কারাগারে কয়েদিদের জন্য সেক্স সুবিধা

প্রশান্তি ডেক্স॥ বন্দিজীবনে কঠোর নিয়মের বেড়াজাল। শাস্তির সাঁড়াশিতে সুখের কোনও জায়গা নেই। কিন্তু সে তো আইন মোতাবেক কথা। আইন যখন আছে, তার ফাঁকও আছে। আর সেই ফাঁক-ফোকর এমনভাবে কাজে লাগাল ফ্রান্সের এক জেলের বন্দিরা, তা দেখে চক্ষু চড়কগাছ গোটা বিশ্বের। সেখানে মহিলা কারারক্ষীকেই তারা রাজি করিয়ে ফেলেছে মুখমেহনে। বন্দিদশাতেই তাই মিলছে ওরাল সেক্সের সুখ। karagera sex sobeda
ঘটনার একটি ভিডিও সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে নেটদুনিয়ায়। জেলের মধ্যেই যে ভিডিওটি তোলা হয়েছে তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, নগ্ন অবস্থায় এক মহিলা কারারক্ষীকে ডাকছে এক বন্দি। কারারক্ষীটি তার কাছেও এলেন। তাদের মধ্যে কিছু কথাবার্তা হল। তারপরই এদিক, ওদিক তাকিয়ে মহিলা ঝুঁকে বসে পড়লেন। ভঙ্গিমা দেখে স্পষ্ট যে মুখমেহনের কাজই চলছে। ছোট্ট এই ভিডিও ক্লিপিংই তোলপাড় ফেলেছে সেদেশে। ঘটনাটি দেশের এক শীর্ষসারির সংবাদপত্রের খবর হিসেবে প্রকাশিতও হয়েছে। তারপরই নড়েচড়ে বসেছে জেল কর্তৃপক্ষ।
ভিডিও দেখে বন্দির পরিচয় জানতে অসুবিধা হয়নি। জানা যাচ্ছে, মাদক নেওয়া বা এই সংক্রান্ত অপরাধেই সে বন্দিদশা কাটাচ্ছে। কিন্তু জেলের ভিতরও যৌনসুখের বন্দোবস্ত করে ফেলেছে। মহিলা কারারক্ষীকেও চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। জানা যাচ্ছে, শিক্ষানবীশ হিসেবে ওই জেলে কাজ করতেন তিনি। ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে খবর।
কিন্তু এই ভিডিও জেলের অন্দরমহলের ছবিটা হাট করে দেখিয়ে দিয়েছে। নামেই বন্দিদশা, আসলে যে জেলের ভিতর নিজস্ব সামাজ্যে বহাল তবিয়তে আছে অপরাধীরা তা একরকম স্পষ্ট। জেলের মধ্যে ফোন বা নেশার জিনিস সরবারাহ করার অভিযোগ প্রায়শই ওঠে। কিন্তু তা বলে কারারক্ষীকে রাজি করিয়ে ওরাল সেক্সের ঘটনা এর আগে খুব একটা শোনা যায়নি।
সবথেকে বড় কথা, মহিলা কারারক্ষীটির উপর কোনওরকম জোর করেনি ওই বন্দি। যেন কর্তৃপক্ষর চোখ এড়িয়ে স্বেচ্ছাতেই এ কাজে রাজি হয়েছিলেন তিনি। তাহলে কি জেলারের নজর এড়িয়ে বন্দিরা শরীরের চাহিদা মেটাতে সেক্স ব্যাকেটও চালায় জেলের মধ্যে? উঠছে সে প্রশ্নও।

Leave a Reply

Your email address will not be published.