প্রশান্তি ডেক্স ॥ আপিল বিভাগের ছয়জন বিচারপতি মেডিকেল রিপোর্ট যথেষ্ট বিবেচনা নিয়েই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন নাকচ করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ গত বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন নাকচ করার পর সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন আইনমন্ত্রী। আইনমন্ত্রী বলেন, আপিল বিভাগের ছয়জন বিচারপতি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তারা নিশ্চয়ই যথেষ্ট বিবেচনা করেছেন এবং বিবেচনায় তারা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আমরা যেহেতু আইনের শাসনে বিশ্বাস করি, সেটা আমাদের মানতে হবে। তিনি বলেন, ‘আদালতের কাছে তারা জামিন চেয়েছিলেন। জামিনের দরখাস্তের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ ডিসেম্বর আদালত বলেছিলেন একটি মেডিকেল রিপোর্ট তাদের সামনে উপস্থাপন করার জন্য। সেই মেডিকেল রিপোর্ট উপস্থাপন করার পরে সেটা বিবেচনা করবেন। সেই মেডিকেল রিপোর্ট উপস্থাপনের পর বিবেচনা করবেন, প্রথম শুনানির দিন বলেছিলেন। আমি যতটুকু জেনেছি, বিজ্ঞ আপিল বিভাগ এই রিপোর্ট পেয়েছেন এবং তারা তাদের বিবেচনায় দেখেছেন যে এইখানেই (বিএসএমএমইউ) তার (খালেদা) চিকিৎসা করা যায়, সেটা অবর্জারভেশনে আছে আমি শুনেছি। জামিনের আদেশ তারা নাকচ করে দিয়েছেন।’ আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আপিল বিভাগের সম্মানিত ছয়জন বিচারপতি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তারা নিশ্চয়ই যথেষ্ট বিবেচনা করেছেন। বিবেচনায় তারা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আমরা যেহেতু আইনের শাসনে বিশ্বাস করি, আমাদের সেটা মানতেই হবে। আমি মনে করি অবর্জারভেশন যেটা দিয়েছেন, তার আলোকে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার ব্যাপারে যদি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু করণীয় থাকে তারা নিশ্চয়ই করবে।’ যে মেডিকেল রিপোর্ট উপস্থাপন করা হয়েছে সেটা সঠিক নয়- খালেদা জিয়ার জামিন নাকচের পর বিএনপি আইনজীবীদের এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘শুনানির প্রথম তারিখে আপনারা দেখেছেন আদালত কক্ষে তারা কী তান্ডব সৃষ্টি করেছে। আমি তখনই বলেছিলাম- যখনই এমন কিছু হয়, যেটা তাদের পক্ষে যায় না, যত যুক্তিই থাকুক রায়ের বা প্রতিবেদনের, ওনারা অভ্যাসগতভাবে বলেন এটা ঠিক না।’
Share on Facebook
Follow on Facebook
Add to Google+
Connect on Linked in
Subscribe by Email
Print This Post