ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে দুর্ধষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতরা গৃহকর্তাদের মারধোর করে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও মোবাইল সেট লুট করেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজন ডাকাতির অভিযোগে স্থানীয় লোকজন ৫ ডাকাতকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেছে। তবে অভিযোগ উঠেছে পুলিশ আটক ৫ ব্যক্তিকে আটকের পর ছেড়ে দিয়েছে। এক দিন পর পুনরায় ওই ৫ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। ডাকাতির ঘটনায় পুলিশ গত শুক্রবার গভীর রাতে মামলা করেছে। গ্রেপ্তারকৃতদের গতকাল শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিচারিক হাকিমের আদালতে পাঠিয়েছে। আদালত তাদেরকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন; ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের গাববাড়ি নোয়াপাড়া গ্রামের ইয়াকুব মিয়ার ছেলে মো. রবিউল (২২), ময়মনসিংহের দুবাহারা থানার বুজির কান্দি গ্রামের আবদুল কুদ্দুছের ছেলে আইয়ুবুল ইসলাম (৩০), সরাফত আলীর ছেলে একলাছ মিয়া (৩৫), আবদুল কাদেরের ছেলে হাসেম মিয়া (৪৫), একলাছ উদ্দিনের ছেলে ইয়াকুব আলী (২৪)।
মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে; কসবা পৌর শহরের নোয়াপাড়া গ্রামের নুরুল ইসলামের বাড়িতে গত বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে ২৪/১৫ জনের একটি ডাকাত দল বিল্ডিংয়ের ছাদের দরজা দিয়ে ঘরে ঢকে গৃহকর্তার নুরুল ইসলাম ও তাঁর ছেলে মো. রবিউল্লাহকে বেধেঁ ফেলে। এ সময় ঘরে থাকা আলমারী থেকে ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা, ১০ ভরি স্বর্ণালংকার ও ৫টি মোবাইল সেট লুট করে নেয়। এ সময় বাড়ির লোকজনদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন দৌড়ে আসে। এ সময় স্থানীয় লোকজনদের সহযোগীতায় ওই ৫ ব্যক্তিকে আটক করে। পরে তাদেরকে পুলিশে সোর্পদ করেছে। এ ঘটনায় মো. রবিউল্লাহ বাদী হয়ে গত শুক্রবার দুপুরে আটক ৫জনসহ ৭জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৬জনের বিরুদ্ধে ডাকাতির মামলা দায়ের করেছেন।
পরে পুলিশ গত শুক্রবার রাতে তাদেরকে ছেড়ে দেয়। পরে রবিউল্লাহ বিষয়টি উদ্ধর্তন কতৃপক্ষসহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে বিষয়টি অবগত করান। পরে পুলিশ গতকাল শনিবার সকালে আবারও তাদেরকে আটক করেছে। শনিবার দুপুরে তাদেরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিচারিক হাকিমের আদালতে পাঠিয়েছে। আদালত তাদেরকে জেলহাজতে প্রেরণ করেছেন।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন; ডাকাতির ঘটনায় ৭জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৬ জনের নামে ডাকাতির মামলা করেছে। ৫জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের গতকাল শনিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিচারিক হাকিমের আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালত তাদেরকে জেলহাজতে প্রেরন করেছেন।
আটকের পর ৫ ডাকাতকে ছেড়ে দেয়ার ঘটনায় ওসি বলেন; ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতদের ছেড়ে দেওয়া হয়নি। চিকিৎসার জন্য একজনের জিম্মায় দেয়া হয়েছিল।