আইন মন্ত্রীর এপি এস’র অমায়িক ব্যবহারে মুগ্ধ

নয়ন॥ গত সোমবার ৩১/০৭/২০১৭ইং তারিখ মন্ত্রীমহোদয়ের সাথে সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্জ্ব এম এ রাজ্জ্বাক সাহেব যিনি বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত এবং বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এর সম্পাদক ও আদর্শ পল্লী উন্নয়ন কমিটি + মসজিদ কমটির সভাপতি। সাপ্তাহিক ফ্রাইডে রিভিউর প্রকাশক ও সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি। তিনি বিশেষ কাজে মন্ত্রীমহোদয়ের স্মরণাপন্ন হতে চাচ্ছেন। আমার সঙ্গে উনার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক; এক কথায় পারিবারিক সম্পর্ক। সেই সুবাদে আমি প্রথমে নিয়ে যায় আইন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সারোয়ার ভাইয়ের কাছে। উনার আন্তরিকতা ও সুন্দর পরামর্শে তিনি মুগ্ধ। তারপর উনি উনার এপ্লিকেশন জমা দেন আইন মন্ত্রণালয়ের আইন সচিব মহোদয়ের দপ্তরে। আমি মন্ত্রীমহোদয়ের সঙ্গে দেখা করা এমনকি জীবন ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে গেলে তিনি আমার সঙ্গে যান।
আমি জীবন ভাইকে পরিচয় করিয়ে দিয়ে বলি ওনার বিষয়। জীবন ভাই উনার আন্তরিক ভালবাসা ও সহযোগীতার মনোভাব নিয়ে ওনাকে স্ব-উদ্দ্যোগে সহযোগীতার আশ্বাস দেন। তিনি এই আশ্বাসে মুগ্ধ। পাশাপাশি পি এস মাছুম ভাইয়ের আন্তরিকতায়ও মুগ্ধ। এই মুগ্ধতায় আমি নিজেও সম্মানীত বোধ করছি। আমাদের মন্ত্রী মহোদয় সম্পর্কে যে গুনগান গাইতাম সেই গুনগানের ফল তিনি দেখে অভিভুত। সে আমাকে বলে আসলে আপনার এলাকার মানুষ এবং এই পি, এস ও এপি এস খুবই ভাল মানুষ। আপনি এতদিন যা বলেছেন তা সত্যিই।
আমি আসলে মন্ত্রীমহোদয়ের একজন অন্ধ ভক্ত এবং ওনার জন্য আমার সাধ্যের ও সামথ্যের বাইরেও যা যা প্রয়োজন তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সেই তুলনায় রাজ্জাক ভাই যে প্রশংসা এবং সুনাম গাইলেন তাতে আমি জীবন ভাই ও মাসুম ভাইয়ের কাছে কৃতজ্ঞ। আসলে আমি এই অভুতপূর্ব সহযোগীতা আশা করিনি। কিন্তু পেয়ে নিজেও মুগ্ধ। মন্ত্রী মহোদয়ের নিকট কোন চাওয়া পাওয়া নেই কারণ আল্লাহ আমাকে যথেষ্ট দিয়েছে এবং দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু আমার দায়বদ্ধতা রয়েছে হক পরিবারের প্রতি এমনকি পানিয়ারূপ গ্রামের প্রতি। সেই দায়বদ্ধতা থেকেই  আমার পথচলা এবং আমৃত্ত পাশে থেকে কাজ করার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
আজ সেই প্রতিজ্ঞার সার্থকতা পেলাম এবং আগামী দিনে যে কোন প্রয়োজনে সর্বস্ব উজার করে দিয়ে কাজ করতে আরো অনুপ্রেরণা পেলাম। শেষে মন্ত্রীমহোদয়ের সাথে দেখা না করেই চলে এলাম। আসার পথে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সিরাজুল ইসলাম সাহেবের সঙ্গে দেখা করে আসি। ওনি জনাব রাজ্জাক সাহেবের বড় ছেলের শ্বশুর। ওনিও একজন অমায়িক ও চমৎকার মানুষ। আল্লাহ ওনাকে সুস্থ্য রাখুক।
আমার আরো ইচ্ছা ছিল বন্ধুবর আকরামুজ্জামানের সাথে দেখা করার। অনেক দিন দেখা ও কথা হয়নি। কিন্তু সময়ের অভাবে জালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব সাহের সঙ্গে আর দেখা হলো না। পাশাপাশি ইচ্ছা ছিল স্ব-রাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব জনাব সাব্বির ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে। তাও হলো না। কিন্তু জন প্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পি আর ও সাহেবের সঙ্গে দেখা হয়ে গেল পথে। অনেক সময় নিয়ে গিয়েও দেখা করতে পারলাম না অনেক কাছের লোকদের সাথে।
তবে মুগ্ধতার বিষয়ে এবং মুর–ব্বিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আগামী দিনে আরো সুন্দর লিখা উপহার দেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে আজকের মত বিদায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published.