রোহিঙ্গাদের কে কি দেবে সে আশায় বসে থাকি নিঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বাআ॥ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও সহায়তা মানবিক করণেই অব্যাহত রাখা হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের পদক্ষেপের কারণেই রোহিঙ্গা সংকটের দিকে বিশ্ব সম্প্রদায় মনোযোগ দিয়েছে।’

Ruhinga help without any hope pm
যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে তিন সপ্তাহের সফর শেষে শনিবার সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। বিমানবন্দরে সরকারের মন্ত্রী, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগের নেতা এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিরা প্রধানমন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। সেখানেই এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘কে কী দেবে এই আশা নিয়ে আমরা বসে থাকিনি। দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। এখন আন্তর্জাতিক চাপে পড়ে মিয়ানমার রোহিঙ্গা বিষয়ে আলোচনা শুরু করেছে। আলোচনা শুরু করায় আমি মিয়ানমারকে ধন্যবাদ জানাই। আশা করি,আলোচনার মাধ্যমে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করবো।’
রোহিঙ্গা সংকট শুরু হওয়ার পরপরই মিয়ানমারের আকাশ সীমা লঙ্ঘন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মূল পরিস্থিতি অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে ওই সময় আমাদেরই একটি প্রতিবেশী দেশ (মিয়ানমার) নানাভাবে উসকানি দিয়েছে। কোনও উসকানিতে যাতে পা দেওয়া না হয়, এজন্য সেনাবাহিনীকে সতর্ক করেছি। বলেছি, আমি নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত যাতে কোনও ধরনের পদক্ষেপ না নেওয়া হয়।’
রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘মানুষ মানুষের জন্য। বিপন্ন মানুষকে আশ্রয় দেওয়া যে কোনও মানুষের দায়িত্ব। রোহিঙ্গারা মানবেতর জীবনযাপন করছিল। মিয়ানমার যেভাবে অত্যাচার চালাচ্ছিল, তাতে স্বাভাবিকভাবেই তাদের আশ্রয় দিতে হয়েছিল। বাংলাদেশের মানুষ মানবতা দেখিয়েছে। আমরা কারও সাহায্যের জন্য অপেক্ষা করিনি। তবে যারা সহযোগিতা করেছেন, তাদের ধন্যবাদ।’

Leave a Reply

Your email address will not be published.