যোগ্যতা ও জ্ঞানভিত্তিক রাষ্ট্র পরিচালনা

Vector-Smart-Objectযোগ্যতা ও জ্ঞানভিত্তিক রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে আমাদের দেশের ক্ষেত্রে কিছুটা ব্যতিক্রম বা হেরফের হয়ে থাকে। এটা শুরু হয়েছিল বাংলাদেশ জন্মগ্রহণ করার পর থেকেই। কোন সময় যোগ্য লোকের অভাব আবার কখনো কখনো যোগ্য লোক নির্বাচনের ক্ষেত্রে শৈথিল্য বা ভিবিন্ন কারনে যোগ্য লোককে বিলম্বে সুযোগ দেয়া। এই সবই হয়ে আসছিল এবং আগামীতেও হবে। তবে আশার কথা হলো আমাদের বিগত সরকারগুলো বাকপটু বা বেশী কথা বলা এমনকি জনগণকে বেশী ঠকাতে পারা লোকদেরকেই পছন্দ করে সুযোগসহ দায়িত্ব দিয়েছিলো। তবে যে সবাই অযোগ্য ছিল তা কিন্তু নয়। কতিপয় কিছু লোকের কল্যাণেই আজ আমরা এই অবস্থানে পৌঁছেছি। কিন্তু আজকের দিনে আমাদের দেশের নেতা ও নেত্রীগণ সচেতন। কিন্তু এখনও যারা সচেতনতায় অপরিপক্ক তাদের হয়তো আগামী দিনে আর নেতৃত্ব দেয়া হবে না বা কালের পরিক্রমায় হারিয়ে যাবেন। বিজ্ঞ ও প্রাজ্ঞতার ক্ষেত্রে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দেখিয়ে দিয়েছেন যে, রাজনীতি বা রাষ্ট্র পরিচালনা করতে হলে যোগ্যতা বা মেধার পরিপক্কতা কতখানী দরকার।
এই মাপকাঠিতে এখন নেতা নেত্রী পাওয়াই দূরুহ। যদিও দলীয় নেতা ও নেত্রীদেরকে শিক্ষায় এবং পরিপক্কতায় উপযুক্ত করতে বিভিন্ন কর্মকান্ড পরিচালনা করে যাচ্ছেন। কাউকে দায়িত্ব দিয়ে আবার কাউকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে অথবা কাউকে দায়িত্বে স্থানান্তর করে; আবার কাউকে বিভিন্ন প্রশিক্ষন দিয়ে। এই রীতির মধ্যে ধৈয্য ও পরমত সহিষ্ণুতাও বৃদ্ধি পায়। সকলে মিলে ঐক্যের ভিত্তিতে কাজের দৃষ্টান্তও স্থাপিত হয়। সবই এখন একটি সৌন্দয্য যার প্রস্ফুটিত এক ফুলের সুগন্ধ এবং সৌন্দয্য ভিলানোর এক মহা মাহেন্দ্রক্ষণ মাত্র।
উদারতা এবং দায়িত্বশীলতার একটি দৃষ্টান্ত হলো বিএনপির নেত্রী ছাত্রদলের সমাবেশে গমনও সমাবেশস্থলের তালা। যদিও এটা প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নয়, তারপরও তাঁরই ঐকান্তিক ইচ্ছা এবং দলীয় সেক্রেটারির হস্তক্ষেপে তালা অপসারণ ও সমাবেশ করার ব্যবস্থা করা। এই যে উদারতা ও খোজ খবর রাখা তা কিন্তু একমাত্র তিনিই (শেখ হাসিনা) পারেন এবং করেন। ঐ ঘটনাটি দুইটি কারণের ফল; যথাক্রমে রাষ্ট্রপতি ঐ দিন ঐ এলাকায় ছিল এবং দ্বিতীয়টি ছাত্র দলের সৃষ্টি। তারা নির্ধারিত ভাড়া পরিশোধ না করার কারণে তালা ঝোলা; কিন্তু পরবর্তীতে ওবায়দুল কাদের সাহেবের আশ্বাসে টাকা ছাড়াই তালা খোলা হয় এবং পরবর্তীতে টাকা সংগ্রহ করা হয়। নিয়মের ব্যত্বয়ে অনেক অপ্রীয় ঘটনার জন্ম হয়; কিন্তু সেই ঘটনার দায় দায়িত্ব কেউ নিতে চাই না চাইবে না এটাই স্বাভাবিক। সরকারের দায়বদ্ধতা বেশী। এই দ্বায়বদ্ধতা রক্ষার্থে অনেক সময় সমালোচনা সইতে হয়। তারপরও বলি সরকার তাদের আন্তরিকতা ও সহনশীলতা বজায় রেখে সকল দায়বদ্ধতা জাগ্রত রেখেছেন।
এই দ্বায়বদ্ধতার কারণেই সরকারকে খালেদা জিয়ার মত মস্তকবীহিন এক নারীর মুখের সমালোচনাও শুনতে হয়। যেখানে তার জনসভার ব্যবস্থা হলো সরকার প্রধানের নির্দেশে সেখানে আবর সমালোচনা। সবই দুষিত বাতাস এবং হিংসার ফল। আর কিইবা অসম্ভব ঐ ঘীলুহীন মহিলার দ্বারা। এইতো সেদিন তিনি জাতির উদ্দেশ্যে বলেছেন পদ্মা সেতুতে যেন জনগণ না উঠে। কি আজব এই কথা যেখানে পদ্মা সেতু করতে না পরার জন্য পৃথীবীর এমন কোন হীন্য ও জঘন্য কাজ তিনি করা বাকি রাখেন নি; সেখানে এই কথা বলাই উনার দ্বারা জনতার আশা। যখন সেতুটি হয়ে যাচ্ছে এবং বিশ্নে বাংলাদেশের মাথা উঁচু হয়েছে সেখানে এই অপদার্থের ন্যায় নোংরা রাজনীতির গলীত গন্ধযুক্ত অনুর্বর মস্তিষ্ক দ্বারা নিগৃহী কথাটিই তিনি বলেছেন। যা আগামীর রাজনীতির জন্য একটি পথের কাটা হয়ে দাঁড়াবে। তিনি ও তার গুণধর ছেলেই আজ যথেষ্ট বিএনপির রাজনৈতিক দেওলিয়াত্বের জন্য। খালেদা জিয়ার শাসনামলে ফাইবার অপটিকস্ এবং নরওয়ে সরকারের দেয়া সাহায্য যা টিউলিপ নামকরণের জন্য দেশের অপুরনীয় ক্ষতি সাধন করেছিল। সেই তিনার দ্বারা আর কিই বা হতে পারে।
একটি কথা বলতেই হয় জাতির সমাজ ও রাজনীতি এবং বৈশ্বিক জ্ঞানের সমন্বয়ে জীবন মানের উন্নয়ন ঘটিয়েছে। যা বর্তমানে ডিজিটাল রূপদান হয়েছে। সেখানে ঐ মগজবিহীন মৃত মানুষের প্রলাপ বকা কতটুকু ক্ষতির তা দিনে দিনেই প্রকাশ পাবে। থার্টিফাষ্ট যেহেতু বাঙ্গালী সংস্কৃতির নয় তারপরও বলব এই ধারকরা সংস্কৃতি এখন উদ্যামও নোংরা খেলায় পরিণত হয়েছে। যার জন্য সরকার এবং এর বাহীনি কর্তৃক কিছু নিষেধাজ্ঞা বিরাজমান থাকে বিশেষ করে ঐদিনটির জন্য। তারপরও বলব মানুষ তার ইচ্ছা প্রকাশ করবে কিন্তু তা ধর্মের এবং সমাজের সমাজবদ্ধ জবাবদিহীতার বাইরে নয়। যিনি একটি দলের প্রধান; তারচেয়ে বড় কথা বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী; তিনি কিনা ঐ বিদেশী সংস্কৃতিক উৎসবে বিদেশী মদ খেয়ে মাতাল হয়ে মাতিয়ে রাখবেন বাংলার সুশৃঙ্খল সমাজ ও রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা এমনকি ধর্মীয় ব্যবস্থাকে তা কি করে হয়? জাতি জেনেছেন ঐদিন রাতে তার বাড়িতে উন্নত ও বিদেশী ব্র্যান্ডের মদবোঝাই গাড়ি; কালের পরিক্রমাই তাও আবার পুলিশের হাতে ধৃত এবং মিডিয়ার কল্যাণে জনতার সম্মুখে এখন। এই নোংরামির লজ্জ্বা রাখি কোথায়? তারপরও বলি আমাদের দুভার্গ্য কারন আমরাই এইধরণের লোকদের পিছনে থেকে তাদেরকে ক্ষমতার সিংহাসনে বসতে সহযোগীতা করি। হয়তো এই ক্ষমতারোহনে তাঁরা লাভবান হন। মুখ্যতা এবং অজ্ঞতাই ঐ চতুরশ্রেণীর লোভী মানুষদের স্বার্থ চরিতার্থের সুযোগ এনে দেয়। দেশী ও বিদেশী সকল সুযোগ সন্ধানী মানুষই ঐ জ্ঞানবিহীন ও শিক্ষাবীহিন মানুষদেরকে ক্ষমতায় বসাতে চায় কারন পুতুল নাচ নাচিয়ে সবকিছু করায়ত্ব করতে পারার আশায়।
যুগ পাল্টিয়েছে তাই ত্রাতা হয়ে এই জাতীর কল্যাণে এসেছে শেখ হাসিনা। তিনি জ্ঞানভিক্তিক প্রযুক্তি নির্ভর রাষ্ট্র পরিচালনা করে যাচ্ছেন। যা এখন জাতি প্রত্যক্ষ করছে। এইতো সেদিন তিনি তাঁর মন্ত্রিসভার রদবদল এমনকি নতুন সংযোজন করেছেন। তিনি যোগ্য ব্যক্তিকে যোগ্যস্থানে প্রতিস্থাপিত করেছেন। উন্নয়ন এবং অগ্রগতি ভবিষ্যতের প্রয়োজনে তাঁর নতুন এবং বাস্তবসম্পন্ন যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং যাবে। খুব কাছ থেকে পুরো ডিসেম্বর এবং জানুয়ারী প্রধানমন্ত্রীকে পরখ করে যা বুঝেছি তা আসলেই এই বাংলার জন্য এক জ্ঞান ও পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়নের তেজোদিপ্ত খনী। এই খনিই আগামীদিনের উন্নত ও উন্নয়শীল বাংলাদেশের মূল ভিত্তি। এই ভিত্তির উপর দাঁড়িয়েই আজ আমরা আগামীর স্বপ্ন দেখছি এবং বুনছি। এখনই সময় ঐ খনী সুরক্ষার এবং খনী থেকে উৎসরিত সকল স্ফুলিঙ্গকে কাজে লাগিয়ে এগুনোই জাতীর একমাত্র এবং ঐকান্তিক কাম্য। গনতন্ত্র রক্ষার দিনেও এই অঙ্গিকার এর ধ্বনী প্রতিধ্বনী হিসেবে উচ্চারিত হউক বাঙ্গালীর প্রতিটি ঘরে ও মনে।
শিক্ষক শ্রেণীর আন্দোলন এবং কুয়াশাচ্ছন্ন শীতের কষ্ট লাগবের প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক কাম্য। যেহেতু তিনি আমাদের অভিভাবক সেহেতু তিনিই শাসন ও আশা উভয়ই দেখাতে; দিতে পারেন। আর যদি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আমাদের বিশ্বাসই থাকে তাহলেতো রাস্তায় বসে আন্দোলনের প্রয়োজন নেই। কারণ তিনি জানেন কার কি প্রয়োজন এবং সেই অনুযায়ীই জোগান দিয়ে যাচ্ছেন। শুধু একটু সময় প্রয়োজন। এই সময়টুকু যদি দিতে না পারি তাহলে হয়তো আম ও ছালা সবই যাবে। বর্তমানে আমরা যে পরিমান স্বাধীন এবং নিশ্চিত নিশ্চয়তা ভোগ করছি, সেইরকম পুর্বে কখনও ছিলাম কিনা প্রশ্ন করে দেখুন? এই স্বাধীনতাকে এইভাবে বিসর্জন দিয়ে সর্বশান্ত হবেন না। প্রধানমন্ত্রী আপনাদের কথা ভাবেন এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবেন। সুতরাং আর কষ্ট নয় ; আর আন্দোলন নয় বরং ঐক্যবদ্ধ এক বিশ্বাস ও আস্থা নিয়ে ঘরে ফিরে প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর দায়িত্ব পালন এমনকি ভালবাসা ও উদারতা প্রকাশের সুযোগ দিন।
আমি আশাবাদি মানুষ এবং সেই নীরিখেই বলছি ২০১৮ বছরটি আমাদের ভাগ্যাকাশে উন্নয়ন অব্যাহত রাখার। আমরা এই ১৮তেই বেশী স্বপ্ন দেখব। স্বপ্নপুরণ ও ইতিহাস সৃৃিষ্টর লগ্নে আমরা এই ১৮কেই মাইল ফলকে পৌঁছার বছর হিসেবে রূপদান করব। জাতী এই ১৮তেই সকল নৈরাজ্য, অশান্তি এবং দুর্যোগ চিরতনের নির্মুল করে এগিয়ে যাবে আগামীর কল্যাণে। রাজনৈতিক হয়রানী ও হতাশা এবং নির্বাচনের সুফল ভোগ এর সফল দৃষ্টান্ত স্থাপনের ইতিহাসও সৃষ্টি হতে পারে এই বছরেই। নানাহ কারণে এই বছরটি আমাদের কাছে বা বাঙ্গালীর জীবনে অনেক গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্ব অনুধাবন করেই আমরা সামনে এগিয়ে যাব আগামীর সমৃদ্ধি ও সুখ শান্তি বিনির্মানের স্থিতীশিলতা রক্ষার নিশ্চিত নিশ্চয়তায়। এগিয়ে যাচ্ছি এবং যাব যোগ্যতা ও জ্ঞানভিত্তিক রাষ্ট্র পরিচালনায়। সকল অন্ধকার ও অপশক্তির পরাজয় নিশ্চিত। এই হউক আমাদের অঙ্গিকার ও আগামীর প্রত্যাশা।

Leave a Reply

Your email address will not be published.