কফি হাউজের আদলে খালেদাড্ডা

শহিদর রহমান॥ “মজলিসে সুরার সেই আড্ডাটা আজ আর নেই,
কোথায় হারিয়ে গেল সোনালী বিকেল গুলো সেই।। আজ আর নেই,
মুঈনুল বিলেতে, আশরাফ আমেরিকায়, নেই তারা আজ কোন খবরে,
রসিকলাল সাকা ভাই ঘুমিয়ে আছে যে আজ কবরে,
পাকিকে ভালবেসে আঘাত পেয়ে যে শেষে, লোহার গারদে ছিলো আলীম ভাই, বেবাকে ধুকছে দুরন্ত অনুতাপে হামিদ করেনি তাগোরে ক্ষমা হায়।।
সাঈদীই আজ শুধু সবচেয়ে সুখে আছে, শুনেছি চান্দেতে প্লট তার,
চান্দের আলোয় আগা গোড়া মোড়া সে, দাড়ি-মোছ সব কিছু লাল তার,
পাক বাহিনীর ছেলে গোলাম আজম ভাই সহিংসতার ছক শুধু আঁকতো
আর চোখ ভরা কথা নিয়ে একমুখ হাসি নিয়ে আমাদের ম্যাডামটা বসে শুধু থাকতো।।
একটা টেবিলে সেই তিনচার ঘন্টায়, দেশটা গ্রেনেডে জ্বলতো
কখোনো ২১শে আগষ্ট, কখোনো ১৪ই ডিসেম্বর, এই নিয়ে তর্কটা চলতো
রোদ ঝড় বৃষ্টিতে যেখানেই যে থাকুক কাজ সেরে ঠিক এসে জুটত
দশটায় শুরু করে জমিয়ে আড্ডা মেরে রাত পোনে ২ টায় ঠিক উঠত।।
কবি কবি চেহারা কাধেতে ঝোলানো ব্যাগ মুছে যাবে কামরুর নামটা
একটা কবিতা তার হলনা পত্রিকায় ছাপা, পেলনা সে সাংবাদিকের দামটা
টিভিতে, পেপারে রসালো নাটকে সাকাচৌ অভিনয় করতো
বাঘা বাঘা রিপোর্টার হররোজ সাকায় কি-কয় তাই শুধু বলতো।।
সেই নয়জন নেই আজ টেবিলটা তবু আছে
নয়টা পেয়ালা আজো খালি নেই
একই সে টেবিলে আজ বসতেছে নূতন ন্যাতা
শুধু সেই সেদিনের পাকি নেই।
কতো স্বপ্নের রোদ ওঠে এই হাওয়া ভবনে কত স্বপ্নের মেঘে ঢেকে যায়
কতজন এলো গেল কতজনই আসবে ষড়যন্ত্রটা শুধু থেকে যায়।”

Leave a Reply

Your email address will not be published.