দেশের কল্যাণে নেতিবাচক দিক পরিহার সময়ের দাবি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির বহি:প্রকাশেই আগামীর কল্যাণ নিহীত

বেদনার মাস আগষ্ট। আশা-আকাঙ্খা, সুখ-শান্তি, স্বপ্ন এমনকি পিতা হারানোর মাসে আজ আমরা। আমরা কঠিন সময় অতিক্রম করে যাচ্ছি; খুজে ফিরছি সেই হারানো অতিত এবং বিনির্মান করে যেতে চাই ভবিষ্যত সুখের সা¤্রাজ্য। সেই পথে অনেক দুর এগিয়েও এসেছি। এখন দরকার জাতির ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা এবং মজবুত ঐক্য। এই ঐক্য টিকিয়ে রাখতে আমাদের প্রত্যেকের স্ব স্ব অবস্থান থেকে ভুমিকা রাখা দরকার। ক্ষুদ্র স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে বৃহত্তর স্বার্থের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কঠোর পরিশ্রম করে এগিয়ে যেতে হবে। তাহলেই স্বপ্নের সোনার বাংলা এবং শেখ হাসিনার প্রদর্শিত উন্নত বিশ্নের বাস্তব রূপ দেখতে পাব।
সব হারিয়ে এই জাতিকেই পরিবারের স্বীকৃতি দিয়ে যে মহীয়সী নারী আজ বিশ্ব নেত্রীতে পরিণত হয়েছেন এবং দেশ ও দেশের জনগণকে সুউচ্চ মর্যাদার আসনে উপনিত করেছেন সেই মহীয়সী মায়ের উপর অস্থা রাখুন এবং তিনি আমাদেরকে আল্লাহর উপর ভরসা নিয়েই এগিয়ে নিয়ে যাবেন। যার প্রমান ইতিমধ্যেই তিনি দিয়েছেন। আমার বলতে ইচ্ছে করে তিনি কিই না করছেন আমাদের জন্য। ধরুন তিন বাহিনীর প্রধানদের সু উচ্চ বেতন এর ব্যবস্থা তিনিই করেছেন। তাদের দিয়েছেন সর্বোচ্চ মর্যাদা। প্রধান বিচারপতিকে দিয়েছেন অগনিত স্বাধীনতা; যার ফলশ্রুতিতে তিনি যা ইচ্ছা তাই বলতে পারেন এবং অনবরত বলেই যাচ্ছেন। প্রয়োজন এবং অপ্রয়োজন কোনটিই তিনি আর বাদ রাখেননি। এমনকি বেশী বেশী করে বলতে বলতে মাঝে মাঝে ক্ষেয়ও হারিয়ে ফেলেন। সদ্য ঘটে যাওয়া ঘটনায় আস্তা রাখা তারিক সালমানকে দিয়েছেন অনাকাঙ্খিত সম্মান ও সুউচ্চ পদ। যা তাকে নয় বরং দেশবাসিকেও আস্থা এবং বিশ্বাস রাখার নির্ভরতা যোগায়। তিনি দেশবাসীর জন্যই শুধু করেন তা নয় তিনি তাঁর পরিবারের প্রতিও যতœশীল। জয়ের জন্মদিনে তিনি সকলের কাছে জয়ের জন্যও দোয়া চেয়েছেন। এই হল আমাদের মা। যারা তাকে ভালবাসে তিনি তাদের সেই ভালবাসার প্রতিদান দেন। তিনি আমাদের ঢাকা বাসীর জলাবদ্ধতার বিষয়ে ওয়াকবহাল এবং এর আশু সমাধানের ব্যবস্থা হাতে নিয়েছেন। যেখানেই সমস্যা সেখানেই আমাদের এই অভিভাবক এবং সমস্যা থেকে নিস্তার তাঁরই হাত ধরে আসে।
বাংলাদেশে কিছু উচু শ্রেণীর বাটপার বা ঠকবাজ রয়েছে যারা নিজেদেরকে স্বঘোষিত নাগরিক সমাজ বা সুশিল সমাজ বলে দাবি করে। আসলে তাদেরকে কে এই উপাধি দিয়েছে? যারা এই স্বঘোষিত উপাধিতে তাদের ডাকেন তাদেরকে বলছি সাবধান হউন না হয় জাতি আপনাদেরকে টেনে হিচড়ে নাজেহাল করবে। ঐ মিরজাফরদেরকে কোন সরকারী বা বেসরকারী অনুষ্ঠানে অন্তত ঐ নামগুলো ব্যবহার করে ডাকবেন না। কারণ ঐ নামগুলোর সঙ্গে সরলতা এবং সকল সরল ও ভাল মানুষের সম্পৃক্ততা রয়েছে। আর ঐসকল ভাল মানুষগুলোতো তাদেরকে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করেনি বরং তাদের কৃতকর্মের জন্য ঘৃণা করে। ঐ ভন্ড সুশিল বা নাগরিক সমাজ নামধারী প্রত্যেকটি ব্যক্তির চরিত্রে কলঙ্কের তিলক এটে আছে। প্রত্যেকেই সুবিধাভোগী এবং ক্ষমতালোভী। নিজেদের আখের ঘোছানোর জন্যই তারা সাধারন সহজ সরল মানুষগুলোকে পুজি করে। বিদেশীদের টাকায় বড় কথা বলে। দালালীর একটা শেষ আছে কিন্তু তাদের দালালীর কোন শেষ নেই। বিশেষ করে নির্বাচন সামনে আসলেতো কোন কথাই নেই। জনগণ এখন তাদেরকে চিনে এবং জানে। প্রস্তুত হউন গণধোলাইয়ের জন্য।
অন্যদিকে নতুন জোট গঠনের প্রক্রিয়া চোখে পড়েছে। আসলে নির্বাচনের আগে সুবিধাবাধি এবং ছাগলের তিন বাচ্ছার যেটি দুধ না খেয়ে লাফায় সেই বাচ্চাটির দলের লোকজন এখন ব্যস্ত নিজেদেরকে জাহির করতে। যত জোটই গঠন করুন না কেন জনগণ কিন্তু আপনাদেরকে ঐ না খেয়ে লাফানো ছাগলের বাচ্ছাটির মতই দেখে। মনোখায়েস বা মনোবাসনা ও কামনা পুর্ণ হওয়ার নয় এবং হবেও না। তবে নিজ গৃহে স্ত্রীর সঙ্গে হয়ত মনোকামনা পূর্ণ হতে পারে যদি তাও সম্ভব না হয় তাহলে খালেদা জিয়ার স্থান দখলের চেষ্টা করুন তাহলে হয়তো সম্ভব হতেও পারে। রাজনৈতিক খায়েস পূর্ণ হবে না আপনাদের তা সারা দেশের মানুষ গ্যারান্টি দিয়ে বলে দিতে পারে। কারণ আপনরা এখন পরিক্ষিত। আর দেশতো এগিয়ে যাচ্ছে শেখ হাসিনর নের্তৃত্বে আপন গতিতে। তাই আর নতুন না খাওয়া ছাগলের বাচ্চার প্রয়োজন নেই।
দেশটা কার এবং কেন দেশের মানুষ কেন্টনম্যান্ট এর রাস্তা ব্যবহার করতে পারবে না। যদি ক্যান্টনম্যান্ট শহরের বাইরে হয় তাহলে ঠিক আছে কোন সমস্যা নেই তবে সেখানে প্রয়োজনে মানুষ যাতায়ত করতে পারবে এটাই তার মৌলিক এবং রাষ্ট্রিয় সাংবিধানিক অধিকার। সেই অধিকার রক্ষার জন্য বিনা সংগ্রামে গমনগমনের ব্যবস্থা করা হউক। প্রত্যেকটি মানুষের রাজনৈতিক বক্তব্য এমনকি কথা বলার এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে। তাই আমাদের মত প্রকাশের বাচন ভঙ্গি এবং ভাষায় সমযত হওয়া প্রয়োজন। অন্যের দোষত্রুটি না খুঁজে বরং নিজের এবং নিজের চারিপাশের সমস্যা খোজা ও কথা বলা প্রয়োজন। অন্যোর দোষ খোঁজা এবং বলার সময় এখন নয়। বরং নিজের দোষত্রুটি খোঁজে বলে সংশোধনের জন্য চেষ্টা করা এবং অন্যকে সংশোধনে সহায়তা করা প্রয়োজন। বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে এখন বিভিন্ন কায়দায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালিত হচ্ছে যা সোস্যাল মিডিয়া এবং বিভিন্ন খবরের কাগজে বা টিভিতে প্রত্যক্ষ করা যাচ্ছে। এহেন পরিস্থিতিতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর দায়বদ্ধতা বেড়েই যাচ্ছে এমনকি কোন কোন জায়গায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নিষ্কিয়তাও লক্ষনীয়। তাই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে প্রত্যেকের দায়িত্বটুকু পালন করা জরুরী হয়ে পড়েছে।
দলীয় ফোরামের আগাম অনুমান নির্ভর কথাবার্তা না বলে সঠিক সংবাদ পরিবেশন করুন। অনুমান নির্ভর সংবাদ পরিবেশন থেকে বিরত থাকুন। কে কোন দল থেকে নমিনেশন পাবে তা সময়ই বলে দিবে। এখন জলঘোলা করে দলীয় কোন্দল এমনকি সম্মুখ সমর হওয়ারও উপক্রম তৈরী করা থেকে বিরত থাকুন। তাই সোস্যাল মিডিয়া এবং সকল সংবাদ মাধ্যমের সহকর্মীদেরকে বিনীত অনুরোধ করছি এমন সংবাদ পরিবেশন থেকে বিরত থাকতে। আমাদের কাজ হলো সত্যকে সামনে নিয়ে আসা। সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করা। মিথ্যার অন্ধকার থেকে জাতিকে বের করে আনা। দুর্নীতি ও সন্ত্রাস এর কবল থেকে দেশকে এবং দেশবাসিকে রক্ষা করা। তাই সবাই মিলে আসুন ইতিবাচক মনোভাবের সহিত কাজ করি এবং নেতিবাচক মনোভাবের বিরুদ্ধে সোচ্চার হই এবং সচেতনতা বৃদ্ধি করি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.