কসবা আখাউড়ার উন্নয়ন রূপকার এবং শেখ হাসিনার সরকারে স্বচ্ছ এবং নির্লোভ দৃষ্টান্ত আনিছুল হক

তাজুল ইসলাম নয়ন॥ কসবা আখাউড়াকে স্বাধীনতার পর যে উন্নয়ন এবং স্বচ্ছতানির্ভর কর্মকান্ডের এক সু-উচ্চ দিগন্তে পৌঁছে দিয়েছেন তিনি হলেন আমাদের সেই ছোট্ট শ্যানন। যিনি আজকে নিজেকে নিজ যোগ্যতায় ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এবং জনাব এডভোকেট আনিছুল হক সাহেবের মন্ত্রী হওয়ার পূর্বে যা কিছু করেছেন তাও নজির সৃষ্টি করে জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। আজ মাননীয় মন্ত্রী হিসেবে তিনি যে অসাধারণ কাজ করে যাচ্ছেন তার যৎসামান্যই সাল অনুযায়ী তুলে ধরা হলো। বিশেষ করে সরকারী চাকুরীরর ক্ষেত্রে বিনা উপটৌকন বা ঘোষে বাড়ি থেকে ধরে এনে চাকুরী দিয়েছেন তাদের সকলের ইন্টারভিউ আমাদের কাছে সংরক্ষিত তবে কয়েকটি উল্লেখ করেছি জনগণের জ্ঞাতার্থে। আমাদের কাছে সকলের সন অনুযায়ী নাম, ঠিাকানা, ফোন নং এবং উপজেলা ও গ্রাম উল্লেখ রয়েছে। আমরা এর সত্যতা ১০০ভাগ নিশ্চিত হয়েই এই রিপোর্ট জনগণের সামনে তুলে ধরলাম।
তবে এই মহৎ কাজে জনাব হক সাহেবকে নিরলসভাবে যিনারা সহযোগীতা করেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম পিএস মাছুম সাহেব এবং এপি এস এডভোকেট রাশেদুল কাউছার জীবন সাহেব। বিশেষ করে এলাকা চষে বেরিয়েছেন জীবন সাহেব; শুধু মন্ত্রীমহোদয়ের মহৎ হুকুম তামিল করতে। শুধু যে চাকরি দিয়েই শেষ তা কিন্তু নয়, বরং এখনও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে সৎভাবে কাজ করে এলাকা এবং মন্ত্রীমহোদয়ের সম্মান বৃদ্ধির আহবান জানান। এই দৃষ্টান্ত থেকে আমাদের সমাজে ও দেশে নতুন এক বিপ্লব এর সুচনা ঘটল। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় তাঁর ইচ্ছা ও আকাঙ্খা তাঁরই মেয়ের হাত ধরে আনিছুল হকের মাধ্যমে বাস্তবায়িত ও প্রকাশিত হলো।
২০১৪ সলে মোট চাকুরী পেয়েছে ৯৭জন। এই ৯৭জনই বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের। তবে কসবা এবং আখাউড়ার প্রাধান্য এখানে লক্ষণীয়। ২০১৫ সালে মোট চাকুরী পেয়েছে ২২১ জন। ২০১৬ সালে মোট চাকুরী পেয়েছেন ২২০জন। ২০১৭ সালে চাকুরী পেয়েছেন মোট ১১১ জন। মোট এই চার বছরে চাকুরী পেয়েছেন ৬৫৯জন। এদের প্রত্যেকেই আজ এই সরকার তথা মাননীয় মন্ত্রী এবং তাঁর সহকারীদের নিকট কৃতজ্ঞ। এদের প্রত্যেকের পরিবার সরকার এবং মন্ত্রীমহোদার দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
অনুসন্ধানে সততার চমৎকার দৃষ্টান্ত উঠে আসে। জনাব কাজী মানিক, পিতা গোলাম আম্বিয়া, গ্রাম-নোয়াগাঁও, উপজেলা- কসবা। সে বর্তমানে ঢাকা কোর্টে তুলনা সহকারী হিসেবে কর্মরত রয়েছে। তার ফোন নং-০১৭১১৭১৭২৭৭। তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়। সে জনাব আনিছুল হক সাহেবের কাছে আসে একটি চাকুরীর জন্য। এবং বিনয়ের সঙ্গে তার প্রয়োজনের কথা বলেন। তখন তিনি মনযোগের সহিত শুনে তার কাগজ পত্র রেখে বলেন আমি দেখতেছি যাও। তোমার ফোন নম্বর আমাকে দিয়ে যাও। পাশাপাশি জনাব হক সাহেবের এপি এস কে ডেকে জনাব মানিকের কাগজ পত্র দিয়ে বলে আমাকে স্মরণ করিয়ে দিবে। যাও আমি তোমাকে ফোন দিব। এই বলে বিদায় করে। ঠিক সময় মত উনি এ পি এস এর মাধ্যমে ফোন করিয়ে বিস্তারিত বলে দেন। তারপর পরিক্ষা এবং ইন্টরভিউর মাধ্যমে তার চাকুরী হয়। চাকুরী পাওয়ার পর সে আনন্দে বাকরুদ্ধ এবং মনে হল আকাশের চাঁদ হাতে পেল…. অতি সহজে। সে কল্পনাও করতে পারেনি মন্ত্রীমহোদয় তার কথা রাখবেন এবং তাকে এত বড় উপকারটি করবেন। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, এই ভাবেই প্রক্যেককে চাকুরী দিয়েছেন। মো: মাহমুদুল হক মুন্না, পিতা- হাজী মাজহারুল হক, গ্রাম সৈয়দাবাদ, উপজেলা-কসবা। বর্তমানে সে নিবন্ধন পরিদপ্তরে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে মানিকগঞ্জে কর্মরত আছে। তার ফোন নম্বর ০১৭১৭৪৮৩৩৭৩। একইভাবে তার সাথে আমাদের আলাপ হয় এবং সে বলে আমি ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। আর সেই সুবাদে মন্ত্রী মহোদয়ের অফিসে যাতায়ত এবং যোগাযোগ ছিল। আমি একটি বেসরকারী ইনসুরেন্স কোম্পানীতে চাকুরী করতাম। কিন্তু দীর্ঘদিন পরে জানতে পারি মন্ত্রীমহোদয় তাঁর দুরদর্শীতা এবং ভালবাসার উপহার জীবন ভাইয়ের মাধ্যমে আমাকে জানালো। এই সংবাদ শুনে আমিতো আকাশ থেকে পড়লাম। কি মহামানব এবং দুরদর্শী ও সুদুর প্রসারী যোগ্য লোক না হলে কি এই উপহার আমার হাতে আসত। আমি অ্যাপ্লিকেশন করলাম এবং পরিক্ষা ও ভাইবা দিয়ে চাকুরীতে যোগ দিলাম। আজ বুঝতে পারি আমার নেত্রী এবং দেশের অভিবাবক এই যোগ্য প্রথিতযশা খ্যাতিসম্পন্ন মানুষটির হাতে কেন দায়িত্ব দিয়েছেন? উনার এই সততা, আন্তরিকতা এবং ন্যায় পরায়নতা এবং মানব সেবা ইতিহাসে অম্লান হয়ে থাকবে। উনার পি এস এবং এ পি এস মহোদয়দেরকেও তাদের সততা এবং আন্তরিকতা ও কঠোর পরিশ্রমের জন্য সাধুবাদ জানাই। আমাদের মত হাজারো মানুষের জীবনে তাদের পরিশ্রমের মধ্যে যে আর্শিবাদ আসছে তা যুগ যুগ ধরে ইতিহাসের পাতায় অক্ষুন্ন থাকুক এবং এই থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামীর রাজনীতি এবং দেশ সেবা পরিচালিত হউক।
এমনি ধরনের কথা বলেছেন বিভিন্ন ক্ষেত্রে চাকুরী পাওয়া উপকারভোগীরা পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক তোফাজ্জল হোসেন যখন ইন্টারভিউর জন্য ফোন পান এমনকি কার্ডও পান তখনই জানতে পারেন তার রাজনৈতিক পরিচয় জানার জন্য সার্টিফিকেট প্রয়োজন। তখন মন্ত্রীমহোদয়ের নিকট গিয়ে বলল, মামা আমার ইন্টারিভিউ কার্ড এসেছে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এবং বিশ্ববিদ্যালয় আমার রাজনৈতিক পরিচয় জানতে চায়। অনেক কথা বলার পর বলল, সমস্যা নাই আমি দেখছি যাও হয়ে যাবে। ঠিকই হলো এবং বর্তমানে সে এসোসিয়েট প্রফেসর হিসেবে কর্মরত আছে। একইভবে ড. দিপনও ভাইবার আগে গিয়ে বলেছিল তখন মন্ত্রীমহোদয় বলেছিল যাও আমি দেখছি। চাকুরী হলো এবং সে বর্তমানে কিশোরগঞ্জ পাকুন্দিয়াতে উপজেলা মেডিক্যাল অফিসার হিসেবে কর্মরত রয়েছে।
বাড়াই গ্রামের আব্দুল্লা এখন রাজশাহীতে কোর্টে কর্মরত রয়েছে। তাকেও মন্ত্রীমহোদয় একইভাবে ডেকে এনে চাকুরী দিয়েছেন। তালতলা গ্রামের শরিফুল হক নিজামসহ সকলেই আশ্চর্যভাবে প্রধানমন্ত্রীর আশির্বাদ মন্ত্রীমহোদয় এর মাধ্যমে জীবন সাহেবের পরিশ্রমের মধ্যেদিয়ে প্রত্যেকেই  হাতে পেয়েছেন এবং বর্তমানে স্ব স্ব কর্মক্ষেত্রে সরকারী চাকুরীজিবি হিসেবে মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন। সব মিলিয়ে তিনি যাদেরকে চাকুরী দিয়েছেন তাদের মধ্যে প্রত্যেকেই নতুন নতুন আবেগীয় এবং উৎসাহের কথা বলেছেন আমাদের প্রতিনিধির সঙ্গে। আমরা অভিভুত এই ইন্টাভিউ নিয়ে।
পুলিশে যাদের চাকুরী হয়েছে তাদের অভিজ্ঞতা আরো চমৎকার। মন্ত্রী মহোদয় সবাইকে বলেছেন তোমাদের কাগজ এ পি এস (জীবন সাহেবের) কাছে জমা দিয়ে যাও। আমি সময় মত তোমাদেরকে ডেকে জানাব। তাই হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষেত্রে প্রাধান্য ছিল বরাবরই। অসহায়দের স্থান ছিল আগে এইভাবে তিনি সবাইকে কাজ দিয়েছেন এবং যাদের হয়নি তাদেরকে বলেছেন নিরাশ হয়ো না তোমাদেরও হবে আমি চেষ্টা করছি। আল্লাহর উপর বিশ্বাস রাখ।
উপকারভোগীদের পরিবারের সদস্যরা আজ মন্ত্রী মহোদয়ের জন্য জীবন দিতেও প্রস্তুত আর এলাকার মানুষ তাঁর এই উদার মহানুভবতার জন্য আজীবন মন্ত্রী হিসেবে দেশবাসীর সেবার কাজে তাঁকে দেখতে চাই। কারণ তিনি যে শুধু চাকুরী দিয়েছেন তা নয় বরং এলাকার রাস্তা-ঘাট, স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মাদরাসা, ব্রীজ-কালভার্ট এর অভুতপূর্ব উন্নতি সাধন করেছেন। ১০০ভাগ বিদ্যুৎ এর ব্যবস্থা করেছেন। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি সাধন এবং রাজনৈতিক নেতাদের মনোভাবের পরিবর্তন করে সেবার মনোভাবের দিকে ১০০ভাগ আন্তরিকতা দিয়ে কাজ করতে উদ্ভুদ্ধ করেছেন এবং শিক্ষার মানোন্নয়নে স্কুল, কলেজ এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নতি সাধন করেছেন।
এই অভুতপূর্ব উন্নয়ন সাধন হয়েছে আনিছুল হকের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল হিসেবে। তাই এলাকার জনগণ এখন এই হক সাহেবকে আবারো সেবার দায়িত্ব দিতে ব্যাকুল। প্রত্যেকটি মানুষ চায় হক নির্বাচনে আসুক এবং নির্বাচিত হউক। সেই দাবির ফলশ্রুতিতে জনাব আনিছুল হক সাহেব আবারো নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। আর সেই ঘোষনা শুণে নির্বাচনী এলাকার মানুষ এখন ব্যস্ত বিপুল ভোটে হক সাহেবকে পুনরায় নির্বাচিত করার কাজে। যার যার অবস্থান থেকে প্রত্যেকেই কাজ করে যাচ্ছেন। অনেকে আবার হক সাহেবের ঋণ শোধের নেশায়ও কাজ করছেন। তারা বলছেন আমাদের কাজ হলো জনাব আনিছুল হক সাহেবকে দ্বিতীয়বার পুন:নির্বাচিত করে কসবা আখাউড়ার সুনাম বৃদ্ধি করা। এই জোয়ারে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতার ন্যায় আবারো বিপুল ভোটে বিজিত হওয়ার সম্ভাবনা ১০০ভাগ।
নিন্দুক ও কুৎসা রটনাকারীর অভাব নেই। ষড়যন্ত্রকারীরও অভাব নেই। তাই ওদের কথায় কান নাদিয়ে প্রত্যেকে নিজের কাজটুকু করুন। এই কথাটি ৯৯ বছর বয়সের মাফিল সাহেব এবং ৫৭ বছর বয়সের আবু হানিফের। তারা বা তাদের পরিবার প্রত্যক্ষভাবে কোন উপকারভোগী নয় বরং এলাকার এই অভুতপূর্ব উন্নয়নে মন্ত্রীমহোদয়ের শুভাকাংখী হিসেবে এই উক্তিটি করছেন। দলে এহুদা ইস্কারিয়াত, মীরজাফর আছে এবং থাকবে। কিন্তু হাল ছেড়ে না দিয়ে দ্বিগুন গতিতে এগুতো হবে। দলে সুশৃঙ্খল অবস্থা ফিরিয়ে আনতে উপযুক্ত ট্রিটমেন্ট দিয়ে সকলকে নিয়েই একযোগ এগিয়ে গিয়ে বিজয়ের মালা প্রধান মন্ত্রীকে উপহার দিতে হবে। এই উক্তি বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে আসা একদল কর্মীর কাছ থেকে। তারাও কোন সুবিধা বা উপকার ভোগ করেনি। বরং মন্ত্রীমহোদয়ের সততায় এবং আন্তরিকতার এমনকি এলাকার উন্নয়নে মুগ্ধ।
এই লিখা শেশ করার কোন সুযোগ নেই তারপরও শেষ লগ্নে বলতে চাই আমাদের দেশে কবে হবে সেই ছেলে? এইতো হয়েছে সেই সোনার ছেলে, করিয়েও দেখিয়েছে এবং আগামীতেও করে দেখাবে। এই প্রত্যাশায় বিদায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published.