ভয়ংকর খুনিদের শীর্ষ তালিকায় এখন তারেকের নাম

আবদুল আখের॥ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় দন্ডিত হলে তারেক জিয়া হবেন বিশ্বের জঘন্যতম শীর্ষ ১০ খুনির একজন। পিপলস অ্যান্ড পলিটিক্স পৃথিবীর শীর্ষ খুনিদের তালিকা হালনাগাদ করে। লিস্ট ২৫-এর অপেক্ষমান তালিকায় তারেকের নাম আছে। অপেক্ষা ২১ আগস্ট মামলার রায়ের। দন্ডিত হলেই আরেকটি কলংকের মুকুট জুটবে তাঁর।

voyonkor huni tareq
‘পিপলস অ্যান্ড পলিটিক্স’ বাংলাদেশে ২১ আগস্ট ২০০৪-এর গ্রেনেড হামলাকে পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম ঠান্ডা মাথার খুন হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তুলনা করেছে হিটলারের নাৎসি পার্টির গ্যাস চেম্বারের হত্যাকান্ডের সঙ্গে। পিপলস অ্যান্ড পলিটিক্স-এর মতে, ‘২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার মূল পরিকল্পনাকারী অবশ্যই বিশ্বের ভয়ংকর ১০ খুনির একজন। এখন পর্যন্ত বিশ্বে সবচেয়ে ভয়ংকর খুনি হিসেবে চিহ্নিত কলম্বিয়ার পেদ্রো আলনসো লোপেজ। লোপেজ ৩০০ জনকে হত্যা করেছিল। ১৯৮০ সাল থেকে কলম্বিয়ার কারাগারে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ভোগ করছে এই শীর্ষ খুনি।
ইংল্যান্ডের নামকরা চিকিৎসক ডা. হ্যারল্ড শিপম্যানকে মনে করা হয় দ্বিতীয় শীর্ষ খুনি হিসেবে। পেশায় তিনি চিকিৎসক ছিলেন, সমাজে তাঁর সম্মানও ছিল। অনেকদিন তার আশেপাশের মানুষও জানতো না তিনি ২৫০ জনকে হত্যা করেছেন। গ্রেপ্তার হওয়ার পর যাবজ্জীবন কারাদন্ড হয়। ২০০৪ সালে ওয়েক ফিল্ড কারাগারে তিনি আত্মহত্যা করেন।
ইকুয়েডর এবং কলম্বিয়ার খুনি ডেনিয়েল কামারগো বারলোসাকে বিশ্বের তৃতীয় ভয়ংকর খুনি হিসেবে মনে করা হয়। ৮০’র দশকে তিনি হত্যা করেন ১৫০ জনকে। ১৯৮৯ সালে তার ১৬ বছরের জেল হয়। ১৯৯৪ সালে কারাগারেই নিহত হন তিনি।
৭১ জনকে খুন করে তালিকায় চতুর্থ স্থানে আছেন ব্রাজিলের পেদ্রো রদ্রিগেজ ফিলো। ২০০৩ সাল থেকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ভোগ করছেন পেদ্রো। পঞ্চমে থাকা গ্যারি রিডওয়ে হত্যা করেছেন ৭০ জনকে। হত্যাকান্ড স্বীকার করার কারণে তাঁর যাবজ্জীবন কারাদন্ড হয়েছে। গ্যারি মার্কিন নাগরিক। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের বাসিন্দা টমি লেন সেলস ৭০ জনকে খুন করে আছেন তালিকার ছয়ে। তাঁর মৃত্যুদন্ড কার্যকরের অপেক্ষায়।
আন্দ্রেই শিকাতিলো সোভিয়েত (বর্তমানে রাশিয়ার) নাগরিক ভয়ংকর খুনিদের তালিকায় সপ্তম স্থানে আছেন। ৫২টি হত্যাকান্ডের অভিযোগে ১৯৯০ সালে তার ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদন্ড হয়।
মার্কিন নাগরিক জন ওয়েন গ্যাসি আছেন তালিকার অষ্টমে। ৩৩ জনকে হত্যার অভিযোগে তার মৃত্যুদন্ড হয়েছে।
২৫ জনকে হত্যা করে তালিকার নবম স্থানে আছেন চার্লস ন্যাগি। ১৯৯৯ সালে তাঁর ফাঁসি হয়। আদালতে দন্ডিত হলে ২৭ জনকে হত্যার দায় নিয়ে তারেক জিয়া বসবেন এই নবম আসনে। আর চার্লস বসবেন দশমে। আর এখন দশে থাকা টেড বানডি শীর্ষ দশ থেকে মুক্তি পাবেন। বানডি ৭০ এর দশকে কয়েকজন শিশু ও নারীকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত হন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.