লন্ডনে দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র: খালেদার সঙ্গে আইএসআই এর গোপন বৈঠক

চপল, যুক্তরাজ্য প্রতিনিধি॥ যুক্তরাজ্য সফররত বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া পাকিস্তনী গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করছেন বলে জানা গেছে। খুব গোপনীয়ভাবে সেন্ট্রাল লন্ডনে একটি হোটেলে তারা বসেছেন । সঙ্গে আছেন তারেক রহমান, লন্ডনে পালিয়ে থাকা যুদ্ধাপরাধী চৌধুরী মঈনুদ্দিন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসেছেন আর এক যুদ্ধাপরাধী আশরাফুজ্জামান এবং লন্ডনের জামাতের কয়েকজন নেতা ।
USA`r একটি গোয়েন্দা সংস্থা বেগম খালেদা জিয়ার লন্ডন যাবার পর থেকেই তার উপর কঠোর নজরদারী বজায় রেখে চলেছে । তাদের তথ্য অন্যুায়ী লন্ডনস্থ পাকিস্তান এম্বাসিতে কর্মরত জুনায়েদ নাম এর একজন ব্যাক্তি যিনি সম্ভবত পাকিস্তান এর সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আই এস আই এর আন্ডার কাভার একজন অফিসার, তিনি খালেদা জিয়ার সাথে তার লন্ডন এ পৌঁছানোর পরই দেখা করেন । অনুসন্ধানে জানা যায় ছদ্মবেশী এই জুনায়েদ(যা তার প্রকৃত নাম নাও হতে পারে) লন্ডনে থাকাকালীন খালেদা পুত্র এবং বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তথা বাংলাদেশের সাজাপ্রাপ্ত আসামী তারেক জিয়ার সাথে খুবই নিবিড় ও গোপন সম্পর্ক বজায় রেখে চলেন । জানা যায় , জুনায়েদ এর সাক্ষাতের পর পাকিস্তান এর আই এস আই এর পূর্বাঞ্চল গোয়েন্দা শাখার কর্মকর্তা রিয়াজ আশফাক লন্ডনে পাড়ি জমান এবং বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের সাথে সাক্ষাত করেন । জুনায়েদ এবং রিয়াজ এর সাথে উভয় সাক্ষাত ই ঘটে লন্ডনের সেইন্ট জেমস কোর্ট এরিয়াতে অবস্থিত তাজ হোটেলে ১৮ এবং ১৯ জুলাই , ২০১৭ সালে, গভীর রাতে । উল্লেখ্য এই তাজ হোটেলেই তারেক রহমান বাংলাদেশ এ ২০১৪ সালের নির্বাচন এর পূর্বে ও পরে তার গোপন বৈঠকগুলো পরিচালনা করতেন ।
এমনকি এই তাজ হোটেলেই বাংলাদেশ এর ২০১৪ এর নির্বাচন প্রভাবিত করার উদ্দেশ্যে নিশা দিশাই বিলওয়ালের পূর্বে দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক মার্কিন এসিটেন্ট সেক্রেটারি রবার্ট ব্লেকের সাথেও দুবার তারেক সাক্ষাত করেছিলেন । এই হোটেলটি আই এস আই এর আগেও বহুবার তাদের গোপন বৈঠকের জন্য ব্যবহার করেছে । ১৯৯৫-৯৬ সালে আই এস আই এই হোটেলেই শেখ মুজিবরের খুনী আব্দুর রশীদ এর সাথে বাংলাদেশ এর বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার পরিকল্পনা নিয়েও বৈঠক করেছিলো বলে জানা যায় ।
এছাড়াও গোয়েন্দা সংস্থাটির রিপোর্টে জানা যায় যে, আই এস এর সদস্যরা নেদারল্যান্ড এর রাজধানীর উপকূলের একটি শহর ব্রেডায় শেখ মুজিবের খুনীদের সাথে দেখা করে। এছাড়াও বাংলাদেশ বংশোদ্ভুত খালেদ মহিউদ্দিনের সাথেও তারা বৈঠক করে । এরই ধারাবাহিকতায় বিএনপি নেতা নাজমুল হুদা শেখ মুজিবের খুনি ফারুক-রশিদ দের সাথে বৈঠক করে শ্রীলংকার LTTE (এল টি টি ই) এর সাথে যোগাযোগ এবং প্রক্রিয়া খোঁজার চেষ্টা করে যে যেভাবে শ্রীলংকান এল টি টি ই যেভাবে আত্মঘাতী বোমা হামলায় রাজীব গান্ধীকে হত্যা করে, তেমন কোন প্রক্রিয়ায় শেখ হাসিনাকে হত্যা করা যায় কিনা। কিন্তু সেসময় ইজরায়েলি একটি সংস্থার মাধ্যমে ভারতীয় উপমহাদেশীয় দেশের একটি গোয়েন্দা সংস্থা সে তথ্য পেয়ে যায় এবং এই হত্যা চক্রান্ত ভেস্তে যায় ।
কিন্তু বর্তমানে এই খালেদা জিয়ার লন্ডন সফরে আই এস আই এর রিয়াজ এর সাথে বৈঠকের ব্যাপারটি থেকে এই উপমহাদেশের প্রভাবশালী একটি গোয়েন্দা সংস্থা ধারণা করছে হয়তো খালেদা জিয়া এবং তারেক জিয়া সহ আওয়ামী বিরোধী চক্র বাংলাদেশ এ নির্বাচনী প্রচার চালানোর সময় বা পৃথিবীর অন্য কোন দেশে সফররত অবস্থায় বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর আত্মঘাতী বোমা হামলা ঘটানোর প্রচেষ্টা করতে পারে। এবং এই আত্মঘাতী বোমা হামলার জন্য ব্যবহার করা হতে পারে পাকিস্তানের আত্মঘাতী বোমা হামলায় পারদর্শী জিহাদি গোষ্ঠীর সদস্যদের এবং সেই সাথে বাংলাদেশ এ আটকে থাকা রোহিংগাদের দ্বারা গঠিত আত্মঘাতী শিশু এবং নারী বোমা হামলাকারীদের দ্বারা । এছাড়া জানা যায় বাংলাদেশের কিছুটা অস্থির পার্বত্য অঞ্চলের সরকার বিরোধী গোষ্ঠীদেরও এই হামলার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে ।
উল্লেখ্য যে, দুজন আই এস আই অফিসার যাদের নাম জানা যায় যথাক্রমে কর্ণেল বশির এবং মেজর ইমতিয়াজ তারা বর্তমানে হংকং এ সক্রিয় রয়েছে চীন নির্মিত অবৈধ অস্ত্র কিভাবে মায়ানমার-চীন বর্ডার দিয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিদ্রোহী বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী উলফা এবং বাংলাদেশী JSS (জন সংহতি সমিতি) কে সরবরাহ করা যায় । কর্ণেল বশির এবং মেজর ইমতিয়াজ মায়ানমারের অন্যতম বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী UWSA (UNITED WA STATE ARMY) এর নিকট থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ সংগ্রহ করছে বলে জানা যায় । উল্লেখ্য USWA বর্তমানে মায়ানমার এর অন্যতম বিদ্রোহী বিছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী যাদের প্রায় ২৫০০০ সদস্য আছে বলে জানা যায় । এমনকি অনেক সূত্র থেকে গোপনে জানা যায় USWA চীনা ভারি অস্ত্র এবং অত্যাধুনিক অ্যান্টি এয়ারক্রাফট মিসাইল MANPADS ও নিজেদের করায়ত্ত করেছে । আর UWSA এর তরফ থেকে নেপালি বংশোদ্ভুত শিভ পান্ডে নামক একজন এই অস্ত্র কেনা-বেচার মধ্যস্থতা করছেন বলেও জানা যায় ।

Leave a Reply

Your email address will not be published.