নয়ন॥ বাংলাদেশ সৃষ্টি এবং তার গঠন কাজের মাঝে আবিস্কৃত হলো সদ্যজাত বাংলাদেশের নতুন মীরজাফর মেজর জিয়া। আর এই জিয়ায় বাংলাদেশ তথা এর সকল সফলতা ও অগ্রগতি এবং উন্নতিকে পিছনের দিকে ঠেলে দিয়ে বঙ্গবন্ধুর হত্যার মধ্যদিয়ে মাটিচাপা দিয়েছিল।
তারপর শুরু হয়েছিল সকল বিভংস কলঙ্কিত ইতিহাসের। আর সেই ইতিহাস জানতে জাতিকে করেছিল নিরুৎসাহিত এবং রচনা করেছিল মনগড়া এক মিথ্যা দিয়ে ভরপুর পাহাড়সম কালো অধ্যায়ের ইতিহাসের। সেই ইতিহাস অবলম্বনেই জাতি হাতড়াতে হাড়তাড়ে পাড় করে এসেছিল দীর্ঘ এক ক্রান্তিকাল।
কি করেছিল জিয়া। তৎকালিন সেনা শাসক জেনারেল জিয়াউর রহমান ১১ জন বিমান বাহিনী অফিসারসহ ১৪৫০ জন বিমান ও সেনা বাহিনী সদস্যকে হত্যা করেছিলেন। এছাড়া প্রায় ৩ হাজার বিমান সেনাকে বরখাস্ত করেছিলেন এবং ওই সময়ে সেনা বাহিনীর একটি সিগন্যাল ব্যাটালিয়নকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছিলেন যেটা বর্তমানে যারা সেনা বা বিমান বাহিনীতে চাকুরী করছেন তারা ভাল করে জানেন।
ওই সময়ে যাদের হত্যা করা হয়েছিল তাদের লাশের হদিস আজ পর্যন্ত মেলেনি। ধারনা করা হয় ওই সব অফিসার ও সৈনিকদের লাশ মাটি চাপা বা পুড়িয়ে ফেলা হয়েছিল।
নিহত বিপুল সংখ্যক অফিসার ও সৈন্যদের মধ্যে সংগ্রহে থাকা মাত্র ২৩৮ জনের তালিকা আপলোড করলাম। এর মধ্যে প্রথম ৮৫ জনের তালিকাটা খুঁজে পাচ্ছিনা বলে আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী। শুধু কি তাই আরো যা যা করেছিল তার সবই এখন জাতির সামনে দৃশ্যমান। সেই কলঙ্ক এবং এর ছোবল থেকে জাতি এক এক করে বের হয়ে এসে এখন আবার দেশকে সেই শুরু থেকে সাজিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ারই প্রক্রিয়ায় আমরা। কিন্তু এখানে তারই সৃষ্টি এবং আশ্রীত ও বংশজাত লোকজন এখন আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সকল প্রকারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কিন্তু বিধাতার আশীর্বাদ এবং পাহাড়াই বর্তমান বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার পাথেয় ও অবলম্বন।