ড. কামালকে প্রতারক ও সুবিধাবাদী বললেন ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পি

টিআইএন॥ বাংলাদেশের সংবিধানের প্রণেতা ড. কামাল হোসেন ষোড়শ সংশোধনীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় তাকে প্রতারক হিসেবে বর্ণনা করেছেন আওয়ামী লীগের সংসদ বেগম ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পি। গত বুধবার রাতে জাতীয় সংসদে কার্যপ্রণালী বিধির ১৪৭ (১) বিধিতে ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় প্রত্যাহার-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন তিনি। প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন জাসদ নেতা মঈনউদ্দিন খান বাদল।
ড. কামাল হোসেনের সমালোচনা করে ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পি বলেন, ‘এই কামাল হোসেন নিজেকে সংবিধানের প্রণেতা দাবি করে বাহাত্তরে যে কথা বলেছেন, এখন সেই সৃষ্টির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। যিনি সৃষ্টির বিরুদ্ধে অবস্থান নেন তিনি প্রতারক, তিনি সুবিধাবাদী।’
ড. কামাল জীবনে কোনোদিন ভোটে নির্বাচিত হতে পারেননি বলে দাবি করেন বাপ্পি। তিনি বলেন, ‘ভোটে দাঁড়ালে জামানত থাকে না। বঙ্গবন্ধুর দয়ায় বঙ্গবন্ধুর ছেড়ে দেওয়া আসনে একবার এমপি হয়েছিলেন। কিন্তু চেয়ারের বড়ই খায়েস। তাই অবৈধভাবে ষড়যন্ত্রভাবে কীভাবে ক্ষমতায় আসা যায় সেভাবে ব্যস্ত রয়েছেন।’ ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে দেয়া হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের শুনানিতে আদালতের নিয়োজিত ১২ আইনি সহায়তাকারীর একজন ছিলেন ড. কামাল। তিনি ষোড়শ সংশোধনীর বিপক্ষে মত দেন আদালতে।
ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের মামলায় অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে নিয়োগ পাওয়া ব্যারিস্টার আমিনুল ইসলাম ও রোকনউদ্দিন মাহমুদকে বর্ণচোরা বহুরূপী বলে উল্লেখ করেন বাপ্পি। তিনি বলেন, ‘তাদেরও চেয়ারের খায়েস। কিছুদিন লেফরাইট করেছেন রোদে-বৃষ্টিতে মেঘের ছায়ায়। তারপর দেখলেন এটা অনেক কষ্টের পথ। রাজনীতি অনেক কঠিন পথ। তাই এখন শটকাট পথ খুঁজছেন কীভাবে অবৈধ উপায়ে ক্ষমতায় আসা যায়।’ ষোড়শ সংশোধনী রায় সম্পর্কে বাপ্পি বলেন, ‘এই রায় পূর্বপরিকল্পিত এবং এটা জনগণের স্বার্থবিরোধী। একজন ছাড়া বাকি সবাই অবৈধ সংগঠন বিএনপির সঙ্গে সম্পৃক্ত। অ্যামিকাস কিউরি নিযুক্ত করার সময় আর কোনো আইনজীবী তাদের চোখে পড়েনি।’
বাপ্পি বলেন, ‘এই রায়ের পর্যবেক্ষণ আল্ট্রাভাইরাস। প্রধান বিচারপতি যেসব কাজকর্ম ও কথাবার্তা বলেছেন, বিচার বিভাগকে ধ্বংস করার জন্য ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তাকেই দায়ী করবেন।’

Leave a Reply

Your email address will not be published.