ঘুষ লেনদেন ছাড়াই সরকারী অফিসে দ্রুত গতিতে কাজ হয় … তাজুল ইসলাম নয়ন

বাংলাদেশে ১০ বছর পূর্বেও যা ভাবা যেত না তা এখন প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে ভাবা যায় এবং গর্ব করে বলা যায়।  আমাদের দেশের একটা রেওয়াজ ছিলো উপরি বা উপটৌকন বা সালামী; এক কথায় ঘোষ বিহীন কোন কাজ হবে না। এই কথাটি সত্যও ছিল বটে। কিন্তু বর্তমান সরকারের নিরলস প্রচেষ্টা ও পরিকল্পনা এবং আন্তরিকতা এমনকি উপযুক্ত পরিবেশ এর সাথে প্রয়োজনীয় যোগান ও দেখভাল করার কারণে আজ ঘোষ শব্দটি প্রায় বিলুপ্তির পর্যায়ে। তবে এখনও কিছু কিছু ক্ষেত্রে এর দৃশ্যমান চিত্র দেখা যায় যা অতি অল্প সময়েই বিলুপ্তি ঘটবে বলে বিশ্বাস।
দীর্ঘদিনের চর্চার অভ্যাসটা বদলাতে কিছু সময় দেয়া প্রয়োজন এবং এই ডিজিটাল যুগে পদাপর্নে নিজেদেরকে মানিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রেও একটু সময় দেয়া জরুরী। তবে আমাদের অভ্যাসের পরিবর্তন ঘটতে যাচ্ছে দেখে আশার জায়গাটুকু আরো বেশী প্রখর এবং নিশ্চয়তার দিকে এগিয়ে গেল। আমরাই পারি এবং পারব ও করে দেখাব বলার বাস্তবতার ভিত্তিতে শক্তি যুগিয়েছে। আমাদের সন্তানরা, পিতারা, মাতারা, ভাইয়েরা ও বোনেরা সবমিলিয়েয়ে এদেশের মানুষই সব বাধাবিপত্তি কাটিয়ে সত্যের জয় এবং শান্তির নিশ্চয়তা ও আগামীর সমৃদ্ধি নিশ্চিত করবে। এটাই প্রমান করে যাচ্ছে বার বার। বর্তমান সরকার দেশকে যা দিয়েছে তার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে পারলে হয়ত অতি অল্প সময়েই বাংলাদেশ পৌঁছে যাবে লক্ষ্যের শেষ প্রান্তে এবং অর্জিত হবে উন্নয়নশীল জাতির মর্যাদা এবং সম্মানের সঙ্গে বাঙ্গালী ফিরে পাবে তাদের হারানো মর্যাদা, যা দিতে গিয়ে জীবন দিয়েছিলেন এই জাতির পিতা।
বাস্তব সত্য হলো সরকারের অফিসে এখন আর ঘোষের প্রয়োজন পরে না কোন কাজ সম্পন্ন করতে গেলে। যেমন আমি নিজে এর জলন্ত প্রমান। কিছুদিন আগে লিখেছিলাম ঘোষবিহীন সোনার হরীণরূপী সরকারী চাকুরী এখন ঘরে ঘরে। যার প্রামান আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিছুল হক রেখেছেন তাঁর কাজে। অনুসন্ধানী রিপোর্টেও তা বের হয়ে এসেছে। যার কিছু ঐ রিপোর্টে উল্লেখ করেছিলাম। আজ আমি আমার পত্রিকার মিডিয়া লিষ্টের আবেদন সম্পর্কে বলি। আমি তথ্য মন্ত্রণালয়ে মিডিয়া লিষ্টের জন্য সচিব মহোদয়ের নিকট আবেদন করেই খালাস। আমি ব্যস্ততার জন্য কোন খবরও নেয়নি। কিন্তু কাজ তার গতিতে চলছে এবং তথ্য মন্ত্রণালয় যথাসময়ে কাজ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠিও দিয়েছে। আর সেই চিঠির আলোকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও সঠিক সময়ে সেই কাজটুকু করেছে। যা আমার কোন যোগাযোগ বা কারো সুপারিশের প্রয়োজন হয় নি। এই যে একটি কাজ তাঁর আপন গতিতে অল্প সময়ে সম্পন্ন হয়েছে তা কি প্রশংসার দাবি রাখে না?  এমনকি আগামীর বাংলাদেশের উন্নতির ভিত্তিতে ভূমিকা রাখে না? আমি সত্যিই আমার সরকার ও প্রশাসনের কাছে কৃতজ্ঞ এই সততা এবং আন্তরিকতা ও বিশ্বস্ততার জন্য। দেশ যে এগিয়ে যাচ্ছে তার একটি দৃষ্টান্ত এটিও।
আরেক বিষয় উল্লেখ করছি। আমি একটি বিদেশী প্রতিষ্ঠানে (ইংরেজী মাধ্যমে স্কুল যা শুধু বিদেশী এক্সপার্ট ও এ্যম্বাসির ফরেন পাসপোর্টধারী সন্তানদের জন্য) বাংলাদেশী ছেলে মেয়েদের পড়া-শোনার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে মাননীয় শিক্ষা সচিব মহোদয়ের নিকট আবেদন করি। কারণ পূর্বে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে শুধু বিদেশী পাসপোর্টধারীরাই পড়তে পারবে মর্মে অনুমোদন নেয়া হয়েছিল। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় তার গতিশীল কাজ দিয়ে যথা সময়ে বিদেশী পাসপোর্ট ও বাংদেশী ছেলে মেয়েদের শিক্ষার ব্যবস্থা সম্বলিত অনুমতির পত্র দিয়েছেন। এখানেও কোন রকম লেনদেনের প্রয়োজন হয়নি। এতেই প্রমানীত হয় বাংলাদেশ সরকারের দক্ষতা এবং আন্তরিকতা ও সততা। এই জন্য আমাদের মন্ত্রণালয়ের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ধন্যবাদ জানান। এই সততাই আমাদেরকে এগিয়ে নিয়ে যাবে উন্নত বিশ্বের উন্নত কাতারে।
ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের মতামতের প্রয়োজনে বোর্ড কর্তৃপক্ষাও সততা এবং আন্তরিকতা এমনকি দ্রুত সময়ে দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট তার স্বাক্ষর রেখেছে। এই যে সকল সেক্টরে লেনদেন বা ঘুষবিহীন দ্রুত কাজ হচ্ছে তার জন্য জাতি আজ গর্বীত এবং উজ্জিবীত। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং আগামীতে আমরা এর যোগ্য মর্যাদা দেখতে পাবো। সকল অফিসার ও কর্মীবাহিনীর প্রতি রইল গভীর শ্রদ্ধা ও অহংকার ভরা ভালবাসার বিশ্বাস, শ্রদ্ধা। আগামী দিনে আমরা উপভোগ করবো এই ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল।
বর্তমান বিডা বা পূর্বের বোর্ড অব ইনভেষ্টমেন্ট অফিস। সেখানেও দ্রুত কাজ হচ্ছে সততা এবং আন্তরিকতা দেশের প্রতি, সরকারের প্রতি এমনকি কর্মস্থলের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে সেবার মনোভাব নিয়ে। কোন রকম লেনদেন এমনকি হয়রানিবীহিন কাজ এই দেশে এখন হচ্ছে। যা আমেরিকা বা পাশ্চাত্বে আগে হতো এবং তা বাংলাদেশেই হয় এবং হচ্ছে এর জলন্ত প্রমান আমি নিজে। আমার কাছে এমন অসংখ্য তথ্য রয়েছে যা প্রশংসার দাবি রাখে।
আগামীতে আরো বিস্তারিত প্রকাশ করবো প্রশান্তির মাধ্যমে। তবে সরকারের আন্তরিকতা ও দেশ প্রেমের উজ্জল দৃষ্টান্ত এমনকি প্রতিটি কাজের চুলছেড়া বিশ্লেষণই আজ আমাদেরকে এই সুফল ভোগ করতে সহায়তা করে যাচ্ছে। তবে এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখাই এখন আমাদের কাছে সময়ের দাবি। আমারাই আমাদের প্রয়োজনে এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে সচেতন হয়ে কাজ করে যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.