চাকুরীর বাজার এবং ব্যবসা ক্ষেত্রে আপত্তি ও নিরাপত্তা ছাড়পত্রের অশনি সংকেত

প্রশান্তি ডেক্স॥ সরকার যেখানে কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষে নানামুখী পদক্ষেপে এগিয়ে যাচ্ছে সেখানে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে এন এস আই নামক সরকারের একটি সেবা সংস্থা এমনকি ভিসা, কর্মানুমতি এবং নতুন প্রতিষ্ঠান এর নিরাপত্তা অনাপত্তি প্রদানকারী সংস্থাদ্বয়। বিশেষ করে এস বি ও এন এস আই। এন এস আইয়ের কাজ কি তাহলে চাকুরীরতদের চাকুরী থেকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া এমনকি নতুন কর্মসংস্থানকারী প্রতিষ্ঠানকে বন্ধ করে দেয়া। উদ্যোক্তা এবং বিদেশীদের নেতিবাচক মনোভাব দিয়ে ফিরিয়ে দেয়া। এমনকি নতুন নতুন কর্মসংস্থানকারীদের আইনের সকল নিয়ম-কানুন অনুসরণে বাধা প্রধান করা। যদি তাই হয় তাহলে জনগনের টাকায় ঐ এন এস আই নামক সেবা সংস্থার কি প্রয়োজন? এখনই ভেবে দেখার সময় এবং এর আগা-গোড়া সংশোধন করে সরকারের অভিপ্রায় বাস্তবায়নে ভুমিকা রাখতে কার্যকর করা দরকার।
সরকার যেখানে নিয়ম-শৃঙ্খলার এমনকি সরকারী কাঠামোর মাধ্যমে দেশী-বিদেশী সকল সংস্থাকে আবদ্ধ করে কার্যক্রম পরিচালনায় উৎসাহি করে তোলছে সেখানে এনএসআই নামক সংস্থাটি প্রতিবন্ধক হিসেবে বিপরীতমুখী কাজে সরকারের বিরোধীতা করে যাচ্ছে। সরকারের নীতি অনুসরণ করে অন্য আরেকটি সরকারের সংস্থার সিদ্ধান্তকে ঘুরিয়ে দিচ্ছে বা অপমান করে নাজেহাল করছে। উদাহরণ দিয়ে বলতে চাই যে, আগামী দিনে এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে সাহার্য্যকারী সংস্থ্য; ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং ট্রাষ্ট কার্যক্রম গুটিয়ে বিদেশীরা বা দেশীয় সেবার মনোভাবাপন্নরা অন্যকোন দেশে কার্যক্রম স্থানান্তরিত করবে। আর এখনই তারা নতুন জায়গা খুজতে শুরু করেছে। অনেকের মধ্যে থেকে শুধু দটি উদাহরণই যথেষ্ট তবে প্রয়োজনে আরো তালিকা উপস্থাপন করব। ডেল্টা ট্রাষ্ট ১২০ কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়ে সারাবাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালন করে যাচ্ছে। এই কার্যক্রমে উপকৃত বিশাল এক জনগোষ্ঠী। কিন্তু এন এস আই এর তদন্তে নেতিবাচক অথবা কোনটাই না দিয়ে বন্ধ করে দেয়ার এক সুক্ষ চক্রান্ত হচ্ছে। চাকুরী এই দেশে সোনার হরিণ তুল্য কিন্তু চাকুরীর বাজারে যারা এখন স্বীয় অবস্থান বজায় রেখে যাচ্ছেন সেই চাকুরীরতদের চাকুরী বন্ধকল্পে এন এস আই কার্যক্রমই যথেষ্ট। একশত বিশ জন লোকের চাকুরী দেয়ার দায়িত্ব দেয়া হউক এন এস আইয়ের হাতে। তারপর তারা ঐ কার্যক্রম বন্ধের ব্যবস্থা নিক। সরকার যেখানে আইন করেছে যে, ট্রাষ্টগুলি জয়েন্ট ষ্টক অথবা বিডা অথবা এনজিও ব্যুরোর মাধ্যমে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। সেখানে তাদের চলমান কার্যক্রম পরিচালনায় সরকারের নীতি অনুসরণ এমনকি পালন করতে গিয়ে চলমান কর্মসংস্থান বন্ধ হচ্ছে। এমতাবস্থায় সরকারকে নতুন করে ভাবতে হবে যাতে করে ঐ কর্মসংস্থানে কোনপ্রকার ব্যাঘাত সৃষ্টি না হয় এমনকি রাষ্ট্রবিরোধী কার্যক্রমে জড়িত হওয়ার কোন প্রমান থাকলে তাদেরকে বিতাড়িত করতে এমনকি সংস্থা বন্ধ করতে আমাদের সহযোগীতা অব্যাহত থাকবে। কিন্তু ঐ ধরনের কোন কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত না থাকলে এমনকি দেশের উন্নয়ন ও মঙ্গল কামনায় কার্যরত থাকলে সহযোগীতা করে সরকারের নিয়ম ও আইন পালনে সচেষ্ট রাখতে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। এনজিও’র ক্ষেত্রেও তাই ঘটছে। যার প্রমান অসংখ্য আমাদের হাতে।
ব্যবসা-বানিজ্যের ক্ষেত্রে বিদেশীদের দেশে এসে শিল্প স্থাপন করে কর্মসংস্থান সুযোগ বৃদ্ধি করার যে প্রয়াস সরকারের তাও আজ ঐ নিরাপত্তা ছাড়পত্রের অজুহাতে বিলুপ্ত হচ্ছে। এন এস আই তাদের অংশে আপত্তি দিয়ে বিভিন্নভাবে উদ্যোক্তাকে এমনকি ঐ উদ্যোক্তর বিদেশী কর্মীকে বাংলাদেশ থেকে বের করে দিয়ে উভয় বিদেশীকে নেতিবাচক মনোভাব নিয়ে বাংলাদেশ ত্যাগ করতে বাধ্য করাচ্ছে (যেখানে এসবির তদন্তে দুই দুইবারই ইতিবাচক ফল প্রকাশ হয়েছে। এক বিদেশী (কানাডিয়ান) বাংলাদেশে কর্মরত ছিল যা বিডা কর্তৃক কর্মানুমতি প্রাপ্ত হয়ে। কিন্তু এসবি পজেটিভ আর এন এস আই নেগেটিভ রিপোর্ট দেয়ায় সে কানাডা ফেরত গেছে। কিন্তু পরে আবার পুনরায় বিবেচনা করার আবেদনে সে এনএসঅঅই কর্তৃক অনাপত্তি পেয়েছে কিন্তু ঐ কানাডিয়ান আর বাংলাদেশে আসেনি। বাংলাদেশের প্রতি তার ঘৃণাবোধ তৈরী হয়েছে। এতে করে কোম্পানীর গুনতে হয়েছে বিশাল অংকের ক্ষতি। কাজ সম্পন্ন হয়নি এমনকি চুক্তি সম্পাদন না করতে পারায় জরিমানা গুনতে হয়েছে পাশাপাশি কার্যাদেশ প্রত্যাহার হয়ে ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে। তারপরও ওয়ার্কপারমিট অনুসারে সরকারকে দিতে হয়েছে ঐ বিদেশীর নামের জারিকৃত নির্ধারিত কর। এই যদি হয় তাহলে ব্যবসাবান্ধব সরকার হিসেবে কিভাবে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রচার পাবে?
শুধু কি তাই ঠিক একই কোম্পানীর আরেক দক্ষ উপদেষ্টা (ইংল্যান্ড) এর কর্মানুমতিও বিডা কর্তৃক ছিল। তার কর্মানুমতিতে দুই লক্ষ্য টাকা বেতন ধায্য ছিল কিন্তু এন এস আই তাকে আপত্তি দিয়ে চিঠি ইস্যু করে। তারপর পুনরায় বিবেচনার জন্য আবেদন করলে ঠিক ঐ একই রিপোর্ট বলবৎ রাখে। যেখানে উল্লেখ করে তিনি কর ফাকি দিয়েছেন। যা মোটেও সত্য নয়। বরং তিনি সঠিকভাবে কর পরিশোধ করেছেন এবং তার কর পরিশোধের সার্টিফিকেটও রয়েছে। উক্ত প্রতিষ্ঠানও সঠিকভাবে তার বেতন এবং কর পরিশোধ করে বিডার নিয়ম ও শর্ত পূর্ণ করেছে। কিন্তু এন এস আই যে হারে ভুলভাবে আপত্তি দিয়ে যাচ্ছে তাতে দেশী ও বিদেশী কেউই আর ব্যবসা করতে উৎসাহ পাবে না বরং ব্যবসা গুটিয়ে অন্যদেশে পারি দিতে উৎসাহ পাচ্ছে। এই ভুল আপত্তির ফলে কোম্পানীর কি পরিমান ক্ষতি হতে পারে এমনকি সরকারের ও দেশের প্রতি কি ধরনের বিরুপ মনোভাব আন্তর্জাতিক মহলে বিরাজ করতে পারে তা ভেবে দেখতে হবে।
ব্যবসা বান্ধব কার্যক্রমে সরকার আন্তরিক এবং সরকারের আন্তরিকতা প্রকাশে সকল সংস্থাকে এগিয়ে আসতে হবে নতুবা সরকারের প্রয়াস এবং উন্নয়ন গতি থমকে দাঁড়াবে। তাই বিনীতভাবে অনুরোধ করছি আসুন আমরা সকলে মিলেই দেশকে গড়ি এবং সরকারকে তাঁর পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহায়তা করি। চলমান উন্নয়ন ও অগ্রগতি এর গতি তরান্বিত করি।
এই লিখাটি কাউকে ছোট অথবা ক্ষেয় করার জন্য নয় বরং সত্য উদঘাটনে এমনকি দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে আরো উদার হয়ে ব্যবসা, সাহায্য সংস্থা এবং ট্রাষ্ট ও ফাউন্ডেশন গঠনে সহায়তা করে কর্মক্ষেত্রের প্রসার ঘটানো এমনকি সরকারের নীতি ও আদশ্যের প্রতি গতিশীল দৃষ্টিপাত করার লক্ষ্যে। তবে ভুল বোঝাবুঝি নয় বরং একযোগে কাজ করে দেশকে এগিয়ে নেয়াই আমাদের সকলের লক্ষ্য। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই সচেতনতার জন্য এই লিখাটি প্রকাশ করা। কেউ কষ্ট পেলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.