মগবাজার-মৌচাক সেতুর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

শাকিল আহমেদ॥ অবশেষে যান চলাচলের জন্য পুরোপুরি খুলে দেয়া হলো রাজধানীর মগবাজার-মৌচাক-মালিবাগ ফ্লাইওভার। গত বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) বেলা ১২.০০ টায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এর উদ্বোধন করেন। এসময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন। আর পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র মো. ওসমান গণি, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এবং প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ছিলেন মৌচাক এলাকায় বানানো অনুষ্ঠান মঞ্চে।

mogbazar flyover enogaration
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই ফ্লাইওভার উদ্বোধনের ফলে রাজধানীর যানজট কমবে, নগরবাসীর সময় বাঁচবে এবং কর্মচাঞ্চল্য বাড়বে। এজন্য তিনি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান। এ সময় প্রধানমন্ত্রী নগরবাসীকে যতœ সহকারে ফ্লাইওভারটি ব্যবহারের আহ্বান জানান। তিনি ট্রাফিক আইন মেনে চলতে সবার প্রতি অনুরোধ করেন। আশা করা হচ্ছে, উড়ালসড়কটি উন্মুক্ত করার ফলে মৌচাক, মালিবাগ, বাংলামোটর, রাজারবাগ, শান্তিনগর, মগবাজার এলাকার যানজট অনেকটাই কমে যাবে।
চার লেনের উড়ালসড়কটি ছয়টি মোড় অতিক্রম করেছে। এগুলো হলো সাতরাস্তা, বিএফডিসি, মগবাজার, মৌচাক, শান্তিনগর ও মালিবাগ মোড়। এর মধ্যে মগবাজার, মালিবাগ ও কারওয়ান বাজারে রেললাইন অতিক্রম করেছে এই উড়ালসড়ক প্রকল্প।
ওই উড়ালসড়কটি তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। একটি অংশ সাতরাস্তা-মগবাজার-হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল। এটা নির্মাণ করেছে নাভানা কনস্ট্রাকশন। গত বছরের মার্চ মাসে এ অংশ যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়। গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর নিউ ইস্কাটন থেকে মৌচাক পর্যন্ত উড়ালসড়কের এক দিক খুলে দেয়া হয়। এই অংশ নির্মাণ করেছে তমা কনস্ট্রাকশন।
তৃতীয় ধাপে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) মোড় থেকে কারওয়ান বাজার অংশ যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয় গত ১৭ মে। এই অংশও তৈরি করেছে নাভানা কনস্ট্রাকশন।
প্রথমে এই প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছিল ৭৭২ কোটি ৭০ লাখ টাকা। পরে নকশায় পরিবর্তন আনা হয়। শেষ পর্যন্ত ব্যয় বাড়তে বাড়তে ১ হাজার ২১৮ কোটি ৮৯ লাখ টাকায় গিয়ে ঠেকে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকার অর্থায়ন করেছে ৪৪২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। ৭৭৬ কোটি ১৬ লাখ টাকা দিয়েছে সৌদি ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট (এসএফডি) এবং ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ওএফআইডি)।

Leave a Reply

Your email address will not be published.