শিশুদের জন্য বেসিস কর্মশালা

শিশুদের প্রোগ্রামিং শেখানোর জন্য বেসিস আয়োজিত শিক্ষক শিক্ষিকাদের নিয়ে ২য় কর্মশালা হয়ে গেল গত ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৭।
বেসিস তার অঙ্গ সংগঠন বেসিস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (বিআইটিএম) এর সহায়তায় গত শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারস্থ বিআইটিএমের ৩০২ নাম্বার ল্যাবে শুধুমাত্র স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ‘স্ক্র্যাচ প্রোগ্রামিং পরিচিতি’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ দিয়েছে।
দিনব্যাপি এই প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য ছিলো, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের স্ক্র্যাচ প্রোগ্রামিংয়ের সাথে পরিচিত করা এবং তারা যাতে তাদের শিক্ষার্থীদের মাঝে এই জ্ঞান ছড়িয়ে দিতে পারেন সেই ব্যবস্থা করা। শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত এই প্রশিক্ষণ চলে। প্রশিক্ষণ শেষে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করা হয়।
উদ্বোধনকালে বেসিস সভাপতি মোস্তাফা জব্বার বলেন, “বাংলাদেশকে তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে ও আগামীর সাথে তাল মিলিয়ে চলতে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে। আমরা স্নাতক বা উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার্থীদেরকে প্রোগ্রামিং শেখানোর কথা ভাবি। কিন্তু ওরা বস্তুত শৈশব থেকেই প্রোগ্রামিং এর ধারনা পেতে পারে। আমরা শিশুদের জন্য সেই ব্যবস্থাটিই করতে চাই। শিশুদেরকে প্রোগ্রামিং শেখানোর মাধ্যমেই সেটি সূচনা করতে হবে। সেই লক্ষ্য নিয়ে ‘শিশু-কিশোরদের প্রোগ্রামিং শিক্ষা’ শীর্ষক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এতে তৃতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণি শিক্ষার্থীদের জন্য স্ক্র্যাচ প্রোগ্রামিং শেখানো হবে। আমরা ২০১৮ সালের শুরুতে এইসব শিক্ষার্থীদেরকে নিয়ে একটি জাতীয় প্রতিযোগিতার আয়োজন করব। ”
এই প্রশিক্ষণের প্রধান প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন বিআইটিএমের প্রশিক্ষক জনাব ঝযরৎধলঁষ গধসঁহ । জনাব সিরাজুল মামুন বলেন, প্রশিক্ষণ নেওয়া শিক্ষক-শিক্ষিকারা পরবর্তীতে শিশু-কিশোরদের কাছে এই শিক্ষা পৌছে দেবেন। এই কর্মসূচির মাধ্যমে শিশু-কিশোরদের প্রোগ্রামিংয়ের সাথে পরিচিত করে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য একটি প্রজন্ম তৈরি করা সম্ভব হবে। এই আয়োজনের সূচনায় থাকতে পেরে আমি আনন্দিত।
প্রশিক্ষণার্থী ইয়াহিয়া খান বলেন, এ ধরণের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা গেলে শিশুদের তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন মানুষ হিসেবে তৈরিতে অগ্রণী ভূমিকা রাখা যাবে। বড় হয়ে প্রোগ্রামার হওয়ার ভয় থাকবে না তাদের মধ্যে। তবে শিক্ষকদের আরও বেশি শেখার আগ্রহ তৈরি করতে হবে। তাদের জন্য বিষয়টি চ্যালেঞ্জিং।
প্রথম ব্যাচের মত দ্বিতীয় ব্যাচেও বাংলাদেশ ডিজিটাল স্কুল সোসাইটীর ৩০ জন শিক্ষক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। তারা আগামীতে আরও শিক্ষকের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবেন বলে সোসাইটীর প্রধান জনাব ইয়াহিয়া খান রিজন জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published.