখুন। দলের প্রয়োজনে কলঙ্কিতদের সংশোধন করুন এবং শাস্তিপ্রাপ্তদের শাস্তি দিয়ে জনগণকে আশ্বস্ত করুন এবং আগামীর উন্নয়ন কার্যক্রম জনগণকে অবহিত করুন। দলের এবং দেশের কল্যানের তরে নিয়োজিতদের সম্মান ও শ্রদ্ধার সহিত কাজে সহযোগিতা করুন।
আওয়ামী পরিবারের ঐক্য বজায় রাখতে সকলেই একযোগে কাজ করুন। আমাদের ঐক্য বিনষ্ট হয় এমন কোন কাজে জড়াবেন না। আমাদের ঐক্য এবং শক্তি হলো দলীয় পারিবারিক সম্বৃদ্ধি এবং দেশের জনগণের স্বতফুর্ত সমর্থন। আমরা সেই সমর্থনের যথাযোগ্য সম্মান ও মর্যাদা রক্ষা করবো এবং এর বিনিময়ে জনগণ পাবে আগামীর নিশ্চয়তা, সুখ, শান্তি এবং উন্নত ও সম্বৃদ্ধ বাংশাদেশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published.