খালেদা-ফালু কে নিয়ে এবার পাকিস্তানে সিনেমা

ফারুক আহমেদ॥ বেগম খালেদা জিয়া এবং মোসাদ্দেক আলী ফালুকে নিয়েশীঘ্রই একটা রোমান্টিক সিনেমা বানাতে যাচ্ছে পাকিস্তানি একটি চলচিত্র সংস্থা। ইতোমধ্যেই সিনেমাটির চিত্রনাট্য লেখার কাজ শেষ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন পরিচালক বিলোয়াল হোসাইন।
পরিচালক বলেন, আমরা রোমান্টিক ছবির কাহিনীর জন্য কত জায়গায় ঘোরাঘুরি করি, রাধা-কৃঞ্চ, শিরি-ফরহাদ, চন্ডিদাস-রজকিনি, দেবদাস-পার্বতী। অথচ চোখের সামনেই কত চমৎকার একটা উজ্জ্বল প্রেমকাহিনী। এটা কারো চোখে পড়লোনা, বড়ই আফসোস! খালি কি প্রেম কাহিনী? এ কাহিনী আরব্য উপন্যাসের রয়্যাল প্রেম কাহিনীগুলোকেও হার মানায়। রাজনীতি ও ক্ষমতার শীর্ষে থেকেও, প্রায় ছেলের বয়সী খুবই সাধারন ঘরের ছেলের সাথে প্রেম, এ কাহিনী বাঘা বাঘা চলচ্চিত্রকারদের কলম দিয়েও বের হবে না। আমি গ্যরান্টি দিয়া বলতে পারি, খালেদা-ফালুর এই প্রেম কাহিনী হাজার বছর ধরে অমর হয়ে বেঁচে থাকবে। আর তাই আমিই প্রথম এই অমর কাহিনী নিয়ে সিনেমা বানানোয় হাত দিয়েছি।

fal haleda in paki cenama
তিনি আরো বলেন, আমরা এখন ছবির চিত্রনাট্য অনুযায়ী বিভিন্ন লোকেশন ঘুরে ঘুরে দেখছি এবং যায়গা সিলেক্ট করার চেষ্টা করছি। আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে এই রোমান্টিক সিনেমাটিকে ঘিরে, যেন এমনভাবে বানাতে পারি যে যুগযুগ ধরে এই প্রেম কাহিনী অমর হয়ে থাকে।
ছবিটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে কাকে দেখা যাবে এমন প্রশ্নের জবাবে বিলোয়াল হোসাইন বলেন, এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খালেদা জিয়া এমন একটি চরিত্র যে চাইলেই এই চরিত্রে যে কাওকে দেয়া যায় না। আর ফালুর চরিত্রের জন্য প্রাথমিকভাবে দুইজনকে সিলেক্ট করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় চরিত্র ফাইনাল হলেই তাদের কাস্ট করা হবে।
সিনেমাটির বিষয়ে খালেদার সঙ্গে কোন যোগাযোগ করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি এই প্রতিবেদক কে বলেন, “খালেদা জিয়ার সঙ্গে এই বিষয়ে অনেক আগেই যোগাযোগ করা হয়েছিল। উনি সিনেমাটির বিষয়ে বেশ আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। সেই জন্যই উনি আমাকে লন্ডনের হোটেলে উনার সঙ্গে দেখা করতে বলেন।”
দেখা কি হয়েছে জানতে চাওয়া হলে বিলোয়াল হোসাইন বলেন, হ্যাঁ দেখা হয়েছে। ম্যাডামকে ছবির চিত্রনাট্য পড়ে শুনানোর পর তিনি তা পছন্দ করেছেন। শুধু তাইনা, উনি আমাদের সিনেমার স্বার্থে ফালু সাহেবের সঙ্গে উনার রিয়েল লাইফের কিছু রোম্যান্টিক ঘটনাও শেয়ার করেন।
তবে তিনি ফালু সাহেবের চরিত্রে কাকে ফাইনাল করা হচ্ছে সেই বিষয়ে জানতে চেয়েছেন। এখনো ফাইনাল করা হয়নি শুনে খালেদা জিয়া বলেন, ফাইনাল করার আগে অবশ্যই যেন তাকে জানানো হয়। তিনি নিজেই দেখে ফাইনাল করতে চান ফালুর ক্যারেক্টারটি। আর সিনেমায় খালেদা জিয়া ব্যাবহার না করে খালেদা মোসাদ্দেক নামটি ব্যাবহারের কথা বলেন। আমি সেই অনুযায়ী খালেদা জিয়ার চরিত্রের নাম বদলিয়ে খালেদা মোসাদ্দেক রেখেছি।
ছবিটি কবে নাগাদ মুক্তি পাবে জানতে চাওয়া হলে পরিচালক বিলোয়াল হোসাইন বলেন, যতদ্রুত সম্ভব সিনেমার কাজ শুরু করতে চাচ্ছি। আশাকরছি, ম্যাডামের নেক্সট জন্মদিনের দিনই ম্যাডামকে তার প্রেম কাহিনী উপহার দিতে পারব। সূত্র বাংলাদেশের প্রেস।

Leave a Reply

Your email address will not be published.