সুমন॥ বিষয়টি শুনতে যেমন বেমানান তেমনি দেখতোও খারাপ এবং লজ্জ্বার। সর্বোচ্চ শিক্ষায় শিক্ষা অর্জনের পর এমন মুর্খতা শুভা পায় কি? যদিও এখানে পায় তা কিন্তু পাওয়ার কথা ছিল না। কারন এই ধরনের শোভা পাওয়র দাবি রাখে আফ্রিকার জঙ্গলে বা ব্রাজিলের অন্ধকার জঙ্গলে। কিন্তু সেখানেও আরো সুন্দর কাঠামো কাজ করছে। যা আমাদের শিক্ষিত ও জ্ঞাননির্ভর মানুষগুলোর মধ্যে কাজ করছে না। দুর্নীতির দুই মামলায় গত বৃহস্পতিবার মুচলেকা দিয়ে জামিন পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি আদালত প্রাঙ্গণ ত্যাগ করার পরপরই বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীরা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় এক আইনজীবীর শার্ট ছিড়ে তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়। গত বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে পুরান ঢাকার বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী ৫নং বিশেষ জজ আদালতে এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে এই আদালতের বিচারক আখতারুজ্জামান তিন শর্তে জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনকে জামিন দেন।
ম্যাডাম খালেদা জিয়াকে বহনকারী গাড়ি দুপুর সোয়া একটার দিকে আদালত ত্যাগ করে। এ সময় আদালত প্রাঙ্গণে ঢাকা বারের সভাপতি খোরশেদ আলী মিয়াকে ধাক্কা দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
জানা গেছে, বিএনপিপন্থী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মির্জা আল মাহমুদ ঢাকা বারের সভাপতি খোরশেদ আলী মিয়াকে ধাক্কা দেন। পরে খোরশেদের সমর্থক আইনজীবীরা মির্জা মাহমুদের ওপর চড়াও হন। এ সময় উভয়পক্ষের আইনজীবীদের হাতাহাতির মধ্যে মির্জা মাহমুদের শার্ট ছিড়ে যায়। তিনি অনেকটা দৌড়ে আদালত প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন। পরে ঢাকা বারের সভাপতি খোরশেদ আলী মিয়া বলেন, আমি দাঁড়িয়ে ছিলাম, মির্জা মাহমুদ কনুই দিয়ে আমাকে ধাক্কা দেন। এ সময় তিনি আমাকে লাথিও মারেন।
তিনি দাবি করেন, এ ঘটনা দেখে উপস্থিত আইনজীবীরা ক্ষুব্ধ হন। তারা মির্জা মাহমুদের ওপর চড়াও হন। কিন্তু, আমরা তাকে রক্ষা করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি। তবে খোরশেদ আলীর দাবির বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে মির্জা আল মাহমুদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এই নিলর্জ্জ ঘটনাটি নিয়ে কোনসময় নালিশ বা দাবি করার নিলজ্জ্ব অধিকার রাখে না। বরং লজ্জা থাকলে চুপচাপ হজম করে নিজেদের মধ্যে ভুলবোঝাবোঝির অবসান ঘটিয়ে দলীয় ঐক্য বজায় রাখার চেস্টা হত। কিন্তু এই নিলজ্জ্ব কাজ যদি হয় সর্বোচ্চ মহলে তাহলে উদীয়মান শিক্ষার্থীরা বা ফলোয়াররা কি করবে বলুনতো?