সিটিজেনশিপের শর্ত শিথিল, ৩ বছরে ১০ লাখ শ্রমিক নেবে কানাডা

জিসান ইবনে হাসান, কানাডা থেকে॥ সহজ করা হয়েছে কানাডায় স্থায়ীভাবে বসবাসের প্রক্রিয়া। ২০২০ সাল পর্যন্ত ৩ বছরে ১০ লাখ দক্ষ-অদক্ষ শ্রমিক নেবে কানাডা। এতে তারা সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ পাবেন।  citizenship in canada
কানাডার ইমিগ্রেশন মন্ত্রী আহমেদ হোসাইন এ খবর দিয়েছেন। স্কিল্ড ও ট্রেড স্কিল্ড ক্যাটাগরিসহ অন্যান্য ক্যাটাগরিতে এই সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। সিআরএস (ঈড়সঢ়ৎবযবহংরাব জধহশরহম ঝুংঃবস) পয়েন্টের নিম্নমুখী স্কোরের প্রবণতা দেখে অনুমিত হচ্ছে যে, চলতি বছর সবচেয়ে কম পয়েন্ট দিয়েও কানাডায় অভিবাসন মর্যাদা পাওয়া যাবে।
আর এ কারণেই চলতি বছর ঘনঘন লটারির সম্ভাবনা রয়েছে বলে অভিবাসন নিয়ে কর্মরতরা মনে করছেন। অভিবাসন আইনজীবীরা বলেছেন, সঠিকভাবে আবেদন করতে পারলে বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশীও কানাডায় নাগরিকত্ব পেতে সক্ষম হবেন। আর এ আবেদন করতে হবে এক্সপ্রেস এ্যান্ট্রি প্রোগ্রামে (ঊীঢ়ৎবংং ঊহঃৎু-ধষরমহবফ চৎড়ারহপরধষ ঘড়সরহবব চৎড়মৎধস (চঘচ)। এ ব্যাপারে কানাডায় নাগরিকত্ব পাবার প্রয়োজনীয় যোগ্যতা নিজের আছে কিনা তা বিজ্ঞ আইনজীবীদের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।
উল্লেখ্য, কানাডা সবসময়ই ‘আগে আসলে আগে পাবেন’ ভিত্তিতে অভিবাসনের কার্যক্রম পরিচালনা করে। বিল সি-৬ (ইরষষ ঈ-৬) অনুযায়ী কানাডার সিটিজেনশিপের আবেদন করতে ৫ বছরের মধ্যে অন্তত ৩ বছর বসবাস করতে হবে। এর আগে ছিল ৬ বছরের মধ্যে ৪ বছর। এছাড়া, কানাডায় যারা অস্থায়ী মর্যাদায় তথা ওয়ার্ক অথবা স্টাডি পারমিটে ছিলেন, তারাও তাদের কানাডায় বসবাসের সময়টুকু ৩ বছর মেয়াদের একটি অংশ হিসেবে গণনা করতে সক্ষম হবেন।
অভিবাসন আইনজীবীরা জানিয়েছেন, কানাডায় অভিবাসনের আবেদন করতে সাধারণত: একটি পূর্ণাঙ্গ বায়োডাটা, পরিবারের তথ্য, শিক্ষাগত যোগ্যতা, আইইএলটিএস, ইসিএ সার্টিফিকেট, চাকরির অভিজ্ঞতার প্রমাণপত্র, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, মেডিকেল রিপোর্ট, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ইত্যাদি লাগে। অনলাইনেই আবেদন করা যায়। আবেদনের জন্যে যোগ্য কিনা-তা নিরূপন করার পরই প্রোফাইল তৈরী করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করে লটারি ড্র-এর জন্যে অপেক্ষা করতে হয়। তবে চাকরির অফারের প্রয়োজন হয়। অর্থাৎ কানাডায় পদার্পণের পরই যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি পাবেন-এমন নিশ্চয়তা থাকতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.