সেলিফিতেই মধুর সম্পর্কের সুখানুভূতি প্রকাশ

তাজুল ইসলাম॥ সেলফি তুলতে কে না চায়। আর যদি তা হয় প্রধানমন্ত্রী; তাহলে কি আর লোভ সামলানো যায়। সম্পর্ক যতই তেতো বা মধুর হউক না কেন? সেফলি কিন্তু তুলতেই হবে। এই আকাঙ্খা সকলেরই। আমারও ছিল এবং আমি কয়েকবার চেষ্টাও করেছি কিন্তু হয়ে উঠে না। প্রধানমন্ত্রীর মিটিং গিয়েছি এবং চেষ্টা করেছি তুলতে পারিনি। আর ইদানিং কালে নিরাপত্তার প্রয়োজনে আমন্ত্রীতদের মোবাইলও জমা রাখা হয় তাই অনেকেই হয়তো এই সেলফি তুলা থেকে নিরাশ হন। যাক মূল কথা হলো এই হাস্যোজ্জ্বোল সেলফি কিন্তু সুসম্পর্কের একটি বার্তাও বটে। Selfi with pm and a embasidor
একজন প্রভাবশালী দেশের কূটনীতিক যদি এমন আগ্রহ নিয়ে সেলফি তুলতে চান তাহলে বুঝতে হবে এই ব্যক্তিটি আজ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কত বিশাল মর্যাদার স্থান দখল করে আছেন। আমরা হয়তো এই মূল্যায়নটুকু করতে পারি না বা অনুভবও করিনা। এরই মধ্যে যারা করেছেন তারা সকলেই ধন্য এবং শ্রদ্ধা পাওয়ার যোগ্য। আজ বলতে হচ্ছে দেখুন এবং শিখুন পাশাপাশি চর্চাও করুন। রাজনীতির প্রয়োজনে বা নিজ স্বার্থের প্রয়োজনে আর নিজের অধিকার ও মান সম্মানকে জলাঞ্জলি দিবেন না। যোগ্য সম্মান ও মর্যাদা দিয়ে কথা বলুন এবং আগামী দিনে নিজেদেরকে যোগ্যতর স্থানে প্রতিষ্ঠিত করুন। আমেরিকান এম্বাসেডর আমাদেরকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে এই বার্তাটুকুই দিয়ে গেল যাতে করে আমরা আগামী দিনে সংশোধিত হয়ে দেশের মর্যাদা এবং নিজের স্থান পাকাপোক্ত করতে পারি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদেরকে যে জায়গায় নিয়ে পৌঁছে দিয়েছেন সেই জায়গাটুকু ধরে রেখে সামনে অগ্রসর হওয়ার দায়িত্ব এখন আমাদের। হেলায় যেন ঐ অধিকারের অর্জনটুকু নষ্ট না করি। কথায় আছে “বাড়ির গরু গাডার ঘাস খায় না” এই কথার অর্থ এর ব্যবহারকারীদের দলের অন্তভূক্ত যেন না হই। সবাই নিজেদের জ্ঞান ও আন্তর্জাতিক অর্জন এমনকি দেশীয় উন্নয়ন অগ্রগতিকে নিজ চোখে দেখে প্রশংসা এমনকি সুখানুভুতি উপভোগ করি। আগামী দিনের প্রজন্মকে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে বেড়ে ও গড়ে উঠার ক্ষেত্রে সুপ্রতিষ্ঠিত করি।
আগে দেখা যেত বিদেশীদের সাথে সেলফি তুলতে বাঙ্গালীরা ব্যস্ত হতো এবং বিদেশী নেতাদের আগমনে বাঙ্গালীরা প্রাণ ফিরে পেত এমনকি তোষামোদিতে ব্যস্ত থাকতো। কিন্তু সময়ের আবর্তনে আজ বিদেশীরা বাংলাদেশীদের সঙ্গে ছবি বা সেলফি তুলতে ব্যতিব্যস্ত এবং তোষামোদিতেও অগ্রগামী। আমাদের এই অর্জন এমনিতেই আসে নাই এবং এমতিইে বিদেশীরা সরকার প্রধান এর পিছলে হন্যহয়ে ছোটে না। বরং অধিকার এবং অর্জনকে ছিনিয়ে আনতে হয়েছে। আর এর পিছনে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে যিনি কাজ করেছেন তিনি জাতীর পিতার যোগ্য কণ্যা আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যিনি ইতোমধ্যে অনেক উপাধি এবং খ্যাতির শিখড়ে পৌঁছেছেন। আজ আমরা সেই উপাধ এবং খ্যাতির শিখরকে কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যাবো আগামীর তরে এই হউক আমাদের সকলের প্রত্যাশা ও অঙ্গিকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published.