সরকার দৃঢ় ও স্থীতিশীল এবং বিএনপিতে অস্থিরতা

বাংলাদেশ আজকের অবস্থানে পৌঁছানোর কৃতিত্বের অধিকারী শেখ হাসিনার সরকার উন্নয়ন, পরিকল্পনা এবং স্থায়ীত্বে স্থীতিশীল। কঠিন বাস্তবতা মোকাবেলা করে জনগণকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে উন্নয়নের মহাপরিকল্পনা নিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছার দৌড়গোড়ায় পৌছার দাড়প্রান্তে। এই স্থীতিশীল সরকার তার মেধানির্ভর বিচক্ষণতা দিয়ে দেশের সার্বিক উন্নয়ন সুচকের উদ্ধগতি এবং মহাপরিকল্পনার চলমান ধারাবাহিকতার অব্যাহত গতি এমনকি নতুন কর্মকৌশল বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সার্বিক পদক্ষেপে স্থিতিশীলতা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। আর এই স্থিতিশীলতায় যুক্ত হয়েছে বাংলার মানুষের স্বতফুর্ত অংশগ্রহন এবং সার্বিক সহযোগীতা।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর ক্যারেশমেটিক গুনদিয়ে এবং আন্তরিকতা ও ভালবাসার সমন্বয়ে দেশের কল্যাণের তরে নির্ভয়ে ও নির্বিঘেœ এগিয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর রক্তের এবং মেধার স্বাক্ষর রেখে যাচ্ছে সকল কাজে। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ শেষ করার অভিষ্ট লক্ষ্যনিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে এবং সফলও হয়েছে। বিশ্ববাসী আজ আমাদেরকে শ্রদ্ধা করতে এমনকি এইদেশের কাছ থেকে শিখতে শুরু করেছে। এই অর্জন প্রথমে শেখ হাসিনার এবং দ্বিতীয়ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এবং তৃতীয়ত সরকার ও এদেশের আপামর জনসাধারনের।
সরকারের এই উন্নয়ন গতিকে স্থীমিত করতে দেশ বিরোধী চক্র দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক হাজারো চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে। আর বিদেশী চক্রান্তের পিছনে ঘি ঢেলে দিচ্ছে আমাদের দেশের কতিপয় ক্ষমতা পিপাসু দালাল চক্রের স্বার্থপর মানুষ। দেশবাসী মিডিয়ার কল্যাণে ঐ সকল মানুষদের চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছে। তবে প্রকাশ্যে ষড়যন্ত্রের সকল রাস্তা বন্ধ হওয়ায় এমনকি দেশবাসী সচেতন হওয়ায় এখন ঘৃন্য ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তবে ইদানিং আবার দেশের উন্নয়ন প্রকল্পের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিরোধিতা করে জনতার সামনে দেশ এবং উন্নয়ন বিরোধী মুখোশ উন্মোচন করেছে।
গতকাল বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী রুপপুর বিদ্যুৎ প্রকল্পের বিরোধীতা করে বক্তৃতা ও বিবৃতি দিয়েছে। যদিও ঐ অবস্থানে বেশীক্ষণ স্থায়ী হতে পারবে না। তার কারণ তাদের দলের মধ্যে নেই কোন শৃঙ্খলা এবং নেতাদের প্রতি দলের অপর নেতাদের শ্রদ্ধা ও পরমতসহিষ্ণু মনোভাব। অস্থিরতা নির্ভর দলের নেতাদের জীবন ও আচরণ এবং বক্তব্য দলের কর্মী ও সমর্থকদের অস্থির করে তুলছে। তাদের কর্মকান্ডের দায় এখন আর কর্মী ও সমর্থকরা বহন করতে চায় না। কারণ সকল কর্মকান্ডই হল ব্যক্তি স্বার্থের জন্য। দলীয় কর্মী ও সমর্থক এমনকি দেশের সার্বিক কল্যানের প্রয়োজনে নয় বিধায় জনমতের শূণ্য কোটা এখন প্রকাশিত।
বিএনপির এই অস্থিরতা থেকে বের হয়ে আসার জন যে যোগ্যতা ও ক্যারেশমেটিক নেতৃত্বের প্রয়োজন  তা এই মুহুত্বে দলের নেতাদের মধ্যে নেই। মুরুখ্য দলীয় প্রধান এবং এর মুরুখ্য ছেলের তোয়াজা বা তোষামোদি ছেড়ে যেদিন সঠিক দিক নির্দেশনা দিয়ে দলকে এগিয়ে পথদর্শন দেখাতে পারবে সেদিন হয়ত দলের প্রাণ ফিরে আসতে পারে। তবে আপাত দৃষ্টিতে যা দৃশ্যমান তা কিন্তু বড়ই হতাশার।
আগামী নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে কিন্তু কি নিয়ে এবং কাদেরকে নিয়ে অংশগ্রহন করবে। বিএনপির নেই কোন যোগ্য নেতা এবং নেতৃত্বের গুনাবলী সম্পন্ন মেধাবি পরিকল্পনা। অন্যের পরিকল্পনা ধার করে অগোছালো এবং অসামঞ্জস্য রুপরেখা যা আগেই বাস্তবায়িত হয়েছে এবং কিছু বাস্তবায়নাধীন রয়েছে তা দিয়ে আরো দলীয় সংকট সৃষ্টি হয়ে নেতিবাচক আকারে ঘণীভূত হয়েছে। তাই বিএনপির আগামী নির্বাচনে আসাটা ছাগলের তিন বাচ্ছার মধ্যে দুটো দুধ খেয়ে লাফায় আর একটি না খেয়ে দেখা দেখিতে লাফায়; সেই দেখাদেখিতে লাফানো তৃতীয় বাচ্চাটির মতই হবে।
এখনও সময় আছে বিএনপির ঘুরে দাড়ানোর। আর সেটি হবে দীর্ঘ সময় পর। তার জন্য এখনই প্রস্তুতি শুরু করতে হবে। যেমন দল গোছানো, যোগ্য ও মেধাবিধের হাতে নেতৃত্ব দিয়েস কাজ করার সুযোগ করে দেয়া। স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির লোকদের নেতৃত্বে আনতে হবে এবং এই দেশের ইতিহাস বিকৃতি বন্ধ করে ও স্বাধীনতার স্থপতির প্রশংসা নির্ভর ইতিবাচক রাজনীতি নিয়ে কাজ করে নিজেদেরকে প্রমান করতে হবে। ঘরে বসে, সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনকি কটু কথা বলে দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থেকে ক্ষমতায় আসার আর কোন সুযোগ নেই বর্তমানে বিএনপির সামনে।
বিএনপিকে যেমন সংশোধন হতে হবে তেমনি আমাদের সরকার এবং দলকেও সতর্ক থেকে আগামীর জন্য আরো গনমুখী পরিকল্পনার সঙ্গে দলীয় সকল নেতা কর্মীদের মধ্যে সমন্বয় ঘটাতে হবে। নেতায় নেতায় দ্বন্ধ এবং কর্মীতে কর্মীতে দ্বন্ধ যদি অব্যাহত থাকে তাহলে আগামী নির্বাচন তথা দেশ পরিচালনার গতি স্তব্ধও হয়ে যেতে পারে। আরেকটি বিষয় লক্ষ্যনীয় যে, দলীয় কিছু মহৎ নেতা বা মন্ত্রী-এমপিদের কাছের লোকের আকাচুম্বী ব্যক্তি লোভ জনমনে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে প্রতিনিয়ত। তাদের লোভের স্বীকার হচ্ছে দলীয় নিরীহ সমর্থকরাও। সেই লোভীদের নিয়ন্ত্রন না করতে পারলে আগামী নির্বাচনে এটি একটি ঝুকির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। এখনই সময় আছে তাদের নিয়ন্ত্রণ করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়ার। আগামী দিনের স্থীতিশীলতার প্রয়োজনে ঐ লোকদের শাস্তির আওতায় আনা উচিত। কারণ ঐ লোকদের দ্বারা ভোটের উন্নতি তো দুরের কথা দলীয় ভোটাররাও ভোট দান থেকে বিরত থাকার লক্ষ্য প্রমান আমাদের হাতে রয়েছে।
সময় থাকতে সকলকেই যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে এবং আগামীর তরে আমাদের দেশের ও বঙ্গবন্ধু তনয়ার উন্নয়নমুখী কর্মকান্ড অব্যাগত ও গতিশীল রাখতে হবে। দেশকে লক্ষ্যে পৌঁছাতেই হবে। জনগণ এখন ইতিবাচক ¯্রােতের সঙ্গে রয়েছে এবং এর প্রমান বার বার দিয়ে যাচ্ছে। তাই জনগণ বিমুখ যেন না হয় সেইদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে আমাদের সকলেরই।

Leave a Reply

Your email address will not be published.