বাস্তবতা ও সময়ের সাহসী পদক্ষেপ

বর্তমান সময়ে অনেকেই বর্তমান সরকারের সাহসী ও সময়োপযোগী পদক্ষেপের প্রসংসায় পঞ্চমুখ। বিশেষ করে বি এন পি দলীয় এমপি এমনকি দলের মহাসচিবের কাছ থেকেও এই ধ্বনি উচ্চারিত হলো। উচ্চারিত হলো আবার চমৎকার একটি দৃষ্টান্তের আলোকে। এই দৃষ্টান্তটি হলো বার্সেলোনা তারকা ম্যাসি। আসলে মেসি একটি স্বচ্ছ ইমেজের মানুষ। যিতি বিশ্বের শ্রেষ্ঠ একজন খেলোয়ার। যার খেলায় কোন কলঙ্ক নেই। মেসির নেই কোন শত্রু। তিনি সবসময়ই সব মানুষের হৃদয়ের সিংহাসনে অবস্থান করেন। এই মেসির জন্য সারা বিশ্ব পাগল কারন তার জাদুময়ী খেলা। সারা বিশ্বের জ্ঞানী ও পন্ডিতদের একই কথা মেসি অন্য গ্রহের এক খেলোয়ার এবং তার মত আর কেহই নেই এবং অদুর ভবিষ্যতে হবে কিনা তাও সন্দেহের।

Tajul Picture fpr pp copy2
আসা যাক মোর্দ্দা কথায়। এই মেসির সঙ্গে তুলনা করা হলো বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারকে। এটা ভাবতেও ভাল লাগে যে, বিএনপির মহাসচিব অনেক পরে হলেও বুঝতে পেরেছেন এই নিগুর তথ্য বা সত্যটি। হ্যা আওয়ামী লীগ পরিচ্ছন্ন খেলায় উতরে গেছে সকল অপবাদ এবং কুসংস্কার ও কুটচাল। আর পরিচ্ছন্নতার কাছে মাথা নত করে আছে বিশ্ব দরবার। এখানেই স্বচ্ছতা ও ডিজিটাল ফরমেশনের কারিশমা। কিন্তু বিএনপি কি শিক্ষা নিতে পারে না এই আলোকিত রাজনৈতিক চর্চার। আগামী দিনের বিশ্বকে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য এখন প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ। সুতরাং বিএনপির উচিত আগামী দিনের পরিক্ষীত রাজনৈতিক চর্চায় মনোনিবেশ করা। যে রাজনীতির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু হয়েছেন জাতির পিতা এবং তাঁরই কন্যা শেখ হাসিনা হয়েছেন বিশ্বনেতা এবং মানবতার মা, আর দেশকে উন্নত থেকে উন্নততর পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছেন। এখানেই শেষ নয় বরং সংশোধন ও সংযোজন এবং পরমতসহিষ্ণু হয়ে অন্যের মতামত গ্রহণ করে আগামী দিনের যুগোপযোগী দলে পরিণত হয়ে যোগ্য নেতৃত্বের মাধ্যমে দেশ সেবায় মনোনিবেশ করতে পারে। নতুবা দলের যবনিকাপাত ঘটার সম্বাবনা ১০০%নিশ্চিত।
অপরদিকে প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে যে ঘৃণ্য খেলায় মেতেছিল দেশের ক্ষমতালিপ্সু স্বঘোষিত দেশদরদিরা এবং তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল বিএনপি এবং এর অঙ্গ সংগঠনগুলো। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়েছে বলে মনে হয়নি বরং ক্ষতিই বেশী হয়েছে। বিএনপি দলীয় এমপি আখতারুজ্জামান যথার্থই বলেছেন “ভুল পথে আর কতকাল হাটবেন”। এখনও সময় ছিল কিন্তু; এই ভুল পথে হাটার কারণে বিএনপি আজ শেষ হয়েও হলোনা শেষ অবস্থায়। মুর্খের ভুমিকায় অবর্তীর্ণ একটি দলের নেতারা এমনকি উপদেষ্টারাও। এই অবস্থায় থেকে বের না হতে পারলে আগামী দিনে হয়ত বিএনপি অর দৃশ্যমান থাকবে না। যদিও এখন দৃশ্যমান নেই। যে দলের টাকা ব্যায় হয় দেশের ক্ষতির জন্য সেই দলের উপর দেশের মানুষের আর আস্থা থাকার কথা নয়। তাই দেশ এবং সরকারের আর বিরোধিতা নয় বরং ইতিবাচক এবং সহযোগীতার মনোভাব নিয়ে দেশ গঠনে এগিয়ে আসুন। হয়ত আগামী দিনে দেশের মানুষ আবার আপনাদের হাতে দেশের দায়িত্ব তুলে দিবে।
দেশের সম্পদ বিসর্জন দিয়ে ক্ষমতায় আসার ফল ভাল হয়না। তার কারণ আপনরা দেশের সম্পদ বিসর্জনের বিনীময়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন আর সেই ক্ষমতা আপনাদেরকে দেশ সেবার কোন কাজে ব্যবহৃত হতে দেয়নি বরং আপনারা ও আপনাদের প্রভুরা লাভবান হয়েছেন বটে কিন্তু ক্ষমতা থেকে বিচ্যুত হয়ে এখন ভিক্ষক এর মর্যাদা নিয়ে রোহিঙ্গারা যেমন এইদেশে আশ্রিত আপনারা এখন অন্য দেশে আশ্রয় নিয়ে মোড়লিপনা করে যাচ্ছেন। এইভাবে পতালক থেকে রাজনীতি এবং দেশ সেবা ও দল পরিচালনা হয়না। হয় অন্ধকার জগতের কাজ, মাস্তানি এবং অন্ধকারের মধ্যেদিয়ে পিছনে হাটার কাজ। তাই সময় এখনও আছে দেশে ফিরে আসুন এবং দায়িত্ব নিয়ে রাজনীতি ও দেশ সেবার কাজে নিয়োজিত হউন। জেল, জুলুম আর জীবন নাশের সকল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে জাতির পিতা শিক্ষা দিয়ে গেছেন আগামীর রাজনীতি এবং দেশসেবা কিভাবে করতে হবে। পলাতক থেকে নয় বরং সামনে থেকে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে আগামী দিনের জন্য।
মামলা মোকদ্দমা মোকাবেলা করার সাহস নিয়ে দেশে আসুন, হয়ত জেল হবে নয়তবা ফাসি হবে; হউক সময়ই বলে দিবে আপনাদের আগামীর ভার্গ্যাকাশে কি লিখা আছে। কান্ডারী বিহিন দল চলে না আর যাও চলে তাতো দেখেছেন এই কয় বছর। আর এভাবে অন্ধকারে থেকে রাজনীতিও চলে না। তাই বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক আদর্শ অনুসরণ করুন। নতুবা চিরতরে রাজনীতি থেকে নির্বাসিত হবেন। যার কারো করার প্রয়োজন হবে না। নিজে থেকেই হয়ে যাবেন। সময় সম্মুখে তাই এখই ইতিবাচক যুগান্তকারী একটা কিছু করুন। নতুবা নিজের ফাদে নিজেই শেষ হয়ে যাচ্ছেন।
কুটনীতিতেও স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহীতা এমনকি মার্জিত ভাষার ব্যবহার লক্ষণীয়। কিন্তু ইদানিং ভারতের সাবেক এম্বসিডর যিনি বাংলাদেশে দায়িত্বরত ছিলেন। তিনি একটু অসংলগ্ন হয়ে বেসামাল বেফাস ভাষা ব্যবহার করে ফেলেছেন। ভারত আমাদের ভাল বন্ধু। আমরা ভারতের পাশে থাকব এবং ভারত আমাদের পাশে ছিল আছে এবং থাকবে এটাই স্বাভাবিক। এর বাইরেওতো আমাদের আরো বন্ধু থাকতে পারে। আর সেটাতো কোন মন্দের নয়। আমাদের কুটনৈতিক দষ্টান্ততো “সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে শত্রুতা নয়” তাই চীন থেকে শুরু করে অন্যান্য সমস্ত পৃথিবীর সকলের সঙ্গেই এই বন্ধুত্ব স্থাপিত হতে পারে শুধু পাকিস্তান ছাড়া। এই নিয়ে ভারতের মাথা ব্যাথার কোন কারণ নেই বরং রয়েছে বন্ধুত্বের প্রতিদানের নিশ্চয়তা। তাই ভাষাগত শালীনতার একটা গুরুত্ব এবং এই বিষয়ের দৃষ্টিআকর্ষন এখন সময়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ দাবী।
বিদেশী নালিশী নির্ভর রাজনীতি থেকে এখনই বিএনপির বের হওয়া জরুরী। নতুবা এর চেয়েও আরো বড় ধরণের লজ্জা অপেক্ষা করছে। অবৈধ পন্থায় ক্ষমতা যাওয়ার খায়েশ থেকেও বের হতে হবে নতুবা নিজের পাতানো জালে নিজেরাই জড়িয়ে ছাড়খার হয়ে যাবে। কুটিল বুদ্ধির দিন শেষ এবং স্বচ্ছতা নির্ভর জবাবদীহিমুলক রাজনীতি এখন সময় ও যুগের চাহিদা। তাই এই চাহিদা মিঠাতে ব্যস্ত হউন।
দুর্ণীতিবাজ পরিবারের তালিকা থেকে বের হয়ে নিজেদেরকে প্রমান করুন আমরা সেই হারানো ঐতিয্যে ফিরে এসেছি এবং আপনাদের ভালবাসায় আগামী দিনগুলোতে শহীদ জিয়ার মন্দের ভালো কাজটুকু অব্যাহত রাখতে চাই। সুযোগ দিন যেন আবারো দেশের সেবা করে সকল দুর্নামের অবসান ঘটাতে পারি। সেই ভাঙ্গা ছাতা এবং সুটকেসটাই ছিল জনগনের এবং আর সেই জনগণের দোয়াই ছিল আপনাদের পরিবারের দেশ সেবার সুযোগ। লক্ষি পায়ে দিয়ে দুরে ঠেলে পাহাড়সম অট্টালিকা নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এটা কোন রাজনীতি বা রাজনৈতিক পরিবারের দৃষ্টান্ত হতে পারে না। দৃষ্টান্ততো সামনেই হাজির। জয় ও পুতুলকে দেখেন এবং সেই অনুযায়ী আপনারা নিজেদেরকে সাজিয়ে আগামীর রাজনীতির শুদ্ধাচরনে প্রত্যাবর্তন করুন।
স্বপ্ন ভঙ্গের হতাশায় না ডুবে থেকে ফিরে আসুন শেখ হাসিনার দেখানো পথে উন্নয়নের মহাসড়কে। আর নিজেদেরকে রাজনীতির হাতেহড়ি নিয়ে পাকাপোক্ত দেশ সেবকের ভুমিকায় অবতীর্ণ করুন। বাস্তবতা ও সময়ের সাহসী পদক্ষেপগুলোকে স্বীকৃতি দিন এবং নিজেরাও এই ধরনের পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত হউন। দেশে এগিয়ে যাচ্ছে এবং যাবে শেখ হাসিনার দেখানো পথেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published.