শেখ হাসিনার মুকুটে নতুন পালক, ‘সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিশ্বসেরা’

আবদুল আখের॥ সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিশ্বের সবচেয়ে বিচক্ষণ নেতা বিবেচিত হয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পিপলস অ্যান্ড পলিটিক্সের বিগত ৫ বছরে রাজনীতিবিদদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের দক্ষতার উপর পরিচালিত এক গবেষণায় শেখ হাসিনাকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সেরা নির্বাচিত করা হয়েছে। hasina desion number one
গবেষণা সংস্থা পিপলস অ্যান্ড পলিটিক্স সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে মোট ৫ টি বিষয় বিবেচনা করেছে। এগুলো হলো: ১। কত স্বল্পতম সময়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে? ২। সিদ্ধান্ত গ্রহণে কতটা সঠিক বিবেচিত হয়েছে, ৩। গৃহীত সিদ্ধান্ত মানবকল্যাণে কী ভূমিকা রেখেছে, ৪। সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়া কী হয়েছে এবং ৫ সিদ্ধান্তের ফলে বিদ্যমান সমস্যার ক্ষেত্রে কি ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে।
পিপলস অ্যান্ড পলিটিক্স এর গবেষণায় দেখা গেছে, গত ৫ বছরে বিশ্বে সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানদের গৃহীত সেরা ৫টি সিদ্ধান্তের মধ্যে সবচেয়ে বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত ছিল, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার সিদ্ধান্ত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৭’র আগস্ট মাসে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের জন্য সীমান্ত উন্মুক্ত করে দেন।
বিচক্ষণ সেরা ৫ সিদ্ধান্তের দ্বিতীয়টি হলো সেপ্টেম্বর ২০১৫ তে অ্যাঙ্গেলা মেরকেলের শরণার্থীদের জন্য জার্মান সীমান্ত খুলে দেওয়া। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে হাজার হাজার শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার সিদ্ধান্তটি ছিল সাহসী, সঠিক এবং মানবতার পক্ষে।
ব্রেক্সিটের ভোটে হেরে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের পদত্যাগ ছিল গত ৫ বছরে তৃতীয় সেরা সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্ত গণতন্ত্র এবং জনমতে প্রতি শ্রদ্ধার এক অনন্য নজির বলে ‘পিপলস অ্যান্ড পলিটিক্সে’র গবেষণায় বলা হয়েছে।
গবেষণায় চতুর্থ সাহসী সিদ্ধান্ত হিসিবে চিহ্নিত করা হয়েছে, ২০১৬’র জুলাইতে সেনা অভ্যুত্থান রুখে দিতে ফেস টাইমে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের আহ্বান। তুরস্কে এরদোয়ান সরকারের বিরুদ্ধে সেনা অভ্যুত্থান ঘটায় সেনাবাহিনী। এরদোয়ান ফেস টাইমে জনগণকে রাস্তায় নেমে আসার আহ্বান জানান। জনগণ তাঁর বক্তব্যে উজ্জীবিত হয়ে রাজপথে নেমে আসে এবং অভ্যুত্থান ঠেকিয়ে দেয়।
সেরা পাঁচ সিদ্ধান্তের পঞ্চমটি হলো ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত। ২০১৬‘র নভেম্বরে নরেন্দ্র মোদী কালো টাকার দৌরাত্ম বন্ধে ৫০০ এবং ১০০০ রুপির নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ ভারতের জন্য এই সিদ্ধান্ত ছিল চ্যালেঞ্জিং এবং ঝুঁকিপূর্ণ।
পিপলস অ্যান্ড পলিটিক্সকে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সবচেয়ে যোগ্য সরকার প্রধান হিসেবে শেখ হাসিনাকে বিবেচনার প্রেক্ষাপট হিসেবে বলা হয়েছে যে, ‘রোহিঙ্গা ইস্যু বিশ্বে মানবতার এক সংকট সৃষ্টি করত। কিন্তু শেখ হাসিনার মানবিক, বিচক্ষণ এবং সাহসী সিদ্ধান্তের কারণে বিশ্ব এক মানবিক সংকট থেকে কিছুটা হলেও পরিত্রাণ পায়।’
শুধু রোহিঙ্গা ইস্যু নয়, পিপলস অ্যান্ড পলিটিক্স এর গবেষণায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আরও কিছু সাহসী, বিচক্ষণ ও দুরদৃষ্টি সম্পন্ন সিদ্ধান্ত উঠে এসেছে। এর মধ্যে নিজের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণের চ্যালেঞ্জের ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে গবেষণা প্রতিবেদনে। জঙ্গিবাদ দমনে জিরো টলারেন্স সিদ্ধান্তকে অনুকরণীয় এবং দৃষ্টান্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে গবেষণা প্রতিবেদনে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.