ফাইভ জি ব্যবহারকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ প্রথম কাতারে থাকবেঃ সজীব ওয়াজেদ

বাআ॥ প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, ‘ফাইভ জি ব্যবহারকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ প্রথম শ্রেণির দেশগুলোর কাতারে থাকবে।’ গতকাল বুধবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক হোটেল সোনারগাঁওয়ে এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে ‘বাংলাদেশ ফাইভ জি সামিট’-এ তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় এলে দেশে পঞ্চম প্রজন্মের (ফাইভ জি) মোবাইল ফোন সেবা চালু করা হবে।5g start by joy hand
আওয়ামী লীগ সরকারের সময়েই ২০০৩ সালে আসে থ্রিজি। এরপর গত ফেব্রুয়ারিতে চালু হয় ফোরজি সেবা। সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ইতোমধ্যে আমরা ফাইভ জি নিয়ে আলোচনা শুরু করেছি। যদি দেশের মানুষ ভোট দিয়ে আমাদের আবারও ক্ষমতায় আনে তবে আমরা বাংলাদেশে ফাইভ জি চালু করব। তিনি বলেন, ‘উন্নয়নশীল দেশের কাতারে প্রথম হবে বাংলাদেশ এটি আমার স্বপ্ন। অন্ধকারকে পেছনে ফেলে আলোকে জয় করেছে বাংলাদেশ। সব জল্পনা কল্পনার পর অবশেষে দেশে পঞ্চম প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্ক ফাইভ-জি আসছে।’
সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং মোবাইল অপারেটর রবির সহায়তায় এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে প্রথমবারের মত ফাইভ জি প্রযুক্তি প্রদর্শন করে চীনের টেলিকমিউনিকেশন এবং প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে। সজীব ওয়াজেদ জয় এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন।
গত সাড়ে নয় বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দেশের টেলিযোগাযোগ খাতের দ্রুত অগ্রগতির কথা তুলে ধরে জয় বলেন, ‘১০ বছর আগেও বাংলাদেশ ছিল প্রযুক্তিতে পিছিয়ে পড়া দেশ। টু জি ইন্টারনেট সেবা ছিল। সেটাও ছিল শহরের মধ্যে এবং দাম ছিল বেশি। তিনি বলেন, ‘আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। এখন আমরা কোথায় আছি দেখুন! গত পাঁচ বছরের মধ্যে ইন্টারনেটের মূল্য ৯৯ শতাংশ কমাতে আমি রেগুলেটরদের ওপর চাপ দিয়েছি। এখন বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশে ইন্টারনেটের মূল্য সবচেয়ে কম। দশ বছর আগে দেশে ইন্টারনেটের দাম যা ছিল তার ৯৯ শতাংশ কমেছে।’ থ্রিজি থেকে দ্রুত সময়ের মধ্যে ফোর জি সেবায় আসার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, অন্য কোনো দেশ এত দ্রুত পরবর্তী প্রজন্মের ইন্টারনেট চালু করতে পারেনি। এ সময় তিনি বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগে কানেকটিভিটি যেভাবে সম্প্রসারিত হয়েছে তা অন্যদেশের চেয়ে ভালো বলেও মন্তব্য করেন।
সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমি ট্রাফিকে আটকে আছি। কিন্তু ঢাকাতে বসেই ঠিক আমেরিকার মতোই ৪জি ইন্টারনেট সেবা পাচ্ছি। আমরা কয়েক মাস আগে ৪জি সেবা চালু করলেও ইতোমধ্যে কাভারেজ বেশ ভালো বলে মনে হচ্ছে। এর জন্য টেলিকম কোম্পানিগুলোকে আমি ধন্যবাদ জানাই। আওয়ামী লীগ সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে আরেকটি মাইলফলক অর্জন।’
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক কমিশনের (বিটিআরসি) মহাপরিচালক (প্রকৌশল ও অপারেশন্স) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল অনুষ্ঠানে বলেন, দেশের তিনটি ফোর জি অপারেটরের সেবা পার্বত্য চট্টগ্রাম বাদে প্রায় সারা দেশে পৌঁছে গেছে। বিটিআরসির হিসাব অনুযায়ী, জুন পর্যন্ত বাংলাদেশের মানুষের হাতে ১৫ কোটির বেশি মোবাইল সিম ছিল। আর দেশের আট কোটি ৭৭ লাখ ইন্টারনেট গ্রাহকের মধ্যে আট কোটি ২০ লাখ গ্রাহকই মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করেন।
ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার, রবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাহতাব উদ্দিন আহমেদ এবং হুয়াওয়ের সাউথ-ইস্ট এশিয়া অঞ্চলের প্রেসিডেন্ট জেমস উ।

Leave a Reply

Your email address will not be published.