আনোয়ার হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদক॥ গত ছয় বছরে অর্ধেকের বেশি স্থায়ী কর্মী ছাঁটাই করেছে মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন। গত ২ নভেম্বর, গত শুক্রবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে গ্রামীণফোন এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন এই দাবি করে। অনুষ্ঠানে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মিয়া মাসুদ জানান, ২০১২ সালে গ্রামীণফোনে স্থায়ী লোকবল ছিল পাঁচ হাজার। ছাঁটাইয়ের কারণে এখন তা কমে প্রায় দুই হাজার ৩০০ জন হয়েছে। তার মতে, স্থায়ী কর্মী ছাঁটাই করে ভাড়া করা (আউটসোর্স) লোক দিয়ে কাজ করানোয় গ্রামীণফোনের সেবার মান কমে যাচ্ছে।
মিয়া মাসুদ বলেন, ‘২০১৭ সালে গ্রামীণফোনের নেট মুনাফা ছিল দুই হাজার ৭৪০ কোটি টাকা। আর চলতি বছর প্রথম ৯ মাসেই নেট মুনাফা হয়েছে দুই হাজার ৬০৮ কোটি টাকা। আমাদের কর্মীরা এত মুনাফা এনে দিচ্ছেন, বিনিময়ে তারা শুধু চাকরির নিশ্চয়তা এবং ন্যায়সঙ্গত সুযোগ চান, যা গ্রামীণফোনের আয়ের তুলনায় খুবই নগণ্য।’
গ্রামীণফোনের সিডিসি এবং প্রজেক্ট ব্রিজসহ চাকরি হারানোর আশঙ্কা আছে এমন সব প্রজেক্ট শিগগিরই বন্ধের ঘোষণা, সব কর্মীর ন্যুনতম বেতন শ্রম বাজারের গড় বেতনের সমান, ৮ ঘন্টার বেশি কাজ না করানো, কর্মীদের জন্য পেনশনের ব্যবস্থা করাসহ গ্রামীণফোন কর্মীদের পক্ষ থেকে মোট ১২ দফা দাবি তুলে ধরেন তিনি।
এদিকে দেশের অপর মোবাইল অপারেটর বাংলালিংকের ৩৭ কর্মী ছাঁটাই ঘোষণার এক দিন পর পূর্বঘোষিত এই সংবাদ সম্মেলন করল গ্রামীণফোন এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন।