প্রধানমন্ত্রী বিশ্রামের সুযোগে ৩০০ এমপির প্রোগ্রেস রিপোর্ট দেখছেন

আবদুল আখের॥ নেলসন ম্যান্ডেলা তাঁর আত্মজীবনীগ্রন্থ ‘লং ওয়াক টু ফ্রিডম’ এ লিখেছেন, ‘কর্মমুখর মানুষ বিশ্রামেও কাজ করেন।’ আর সেই প্রমান এখন আমাদের প্রধানমন্ত্রী বিশ্বনেত্রী ও মানবতার নেত্রী, বাস্তবরূপ মাতা এবং আমাদের অহংকার বঙ্গবন্ধু তনয়া যোগ্য উত্তরসূরী শেখ হাসিনা। এই শেখ হাসিনার জন্যই গত হওয়া মানুষটির কথা ও কর্ম আবার মনো পড়ে গেল। pm watch 300mps progress report
বিদেশ সফরে থাকার দু’সপ্তাহ পর দেশে ফিরে ক’দিন বিশ্রামে আছেন প্রধানমন্ত্রী। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তাঁর অপারেশন হয়েছে। ৭ অক্টোবর দেশে ফিরে চিকিৎসকের পরামর্শে তিনি এখন বিশ্রামে। বাইরের কর্মসূচি আপাতত স্থগিত রেখেছেন। গণভবনে বসেই ফাইল দেখছেন। এখন তাঁর সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎও সীমিত করা হয়েছে। শেখ হাসিনা এমন টানা অবসর কবে নিয়েছেন? কিন্তু তাই বলে প্রধানমন্ত্রী এ সময় বসে নেই।
খুবই গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাজ করছেন। যে কাজটা হয়তো তিনি তাঁর কর্মসূচির মধ্যে অখন্ড মনোযোগ দিয়ে করতে পারতেন না। প্রধানমন্ত্রী যে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো এই একান্ত সময়ে করছেন, তার মধ্যে একটি হলো, ৩০০ এমপির প্রোগ্রেস রিপোর্ট।
প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় বর্তমান এমপিদের ভালো কাজ আর মন্দকাজের একটি তালিকা তৈরি করে দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে। এর সঙ্গে আরও আছে ওই এলাকার অবস্থা, অন্যান্য মনোনয়ন লাভে ইচ্ছুকদের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি, এলাকায় তাঁদের ইমেজ। তাঁদের ইতিবাচক এবং নেতিবাচক দিকগুলো।
এছাড়াও প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় সর্বশেষ জরিপ, স্থানীয় আওয়ামী লীগের অবস্থা। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আছে প্রতিটি নির্বাচনী এলাকার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ঠিকুজী। কোন দলের কী অবস্থা। অন্য দলের সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা, তাঁদের ইতিবাচক এবং নেতিবাচক দিক। প্রতিটি নির্বাচনী এলাকার জন্য একটি করে ফেল্ডার।
সেই ফোল্ডারে নির্বাচনের যাবতীয় তথ্যগুলো খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। পুরো বাংলাদেশের নির্বাচনী চিত্র এখন তাঁর ল্যাপটপে। আওয়ামী লীগের নিজস্ব টিম ছাড়াও পেশাদার দু’টি গবেষণা সংস্থা এই রিপোর্টগুলো তৈরি করেছে। এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় যোগ্য প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে একটি যুক্তিসঙ্গত এবং বিজ্ঞানভিত্তিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।
অর্থাৎ বর্তমান সংসদ সদস্যদের রিপোর্ট কার্ড তৈরি করতে পারবেন। এই রিপোর্ট কার্ডের ভিত্তিতেই শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে কে মনোনয়ন পাবেন, আর কে পাবেন না। ইতিমধ্যেই আওয়ামী লীগ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির কাজ অনেক দূর এগিয়ে নিয়েছে।
আওয়ামী লীগের একজন প্রবীণ ও প্রভাবশালী নেতা বলেছেন, ‘আমাদের সভাপতি এখন পরীক্ষার খাতা দেখছেন। খাতা দেখা শেষ হলেই, রেজাল্ট বের হবে।’ ওই নেতা আরও জানান, খুব শিগগিরই যাদের আগামী নির্বাচনের মনোনয়ন দেওয়া হবে না, তাঁদের জানিয়ে দেওয়া হবে। তাঁরা যেন এলাকায় গ্রুপিং, দলাদলি না করে।’ আশা করা হচ্ছে, ‘আগামী সপ্তাহ থেকেই প্রধানমন্ত্রী ধীরে ধীরে তাঁর স্বাভাবিক কর্মকান্ড শুরু করবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.