জননেত্রীর সফলতাই বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের সফলতা

Vector-Smart-Objectখুবই সুন্দর এবং চমৎকার একটি যুগোপযোগী কথার সংস্করণ। নেত্রীর সফলতার উপর ভর করেই আমরা দলীয়ভাবে দেশের অর্জন নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। দল, দেশ এবং ব্যক্তি পর্যায়ের সকল অর্জনই আজ পর্যবসীত হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী কেন্দ্রীক। কিন্তু কি আমরা বিন্দু মাত্র শিক্ষা নিচ্ছি প্রধানমন্ত্রীর দেখানো এবং শেখানো বাস্তবধর্মী শিক্ষা থেকে? না নেই নি এবং শিক্ষা নেয়ার ইচ্ছাও আমাদের নেই, তবে একটি বিষয় আমাদের মাঝে ঝুকের মত গভীর এবং প্রলেপ নির্ভরতা নিয়ে অস্থায়ীভাবে কাজ করে। সেটি হলো নিজের স্বার্থের ষলাকলা পূর্ণ করা। যদিও কোন ক্ষমতা বা ভাল কাজ করার ইচ্ছা বা দৃষ্টান্ত আমাদের নেই; তারপরও ভাব দেখানো এবং সকল ক্ষমতার মালিক সেজে নিজেকে অনেক বড় মাপের নেতা, সংগঠক, রাজনীতিবিদ দায়ীত্বশীল ব্যক্তী এবং সরকারের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিষ্ঠিত একজন প্রকাশ করাই বায্যিক লক্ষ্য। বলা যায়- “গায়ে মানে না আপনি মোড়ল” ভাবাপন্ন মানুষ হিসেবে আমাদের আর সামনে এগুনোর সময় নেই। সময় ফুরিয়ে গেছে। এখন কাজ করার সময়, দায়িত্ব নেয়ার সময়, সমাজ, পরিবার ও দেশকে কিছু দেয়ার সময়।
ভেবে দেখেছেন কি? আমরা আমাদের দায়িত্বটুকু পালন করেছি কি না? যদি করে না থাকি তাহলে না করার পিছনে কি কারণ যুক্ত। সেই কারণের উপর ভর দিয়েই কি আমরা দায়িত্বটুকু এড়াতে পারি? যদি না পারি তাহলে কেন এই পিছুটান বা হাত গুটিয়ে বসে থাকা? দল এবং দলীয় প্রধান এমনকি দেশের নিয়ন্ত্রক ও প্রধান হিসেবে তিনি বঙ্গকন্যা, বিশ্ব মানবতার মা, বঙ্গবন্ধু তনয়া সেই আমাদের অতি আদরের ধন এবং জাতির বিবেক, উন্নয়নের সুতিকাঘারের বাস্তবরূপদানকারী, মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর বজ্রকন্ঠ, বলিষ্ঠ ও দীপ্ত হুংকার এবং তীব্র আকাঙ্খা ও কর্মট তৎপরতায় আজকের অবস্থানে চলমান বাংলাদেশের ভীত বা খুঁটি, “শেখ হাসিনা” যে দর্শন ও পথ এবং দায়িত্ব আমাদের প্রত্যেকে আলাদাভাবে দিয়েছেন; সেই দায়িত্বটুকু কি পালন করেছি!? নাকি করি নাই; তাহলে কেন? কি আমাদের উদ্দেশ্য, বা… কেনইবা আমরা শুধু জোয়ারের আগে আগে লোক দেখানো কিছু প্রশংসার স্তুতি গাই?  ফায়দা লোটার হাতিয়ার হিসেবে ঐ স্তুতি ব্যবহার করাই কি আমাদের লক্ষ্য?  আর তাই যদি হয় তাহলে এই স্তুতি গাইতে থাকেন; আর অচীরেই দেখতে পাবেন এই স্তুতিগ্রাহকদের তালিকা এবং যারপরনায় সরকারের বাস্তব পদক্ষেপ। অতীতেও এই স্তুতি গ্রাহক ছিলেন এবং বর্তমান ও ভবিষ্যতেও আছেন এবং থাকবেন। তবে এর সংখ্যা দিন দিন ক্রমানুপাতিক হারে কমতে শুরু করেছে। ঐ স্তুতিগ্রাহকরাই একদিন প্রমানীত বাস্তব সত্য মীরজাফরে পরিণত হয়েছিল। যুগে যুগে তা সত্যের বাস্তব সাক্ষি হয়ে রয়েছে ইতিহাসের পাতায় এবং মানুষের চোখের ভাসমান দৃষ্টিসীমায়; যা আগামীতেও হওয়ার দ্বারপ্রান্তে।
দল, সরকার এবং রাষ্ট্রের উন্নয়নের গতীতে যখন ভাটা পড়ে বা গতি বাধাগ্রস্ত হয় তখন এই সু-সময়ের স্তুতিগ্রাহক কোকিল এর দল নিশ্চুপ হয়ে যায়। কোন আওয়াজ তো দুরের কথা নি:শব্দে পথ চলতে শুরু করেন এমনকি সুযোগ খুজতে থাকেন কিভাবে নতুন কোন ফন্দি নিয়ে নতুন আঙ্গিকে স্তুতি শুরু করা যায়। কেউ কেউ আবার নিরপেক্ষ ভুমিকার ভুমিকায় অবতীর্ণ হন। কেউ কেউ বিভিন্নদিকে ছুটা ছুটি এমনকি দলীয় আবরণে খোলশ পাল্টানোর পায়তারায় অগ্রগামী হয়ে থাকেন। এই বাক পটুতা বা দুদল্যমনতা এমনকি দুই নৌকায় পা দেয়ার প্রতিযোগীতায় উত্তীর্ণ হন তারা। এই দোদল্যমান মানষিকতা পরিহার এখন বাঞ্চনীয়। কারন সবই প্রকাশিত এবং চলমানভাবে গভেষণার ফলাফলে উদঘাটিত।
যখন গতিশীলতা এবং সাময়ীক স্তব্ধতা কাটিয়ে আবার পুরোদমে সফলতার ফলাফল এর চাকা চলমান হয় তখনই একটু একটু করে আবার শুরু হয় স্তুতি গাওয়ার বিচরণ। জয়গান গাওয়া এবং যারা ঐ কঠিন অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে এবং যার যার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে সকল বাধা বিপত্তি কাটিয়ে এই ভাল অবস্থায় ফিরিয়ে এনেছে সেই মানুষগুলোকে দুরে ঠেলে দিয়ে কেন্দ্রবিন্দুকে ঘূর্ণায়মান বৃত্তাকারের চক্রে আবদ্ধ করার পায়তারায় লিপ্ত ঐ সু-সময়ের কোকিল কন্ঠী স্তুতিকারগুলো। বুলি আওড়াতে আওড়াতে কখন যে নিজের আখের গুছাতে শুরু করে তা টের পাওয়া যায় না সহসায়। আর যখনই টের পাওয়া শুরু হয় তখনই বাধে বিপত্তি। এই বিপত্তি থেকে উৎড়াতে আবার প্রয়োজন পড়ে কঠিন সংগ্রামের।
আসুন আমরা ঐ স্তুতি গ্রাহকদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত কোচিং এবং মেন্টরিং করি এবং দেশের উন্নয়নে ব্যবহারোপযোগী করি। প্রয়োজনে তাদেরকে কঠোর ও কঠিন পাহাড়ায় রেখে আগামী দিনের অংশীদারিত্ব গৌরব ভোগ করতে উপযুক্ত করে তুলি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এইসকল মানুষদের পছন্দ এবং অপছন্দ কোনটিই করেন না বরং উপযুক্তভাবে গড়ে তুলতে সহায়তা করেন যাতে তারা দেশের কল্যাণে নিজেদেরকে নিয়োজিত করে ভাল ফলাফলের দাবিদার হতে পারেন। বিশ্বাস করি ঐ সকল মানুষগুলো এখন চিহ্নিত এবং খুবই অল্প সময়েই তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা দৃশ্যমান হবে।
কারো আঘাত বা ব্যক্তিগতভাবে কষ্ট দেয়ার লক্ষ্যে এই লিখা নয় বরং সতর্ক ও সংযত হওয়ার এবং সঠিক দায়িত্বটুকু সতেচতনভাবে পালন করার অভিপ্রায়েই এই লিখা। নতুবা সংশোধনের ব্যবস্থায় জড়িয়ে গিয়ে আগামীর উন্নত শীর জাগ্রত রেখে পরিবর্তনের শীর্ষ পর্যায়ে পৌঁছে বিশ্বে বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে এবং উন্নত বিশ্বের নেতৃত্ব দিবে। জয় হউক জননেত্রীর, জয় হউক সফলতার। সর্বোপরি জয় হউক আমাদের প্রীয় মার্তৃভুমির; যা স্বপ্নে ও কল্পনায় ছিল জন্মদাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের।

Leave a Reply

Your email address will not be published.