প্রশান্তি ডেক্স ॥ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে কৃষির সাফল্য যেকোনো সময় স¤œান হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক। গত বুধবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর খামার বাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটউশনের কনভেনশন হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্যে করেন। তিনি বলেন, ‘কৃষিই এ দেশের অর্থনীতির প্রধান হাতিয়ার। জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে বিরূপ প্রভাব পড়ে জীব বৈচিত্র্যে। নষ্ট হয়- কৃষি ও শস্যক্ষেত। নানা ধরনের অসুবিধায় পড়ে পশু-পাখি, হাঁস-মুরগি।’ কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘একসময় বাংলাদেশের বাজেটের ১৫-২০ শতাংশ বিদেশি সাহায্য নির্ভর ছিল, বর্তমানে তা ২ শতাংশে নেমে এসেছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের ক্ষেত্রে পুষ্টিমানের বিষয়টি আগে আসে। আমাদের প্রতিনিয়ত আমিষের চাহিদা মেটাতে দুধ, মাছ, মাংস ও ডিম উৎপাদনে সফলতা এসেছে।’ মন্ত্রী বলেন, ‘বিগত দশকে পোল্ট্রি ও ডেইরি খাতে অভাবনীয় সাফল্য এসেছে। দুধ, মাছ, মাংস ও ডিমের উৎপাদন বেড়েছে। জলবায়ুর ক্রমাগত পরিবর্তনের লাগামকে টেনে ধরতে না পারলে কৃষির উৎপাদন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং সমগ্র বিশ্বে খাদ্য সংকট প্রকট আকার ধারণ করবে।’ জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে উপকূলীয় এলাকায় লবণাক্ততা বাড়ছে, কৃষি জমি কমে যাচ্ছে বলেও জানান কৃষিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সবার আগে পড়ে শস্য জাতীয় ফসলে- মাছ ও প্রাণিজ সম্পদ খাতে। এসব খাতে ব্যাপক সাফল্য আসলেও যেকোনো সময় তা স¤œান হতে পারে।’ জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে কৃষিকে নতুন মাত্রা দিতে কোন অঞ্চলের জন্য কোন ধরনের ফসল প্রয়োজন তা চিহ্নিত করে আবাদ করতে হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘পানির সুষ্ঠু ব্যবহার করে সেচ পানির অপচয় কমাতে হবে। প্রতিটি জেলায় উপযোগী সুনির্দিষ্ট ফসলকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। আমাদেরকে শুধু বর্তমান নিয়ে থাকলে হবে না, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা ভাবতে হবে। বিশ্ব ব্যাংক ৫০০ মিলিয়ন ডলারের একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে যা জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা মোকাবিলায় সহায়ক হবে।’ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু।
Share on Facebook
Follow on Facebook
Add to Google+
Connect on Linked in
Subscribe by Email
Print This Post